ঢাকা ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফিউশনধর্মী পোশাকের চাহিদা বাড়ছে

  • আপডেট সময় : ১১:২৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১
  • ১৩০ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : হেমন্ত মানে প্রকৃতিতে হিমেল বাতাস এবং কোমল রঙের ছড়াছড়ি। এ ঋতুতে বিভিন্ন ফুল ফোটে, আকাশে নীল মেঘ ভেসে বেড়ায়; মনে হয় আকাশ যেন খানিকটা নিচে নেমে এসেছে। সকালের কোমল রোদ, দুপুরের ঝলমলে আলো আর বিকেলের কোমলতা- সব মিলিয়ে হেমন্তের আলো মায়াবি। হেমন্তের রাতের আছে আলাদা রূপ; হৃদয়ে কোমলতা ছড়িয়ে দেয়। সুতরাং এমন দিনের পোশাকও কোমল রঙের হওয়া উচিত। প্রতি বছর হেমন্তে দেশের ফ্যাশন হাউজগুলো বাহারি নকশার পোশাকের পসরা সাজায়। বুননে, কাট-ছাঁটে রঙের ছটায় হেমন্তের রূপ-রং মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
বিবিয়ানা ফ্যাশন হাউসের স্বত্ত্বাধিকারী, ফ্যাশন ডিজাইনার লিপি খন্দকার জানালেন হেমন্তের পোশাক নিয়ে নানা কথা। পোশাকের রঙ নাকি নকশা কি বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে লিপি খন্দকার জানালেন- ক্রেতারা ফিউশনধর্মী পোশাক বেশি বেছে নিচ্ছে। যারা একটু ফ্যাশন করতে পছন্দ করে, দেখা যাচ্ছে যে তারা গতানুগতি সালোয়ার-কামিজ পরছে না। একেবারে ট্রেডিশনাল ওয়েতে তারা পোশাক পরতে চাচ্ছে না, কারণ তারা নতুনত্ব চায়। ফলে ফিউশনধর্মী পোশাকগুলোর চাহিদা বাড়ছে। ঢিলেঢাকা পোশাকের চল এখন। রুমাল ছাঁটের লং কামিজ বেশ জনপ্রিয়। ট্রেডিশনাল সালোয়ার কামিজও এখন পাঞ্জাবি স্টাইলের কুর্তি, এর সঙ্গে চুড়িদার চলছে। অনেকে চাপা ধূতি সালোয়ারও বেছে নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে ফ্যাশনে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ বিষয়টি চলে এসেছে।
প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের পোশাকের ধরন মিশিয়ে পোশাক তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে এই ফ্যাশন ডিজাইনার বলেন, কামিজ দেখলে মনে হবে একটা লং শার্ট বা লং জ্যাকেট। লং ট্রাউজারটাও খুব চলছে। এটা ফ্যাশনের জন্য ভালো। এতে অনেক বেশি চিন্তা করে পোশাক বাছতে হয় না। ক্রেতারা বেছে নিচ্ছেন একটু ফুরফুরে ধরনের কাপড়। ফুরফুরে কাপড় বলতে আমরা বুঝি- যে কাপড় পরলে খুব আরামবোধ হয়। সাদা রঙের কদর আছে। তাছাড়া মিষ্টি রঙের পোশাক, যেগুলোকে বলে স্মুদি কালার। এমন রঙ হেমন্তের জন্য পারফেক্ট। তবে কালো এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে। কালো রঙ শীতে পরলে ভালো লাগে। ফ্লোরাল প্রিন্ট, ব্রাইট চেক পোশাককে প্রাধান্য দেয়া যেতে পারে এ ঋতুতে এমনটা মনে করেন লিপি খন্দকার। ফিউশনধর্মী পোশাকের প্রচলন হওয়াতে যে কেউ একটি স্টাইল তৈরি করে নিতে পারছে। পোশাকের ভালো লাগা না-লাগা অনেক খানি কনফিডেন্টের ওপর নির্ভর করে। পোশাকে নতুন কাট-ছাঁট থাকলে বা পোশাকটি ট্রেডিশনাল হলে অন্যরা কী বলবে- বিষয়টি এমন নয়। বিষয় হলো যিনি পোশাকটি পরছেন তিনি কতটুকু কমফোর্ট ফিল করছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফিউশনধর্মী পোশাকের চাহিদা বাড়ছে

আপডেট সময় : ১১:২৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্ক : হেমন্ত মানে প্রকৃতিতে হিমেল বাতাস এবং কোমল রঙের ছড়াছড়ি। এ ঋতুতে বিভিন্ন ফুল ফোটে, আকাশে নীল মেঘ ভেসে বেড়ায়; মনে হয় আকাশ যেন খানিকটা নিচে নেমে এসেছে। সকালের কোমল রোদ, দুপুরের ঝলমলে আলো আর বিকেলের কোমলতা- সব মিলিয়ে হেমন্তের আলো মায়াবি। হেমন্তের রাতের আছে আলাদা রূপ; হৃদয়ে কোমলতা ছড়িয়ে দেয়। সুতরাং এমন দিনের পোশাকও কোমল রঙের হওয়া উচিত। প্রতি বছর হেমন্তে দেশের ফ্যাশন হাউজগুলো বাহারি নকশার পোশাকের পসরা সাজায়। বুননে, কাট-ছাঁটে রঙের ছটায় হেমন্তের রূপ-রং মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
বিবিয়ানা ফ্যাশন হাউসের স্বত্ত্বাধিকারী, ফ্যাশন ডিজাইনার লিপি খন্দকার জানালেন হেমন্তের পোশাক নিয়ে নানা কথা। পোশাকের রঙ নাকি নকশা কি বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে লিপি খন্দকার জানালেন- ক্রেতারা ফিউশনধর্মী পোশাক বেশি বেছে নিচ্ছে। যারা একটু ফ্যাশন করতে পছন্দ করে, দেখা যাচ্ছে যে তারা গতানুগতি সালোয়ার-কামিজ পরছে না। একেবারে ট্রেডিশনাল ওয়েতে তারা পোশাক পরতে চাচ্ছে না, কারণ তারা নতুনত্ব চায়। ফলে ফিউশনধর্মী পোশাকগুলোর চাহিদা বাড়ছে। ঢিলেঢাকা পোশাকের চল এখন। রুমাল ছাঁটের লং কামিজ বেশ জনপ্রিয়। ট্রেডিশনাল সালোয়ার কামিজও এখন পাঞ্জাবি স্টাইলের কুর্তি, এর সঙ্গে চুড়িদার চলছে। অনেকে চাপা ধূতি সালোয়ারও বেছে নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে ফ্যাশনে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ বিষয়টি চলে এসেছে।
প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের পোশাকের ধরন মিশিয়ে পোশাক তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে এই ফ্যাশন ডিজাইনার বলেন, কামিজ দেখলে মনে হবে একটা লং শার্ট বা লং জ্যাকেট। লং ট্রাউজারটাও খুব চলছে। এটা ফ্যাশনের জন্য ভালো। এতে অনেক বেশি চিন্তা করে পোশাক বাছতে হয় না। ক্রেতারা বেছে নিচ্ছেন একটু ফুরফুরে ধরনের কাপড়। ফুরফুরে কাপড় বলতে আমরা বুঝি- যে কাপড় পরলে খুব আরামবোধ হয়। সাদা রঙের কদর আছে। তাছাড়া মিষ্টি রঙের পোশাক, যেগুলোকে বলে স্মুদি কালার। এমন রঙ হেমন্তের জন্য পারফেক্ট। তবে কালো এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে। কালো রঙ শীতে পরলে ভালো লাগে। ফ্লোরাল প্রিন্ট, ব্রাইট চেক পোশাককে প্রাধান্য দেয়া যেতে পারে এ ঋতুতে এমনটা মনে করেন লিপি খন্দকার। ফিউশনধর্মী পোশাকের প্রচলন হওয়াতে যে কেউ একটি স্টাইল তৈরি করে নিতে পারছে। পোশাকের ভালো লাগা না-লাগা অনেক খানি কনফিডেন্টের ওপর নির্ভর করে। পোশাকে নতুন কাট-ছাঁট থাকলে বা পোশাকটি ট্রেডিশনাল হলে অন্যরা কী বলবে- বিষয়টি এমন নয়। বিষয় হলো যিনি পোশাকটি পরছেন তিনি কতটুকু কমফোর্ট ফিল করছেন।