রয়টার্স : ক্রমাগত শক্তি সঞ্চয় করে ফিলিপিন্সের প্রধান দ্বীপ লুজনের দিকে ধেয়ে যাওয়া ৩ মাত্রার টাইফুন নোরুর কবল থেকে রক্ষায় উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির কর্তৃপক্ষ। শনিবার সন্ধ্যায়ও নোরুর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে তা ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যায়।
টাইফুনটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে ২০৫ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে ফিলিপিন্সে আঘাত হানতে পারে বলে দেশটির দুর্যোগ সংস্থার সতর্কবার্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। “আমাদের মেয়রদেরকে আগেভাগে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণের অনুরোধ করছি,” ডিজেডআরএইচ রেডিও স্টেশনকে বলেছেন কুজোনের গভর্নর হেলেন তান।
উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত জেলেদের সমুদ্রে যেতেও বারণ করা হচ্ছে, বলেছেন তিনি। ফিলিপিন্সে আঘাত হানলে নোরু হবে দেশটিতে আছড়ে পড়া একাদশ ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়। প্রবল বাতাস নিয়ে এলেও এই টাইফুনটি দ্রুতই চলে যাবে বলেও আশা করছি,” বলেন দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র বের্নার্ডো রাফায়েলিতো আলেহান্দ্রো। ভূমিধস, বন্যা, ধ্বংসাত্মক বাতাসের ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষ সতর্কাবস্থায় রয়েছে, বলেন তিনি।
ফিলিপিন্সের কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, টাইফুনের কারণে রাজধানীর দক্ষিণের বন্দরগুলোতে ২৮টি যান ও এক হাজার দুইশর বেশি যাত্রী আটকা পড়েন। নোরু এখন পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে, এটি রোববার পরের দিকে বা আজ সোমবার প্রথম প্রহরে দক্ষিণ চীন সাগরে পৌঁছে যেতে পারে। ৭ হাজার ৬০০-র বেশি দ্বীপের সমাহারে গঠিত ফিলিপিন্স প্রতি বছরই গড়ে ২০টি ক্রান্তীয় ঝড় দেখে।
ফিলিপিন্স উপকূলে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন নোরু
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ