বিদেশের খবর ডেস্ক: গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করা সংক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আরব দেশগুলো। সোমবার (৩ জানুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে দেওয়া এক চিঠিতে যৌথভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন পাঁচ আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজার পুনর্গঠনে ফিলিস্তিনিদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে থাকতে হবে। ফিলিস্তিনিরা নিজের ভূমিতেই থেকে তা পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা করবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সপ্তাহান্তে কায়রোতে আয়োজিত এক বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন জর্ডান, সৌদি আরব, মিসর, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ কূটনীতিবিদ এবং ফিলিস্তিনি প্রেসিডেনশিয়াল উপদেষ্টা হুসেইন আল-শেখ। এখান থেকেই রুবিওর কাছে ওই চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে তারা ছয়জনই স্বাক্ষর করেছেন।
ওই চিঠিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনে পুরো পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের সম্পূর্ণ অধিকার থাকা উচিত। তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
গত ২৫ জানুয়ারির অকস্মাৎ ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তর সংক্রান্ত প্রস্তাব আনেন ট্রাম্প। তিনি পরামর্শ দেন, জর্ডান ও মিসরের উচিত ফিলিস্তিনিদের জায়গা দেওয়া। এই ব্যবস্থা স্বল্পস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী, যেকোনও রকম হতে পারে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের পরামর্শে স্থায়ীভাবে জন্মভূমি হারানোর শঙ্কা জেঁকে বসেছে ফিলিস্তিনিদের মনে। সমালোচকরা বলছেন, তার এই প্রস্তাব জাতিগত নিধনের সমতুল্য।
প্রথম থেকেই ফিলিস্তিনিদের দায়িত্ব নিতে বলা জর্ডান ও মিসরের পাশাপাশি অন্যান্য আরব দেশও মার্কিন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে।