ক্রীড়া ডেস্ক : রবিন লিগে দুই পক্ষের মোকাবিলা ছিল সমান সমান। ফরচুন বরিশাল আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স জিতেছিল একবার করে। আর কোয়ালিফায়ারে সেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে সবার আগে সরাসরি ফাইনালে পৌঁছে যায় সাকিবের বরিশাল। সেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সঙ্গেই আগামীকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় ফাইনাল। কী হবে? শেরে বাংলায় কার হাতে উঠবে ট্রফি-সাকিব নাকি ইমরুল কায়েস? খালেদ মাহমুদ সুজন না মোহাম্মদ সালাউদ্দিন- কে হাসবেন শেষ হাসি? খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করছেন লড়াই হবে সেয়ানে-সেয়ানে। জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে বরিশাল কোচ বলেন, ‘ফাইনাল সবসময়ই টাফ গেম। এখানে পুরো টুর্নামেন্টের হিসেব-নিকেশ আর চালচিত্র দিয়ে ভাবা ঠিক হবে না। ওই নির্দিষ্ট দিনটিতে যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে।’ সুজন মনে করেন, দুই দলেরই সামর্থ্য আছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। প্রতিপক্ষকে সমীহ জানিয়ে বরিশাল কোচ বলেন, ‘অবশ্যই কুমিল্লা খুব শক্তিশালী দল। তবে আমাদের জন্য মনোস্তাত্ত্বিক একটা সুবিধা আছে। আমরা এই দলটির সঙ্গে তিনবারের মোকাবিলায় দু’বার জিতেছি। ওরা জিতেছে একবার। ’
যদিও সে সংখ্যাতত্ত্বকে খুব বড় করে দেখার পক্ষে নন সুজন। তার মতে, ফাইনাল পুরোপুরিই নার্ভ বা স্নায়ুর লড়াই। এখানে যারা স্নায়ু ধরে রাখতে পারবে, তারাই জিতবে। সুজনের ভাষায়, ‘আমি যতবার ফাইনাল খেলেছি, ততবার দেখেছি ইটস অল অ্যাবাউট নার্ভ। আমি ঢাকা ডাইনামাইটসে ছিলাম। দেখেছি ফাইনালে একবার গেইল আর একবার তামিমের কাছে হেরে গিয়েছি। গতবার আমি খুলনার কোচ হিসেবে ছিলাম। দেখেছি আন্দ্রে রাসেলের একটা ইনিংসে আমাদের হারিয়ে দিয়েছে।’ প্রতিপক্ষ কুমিল্লা দলে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এবং ম্যাচ উইনার আছে, মনে করিয়ে দিলেন সুজন। তবে ফাইনালে নিজ দলের পারফরমারদের ওপর আস্থা রাখছেন বরিশাল কোচ। সুজন বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের যথেষ্ট পরিমাণে ম্যাচ উইনার আছেন। আমি চাই ভালো খেলা হোক। যে কেউ জিততে পারে। ওই একটি দিন যে দল নার্ভ ধরে রেখে খেলতে পারবে, তারাই জিতবে।’ মাঠে নামার আগে দলের ক্রিকেটারদের জন্য সুজনের বার্তা হলো, ‘আমি ক্রিকেটারদের একটা কথাই বলবো, আমরা দুইবার জিতেছি বলেই যে কালকেও কুমিল্লাকে হারাবো, শুধু সে চিন্তায় বিভোর হলে চলবে না। নিজেদের সেরাটা খেলতে হবে। প্ল্যানগুলি ঠিকমত প্রয়োগ ঘটাতে হবে। তবেই জেতা সম্ভব।’
ফাইনাল হলো স্নায়ুর লড়াই: সুজন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ