ঢাকা ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

ফাইজারের টিকার কার্যকারিতা ৬ মাস পর কমে যায়

  • আপডেট সময় : ১১:৪২:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বানানো ফাইজার/বায়োএনটেকের কোভিড টিকার কার্যকারিতা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পর ৮৮ শতাংশ থেকে কমে ৪৭ শতাংশে নেমে আসে। গত সোমবার এ সংক্রান্ত এক গবেষণার তথ্য-উপাত্ত প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বয়স্ক ও বেশি ঝুঁকিতে থাকাদের জন্য বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাগুলোও এই তথ্য-উপাত্ত বিবেচনায় নিয়েছিল।
ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে সোমবার প্রকাশিত হওয়া এসব তথ্য-উপাত্ত অগাস্টে স্বাধীনভাবে পর্যালোচনা বা পিয়ার রিভিউয়ের আগে প্রকাশ করা হয়েছিল। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু ঠেকাতে অন্তত ৬ মাস ফাইজারের এ টিকার কার্যকারিতা ৯০ শতাংশের মতোই থাকে, এমনকি এটি অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধেও প্রায় সমান কার্যকর বলে দেখাচ্ছে গবেষণাটি। তুলনামূলক বেশি সংক্রামক ধরনের কারণে নয়, ৬ মাস পর টিকাটির কার্যকারিতা এমনিই কমে যায় বলেও গবেষণায় ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
ফাইজারের টিকা যখন প্রথম দেওয়া শুরু হয়, সেই ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত কাইজার পারমানেন্টে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার প্রায় ৩৪ লাখ সদস্যের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যের ডিজিটাল রেকর্ড ঘেঁটে টিকার কার্যকারিতা সংক্রান্ত এসব তথ্য উপাত্ত পেয়েছেন ফাইজার ও কাইজার পারমানেন্টের গবেষকরা।
“ডেল্টাসহ এখন করোনাভাইরাসের যেসব ধরন নিয়ে উদ্বেগ আছে, তার সবগুলোর বিরুদ্ধেই যে ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকা কার্যকর, গবেষণা তাই দেখাচ্ছে,” বলেছেন ফাইজার ভ্যাকসিনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা লুইস জোডার। যাদের স্বাস্থ্য তথ্য নেওয়া হয়েছে, তাদের পেশা এবং তারা মাস্ক পরার নির্দেশনা মেনে চলে কিনা সে সংক্রান্ত তথ্যের ঘাটতি গবেষণাটির একটি সীমাবদ্ধতা হতে পারে । এসব তথ্য থেকে কে কতখানি ভাইরাসের সংস্পর্শে আসতে পারে, সে সংক্রান্ত ধারণা পাওয়া যেত।
গবেষণায় বলা হয়েছে, অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে দুই ডোজ নেওয়ার এক মাস পর টিকার কার্যকারিতা থাকে ৯৩ শতাংশ, চার মাস পর এটি নেমে আসে ৫৩ শতাংশে। অন্যান্য ধরনগুলোর বিরুদ্ধেও একই সময়ের ব্যবধানে এই কার্যকারিতা ৯৭ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশে নেমে যায়।
“আমাদের জন্য, এই গবেষণার ফল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ডেল্টা ধরন টিকার সুরক্ষা পদ্ধতিকে পুরোপুরি ফাঁকি দিতে সক্ষম ধরন নয়,” বলেছেন গবেষক দলের প্রধান কাইজার পারমানেন্টে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার রিসার্চ অ্যান্ড ইভালুয়েশন বিভাগের সারা টারটফ।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন সম্প্রতি বয়স্ক ও সংক্রমণের উচ্চ-ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য ফাইজার/বায়োএনটেকের বুস্টার ডোজের অনুমোদন দিয়েছে।
তবে এ ডোজ সবার জন্য প্রযোজ্য হবে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে আরও তথ্য-উপাত্ত চেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফাইজারের টিকার কার্যকারিতা ৬ মাস পর কমে যায়

আপডেট সময় : ১১:৪২:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বানানো ফাইজার/বায়োএনটেকের কোভিড টিকার কার্যকারিতা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পর ৮৮ শতাংশ থেকে কমে ৪৭ শতাংশে নেমে আসে। গত সোমবার এ সংক্রান্ত এক গবেষণার তথ্য-উপাত্ত প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বয়স্ক ও বেশি ঝুঁকিতে থাকাদের জন্য বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাগুলোও এই তথ্য-উপাত্ত বিবেচনায় নিয়েছিল।
ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে সোমবার প্রকাশিত হওয়া এসব তথ্য-উপাত্ত অগাস্টে স্বাধীনভাবে পর্যালোচনা বা পিয়ার রিভিউয়ের আগে প্রকাশ করা হয়েছিল। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু ঠেকাতে অন্তত ৬ মাস ফাইজারের এ টিকার কার্যকারিতা ৯০ শতাংশের মতোই থাকে, এমনকি এটি অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধেও প্রায় সমান কার্যকর বলে দেখাচ্ছে গবেষণাটি। তুলনামূলক বেশি সংক্রামক ধরনের কারণে নয়, ৬ মাস পর টিকাটির কার্যকারিতা এমনিই কমে যায় বলেও গবেষণায় ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
ফাইজারের টিকা যখন প্রথম দেওয়া শুরু হয়, সেই ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত কাইজার পারমানেন্টে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার প্রায় ৩৪ লাখ সদস্যের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যের ডিজিটাল রেকর্ড ঘেঁটে টিকার কার্যকারিতা সংক্রান্ত এসব তথ্য উপাত্ত পেয়েছেন ফাইজার ও কাইজার পারমানেন্টের গবেষকরা।
“ডেল্টাসহ এখন করোনাভাইরাসের যেসব ধরন নিয়ে উদ্বেগ আছে, তার সবগুলোর বিরুদ্ধেই যে ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকা কার্যকর, গবেষণা তাই দেখাচ্ছে,” বলেছেন ফাইজার ভ্যাকসিনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা লুইস জোডার। যাদের স্বাস্থ্য তথ্য নেওয়া হয়েছে, তাদের পেশা এবং তারা মাস্ক পরার নির্দেশনা মেনে চলে কিনা সে সংক্রান্ত তথ্যের ঘাটতি গবেষণাটির একটি সীমাবদ্ধতা হতে পারে । এসব তথ্য থেকে কে কতখানি ভাইরাসের সংস্পর্শে আসতে পারে, সে সংক্রান্ত ধারণা পাওয়া যেত।
গবেষণায় বলা হয়েছে, অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে দুই ডোজ নেওয়ার এক মাস পর টিকার কার্যকারিতা থাকে ৯৩ শতাংশ, চার মাস পর এটি নেমে আসে ৫৩ শতাংশে। অন্যান্য ধরনগুলোর বিরুদ্ধেও একই সময়ের ব্যবধানে এই কার্যকারিতা ৯৭ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশে নেমে যায়।
“আমাদের জন্য, এই গবেষণার ফল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ডেল্টা ধরন টিকার সুরক্ষা পদ্ধতিকে পুরোপুরি ফাঁকি দিতে সক্ষম ধরন নয়,” বলেছেন গবেষক দলের প্রধান কাইজার পারমানেন্টে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার রিসার্চ অ্যান্ড ইভালুয়েশন বিভাগের সারা টারটফ।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন সম্প্রতি বয়স্ক ও সংক্রমণের উচ্চ-ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য ফাইজার/বায়োএনটেকের বুস্টার ডোজের অনুমোদন দিয়েছে।
তবে এ ডোজ সবার জন্য প্রযোজ্য হবে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে আরও তথ্য-উপাত্ত চেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।