ঢাকা ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শনে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল

  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি মোতাবেক ফারাক্কা বাঁধ থেকে বাংলাদেশকে যে পরিমাণ পানি ছাড়ার কথা ছিল, সেই অনুযায়ী পানি যাচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গে এলো বাংলাদেশের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটি বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা বাঁধে (ব্যারেজ) পৌঁছায়। সেখানে ফারাক্কা বাঁধ ও পানি সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর উভয় দেশের প্রতিনিধিরা ফারাক্কার ডাউন স্ট্রিম নৌকায় করে পরিদর্শন করেন। কলকাতা ও ফারাক্কায় অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের ৮০তম বৈঠকের অন্যতম বিষয়- ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পাঁচ দিনের এই বৈঠকের অন্যতম এজেন্ডা হলো, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে যে পানি ফারাক্কার বাঁধ প্রকল্প থেকে ছাড়ার কথা, সেই অনুযায়ী ছাড়ছে কি না, তা পরিদর্শন করা। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে প্রবাহমান অভিন্ন নদীর পানি বন্টনসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে প্রতিনিধিদের মধ্যে। ভারতীয় প্রতিনিধি দলে উপস্থিত আছেন, ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার আর.ডি দেশপান্ডে, রাজেশ কুমার, অজিত কুমারসহ প্রকল্পের কর্মকর্তারা। অন্যদিকে, বাংলাদেশের পাঁচ প্রতিনিধি দলে ছিলেন মো.আবুল হোসেন, শ্রী অতুল জৈন, মো. মাহমদুর রহমান, মো. মহমোদুল হক এবং মো. রায়দুর রহমান। পরিদর্শন শেষে ফরাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জেনেরাল ম্যানেজার আর. ডি দেশপান্ডে বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে বাংলাদেশে।’চুক্তি অনুযায়ী পানি সরবরাহে কোনো অসুবিধা নেই বলে জানান ফরাক্কা বাঁধ প্রকল্পের কর্মকর্তা রাজেশ কুমার। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচ.ডি দেবগৌড়া ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই চুক্তিতে সই করেন। দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে সই হওয়া এ চুক্তি ছিল বাংলাদেশকে ন্যূনতম পানির সরবরাহে নিশ্চিত করা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে

ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শনে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল

আপডেট সময় : ১২:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

বিদেশের খবর ডেস্ক : গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি মোতাবেক ফারাক্কা বাঁধ থেকে বাংলাদেশকে যে পরিমাণ পানি ছাড়ার কথা ছিল, সেই অনুযায়ী পানি যাচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গে এলো বাংলাদেশের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটি বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা বাঁধে (ব্যারেজ) পৌঁছায়। সেখানে ফারাক্কা বাঁধ ও পানি সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর উভয় দেশের প্রতিনিধিরা ফারাক্কার ডাউন স্ট্রিম নৌকায় করে পরিদর্শন করেন। কলকাতা ও ফারাক্কায় অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের ৮০তম বৈঠকের অন্যতম বিষয়- ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পাঁচ দিনের এই বৈঠকের অন্যতম এজেন্ডা হলো, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে যে পানি ফারাক্কার বাঁধ প্রকল্প থেকে ছাড়ার কথা, সেই অনুযায়ী ছাড়ছে কি না, তা পরিদর্শন করা। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে প্রবাহমান অভিন্ন নদীর পানি বন্টনসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে প্রতিনিধিদের মধ্যে। ভারতীয় প্রতিনিধি দলে উপস্থিত আছেন, ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার আর.ডি দেশপান্ডে, রাজেশ কুমার, অজিত কুমারসহ প্রকল্পের কর্মকর্তারা। অন্যদিকে, বাংলাদেশের পাঁচ প্রতিনিধি দলে ছিলেন মো.আবুল হোসেন, শ্রী অতুল জৈন, মো. মাহমদুর রহমান, মো. মহমোদুল হক এবং মো. রায়দুর রহমান। পরিদর্শন শেষে ফরাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জেনেরাল ম্যানেজার আর. ডি দেশপান্ডে বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে বাংলাদেশে।’চুক্তি অনুযায়ী পানি সরবরাহে কোনো অসুবিধা নেই বলে জানান ফরাক্কা বাঁধ প্রকল্পের কর্মকর্তা রাজেশ কুমার। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচ.ডি দেবগৌড়া ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই চুক্তিতে সই করেন। দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে সই হওয়া এ চুক্তি ছিল বাংলাদেশকে ন্যূনতম পানির সরবরাহে নিশ্চিত করা।