ঢাকা ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ‘কোনও পরিকল্পনা’ ওয়াশিংটনের নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠকের আগে শুক্রবার তিনি এই মন্তব্য করেছেন। শনিবার মার্কিন বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ওয়াশিংটনের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। লন্ডনের দক্ষিণে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন শেভেনিংয়ে দুই নেতার ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে, ব্রিটেনের সরকার বলেছিল, গাজায় যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েল রাজি না হলে আগামী সেপ্টেম্বরেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য। এ পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ভ্যান্স বলেন, ‘গাজায় কার্যকর সরকার না থাকায় এমন স্বীকৃতির মানে কী হবে, তা আমি বুঝতে পারছি না।’ ইসরায়েলের গাজা নগরী দখলের পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগে থেকেই জানতেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ভ্যান্স কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বের ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজটা সহজ হলে, অনেক আগেই তা করা হয়ে যেত।’
ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে মতপার্থক্যের মধ্যে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাজ্য বলছে, ইউক্রেনকে অবশ্যই শান্তি আলোচনার অংশ হতে হবে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় জোর দিচ্ছেন।
এছাড়া ব্রিটিশ ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির শর্ত ও গত জুনে ঘোষিত বৃহত্তর বাণিজ্য চুক্তির বিস্তারিত চূড়ান্ত করা নিয়ে দুই দেশের মাঝে আলোচনা চলছে। লেবার পার্টির সদস্য ল্যামি ও ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সমর্থক রিপাবলিকান ভ্যান্স রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ল্যামি বলেছেন, তারা দু’জন অকার্যকর শ্রমিক শ্রেণির শৈশব ও খ্রিস্টান ধর্মের বিশ্বাসের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সম্পর্কযুক্ত। তিনি বলেন, আমি জেডিকে একজন বন্ধু মনে করি। চলতি বছরের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনে ভ্যান্সের বাড়িতে ক্যাথলিক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন ল্যামি। এরপর গত মে মাসে রোমে পোপ লিও চতুর্দশের অভিষেক অনুষ্ঠানেও তাদের দেখা হয়। সূত্র: এপি।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট সময় : ০৯:৩৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ‘কোনও পরিকল্পনা’ ওয়াশিংটনের নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠকের আগে শুক্রবার তিনি এই মন্তব্য করেছেন। শনিবার মার্কিন বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ওয়াশিংটনের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। লন্ডনের দক্ষিণে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন শেভেনিংয়ে দুই নেতার ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে, ব্রিটেনের সরকার বলেছিল, গাজায় যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েল রাজি না হলে আগামী সেপ্টেম্বরেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য। এ পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ভ্যান্স বলেন, ‘গাজায় কার্যকর সরকার না থাকায় এমন স্বীকৃতির মানে কী হবে, তা আমি বুঝতে পারছি না।’ ইসরায়েলের গাজা নগরী দখলের পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগে থেকেই জানতেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ভ্যান্স কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বের ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজটা সহজ হলে, অনেক আগেই তা করা হয়ে যেত।’
ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে মতপার্থক্যের মধ্যে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাজ্য বলছে, ইউক্রেনকে অবশ্যই শান্তি আলোচনার অংশ হতে হবে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় জোর দিচ্ছেন।
এছাড়া ব্রিটিশ ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির শর্ত ও গত জুনে ঘোষিত বৃহত্তর বাণিজ্য চুক্তির বিস্তারিত চূড়ান্ত করা নিয়ে দুই দেশের মাঝে আলোচনা চলছে। লেবার পার্টির সদস্য ল্যামি ও ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সমর্থক রিপাবলিকান ভ্যান্স রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ল্যামি বলেছেন, তারা দু’জন অকার্যকর শ্রমিক শ্রেণির শৈশব ও খ্রিস্টান ধর্মের বিশ্বাসের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সম্পর্কযুক্ত। তিনি বলেন, আমি জেডিকে একজন বন্ধু মনে করি। চলতি বছরের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনে ভ্যান্সের বাড়িতে ক্যাথলিক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন ল্যামি। এরপর গত মে মাসে রোমে পোপ লিও চতুর্দশের অভিষেক অনুষ্ঠানেও তাদের দেখা হয়। সূত্র: এপি।