ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

ফসল রক্ষার স্লুইস গেইট এখন ‘গলার কাঁটা’

  • আপডেট সময় : ১১:২৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ডাকাতিয়া নদীর শাখা নদনা খালের মুখে নির্মিত স্লুইস গেইটটি কৃষকদের কোনো কাজেই আসছে না। কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ কুমিল্লা এবং উত্তর নোয়াখালীর পানি নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের আওতায় ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে ডাকাতিয়া নদীর নদনা খালের মুখে মনোহরগঞ্জের হাওরা এলাকায় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে স্লুইস গেইটটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্মাণের পর এটির আর কোনো মেরামত বা সংস্কার করা হয়নি। স্থানীয়রা বলছেন, উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের হাওরা এলাকায় স্লুইস গেইটটি ‘কৃষকদের কল্যাণে’ নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরের বছরই সেটি অকেজো হয়ে পড়ে। স্লুইস গেইটটি এখন মানুষের ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যেই উদ্দেশ্যে স্লুইস গেইটটি নির্মাণ করা হয়েছে সে কাজ তো হয়-ই নাই, উল্টো ওই খালে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে নৌ-চলাচল। তাছাড়া এক সময় ওই খালে প্রচুর দেশীয় মাছ থাকলেও এখন নেই বললেই চলে। যার কারণে জেলেসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে স্লুইস গেইটটি অপসারণ করে নদী ও নদনা খালের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বাইশগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলছেন, “এক কথায় বলতে গেলে স্লুইস গেইটটি দেড় দশক ধরে আমাদের গলার কাঁটা। এটি নির্মাণের পর কৃষকের দুর্ভোগের পাশাপাশি ডাকাতিয়া নদীর শাখা এ খালটিতে নৌযান চলাচল করতে পারছে না। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে নৌ-বাণিজ্য। “অথচ এক সময় এই নৌপথ অনেক সমৃদ্ধ ছিল। খননের আগে ১০ বছরের বেশি কচুরিপানায় ভর্তি ছিল নদনা খাল। নদী থেকে খালের প্রবেশ মুখে মাছের বিচরণে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় দেশি প্রজাতির মাছ এখন আর আগের মতো দেখা যায় না।” বছর দুই আগে খালটি খনন হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “খননের কারণে বর্তমানে খালে আগের চেয়ে বেশি পানি থাকছে। যার কারণে ওই স্লুইস গেইটের এখন আর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই দ্রুত এটি অপসারণ করে মানুষের গলার কাঁটা সরাতে হবে। না হলে এমন দুর্ভোগ বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকবে।” স্লুইস গেইটটি যে কোনো কাজেই আসছে না, তার সত্যতা মিলল সরেজমিনে। স্লুইস গেইটটি অকেজো পড়ে থাকায় ডাকাতিয়া নদী থেকে পানি ও দেশীয় মাছ খালে প্রবেশ করতে পারছে না। আর খাল থেকে নদীতে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় খালটি কচুরিপানায় ভর্তি থাকে। সব মিলিয়ে স্লুইস গেইটটি এলাকার কৃষি, নৌ-চলাচল, জেলেসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্লুইস গেইটের পাশে অবস্থিত উপজেলার চড্ডা গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, “নদনা খালের পানি দিয়েই মনোহরগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক হাজার কৃষক ইরি-বোরো মৌসুমে ফসলি জমিতে সেচের পানির চাহিদা পূরণ করত। যার কারণে স্লুইস গেইটটির সঙ্গে শুরু থেকেই এখানকার হাজার হাজার কৃষকের ভাগ্য জড়িত ছিল।
কিন্তু নির্মাণের এক বছর পর থেকেই স্লুইস গেইটটি অকেজো হয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত এটি কৃষকদের তেমন কোনো উপকারে আসেনি। উল্টো অসংখ্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।” হাওরা গ্রামের কৃষক আবদুল মোতালেব বলেন, স্লুইস গেইটটির কারণে আগে সারা বছর পুরো খাল কচুরিপানায় ভর্তি থাকত। দুই বছর আগে খালটি খননের পর অস্তিত্ব রক্ষা পায়। এখন আবার খালটি কচুরিপানায় ভরে যেতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, “এই খাল দিয়ে এক সময় লঞ্চও চলাচল করেছে বাইশগাঁও থেকে লাকসাম পর্যন্ত। কিন্তু এখন পুরোপুরো নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বলতে গেলে মানুষের উপকারের বদলে বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে স্লুইস গেইটটি। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ নির্মাণের পর এটি মেরামত ও সংস্কার না করা। স্লুইস গেইটটি দেখভাল করার লোকবল না থাকায় প্রয়োজনীয় নাটবল্টু, লোহার পাত ও অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে সহিদ উল্লাহ নামে এক কৃষক জানান। তিনি বলেন, “বর্ষায় পানি নামতে শুরু করলে স্লুইস গেইটটির মূল ফটক দিয়ে পানি ডাকাতিয়া নদীতে নেমে গেলে নদনা খাল পানিশূন্য হয়ে পড়ে। এতে পানি সংকটে পড়ে এলাকার কৃষকরা। যার কারণে বাধ্য হয়ে কৃষকদের ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে।” কৃষক আবদুল বারেক বলছেন, “স্লুইস গেইটটি অকেজো হওয়ার পর মাঝখানে কয়েক বছর ইরি-বোরো মৌসুমে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের পাম্প দিয়ে পানি উত্তোলনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে সেটিও বন্ধ রয়েছে। গত দুই বছর ধরে খালটি খননের ফলে কৃষকরা কিছুটা সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু এখন ওই গেটটি অপসারণ করা না হলে মানুষ ফের ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মনোহরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন বলেন, “আমি এখানে এসেছি কিছুদিন হল। এখনও বিষয়টি ভালোভাবে জানি না। তবে শিগগিরই বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে বা খোঁজ নিয়ে দেখব। মূলত এই বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানান তিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, পর্যাপ্ত বরাদ্দসহ বিভিন্ন কারণে ওই স্লুইস গেইটটি মেরামত কাজে বিঘœ ঘটেছে। কৃষি খাতে সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে দ্রুতই বরাদ্দ সাপেক্ষে স্লুইস গেইটটি মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

ফসল রক্ষার স্লুইস গেইট এখন ‘গলার কাঁটা’

আপডেট সময় : ১১:২৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ডাকাতিয়া নদীর শাখা নদনা খালের মুখে নির্মিত স্লুইস গেইটটি কৃষকদের কোনো কাজেই আসছে না। কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ কুমিল্লা এবং উত্তর নোয়াখালীর পানি নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের আওতায় ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে ডাকাতিয়া নদীর নদনা খালের মুখে মনোহরগঞ্জের হাওরা এলাকায় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে স্লুইস গেইটটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্মাণের পর এটির আর কোনো মেরামত বা সংস্কার করা হয়নি। স্থানীয়রা বলছেন, উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের হাওরা এলাকায় স্লুইস গেইটটি ‘কৃষকদের কল্যাণে’ নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরের বছরই সেটি অকেজো হয়ে পড়ে। স্লুইস গেইটটি এখন মানুষের ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যেই উদ্দেশ্যে স্লুইস গেইটটি নির্মাণ করা হয়েছে সে কাজ তো হয়-ই নাই, উল্টো ওই খালে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে নৌ-চলাচল। তাছাড়া এক সময় ওই খালে প্রচুর দেশীয় মাছ থাকলেও এখন নেই বললেই চলে। যার কারণে জেলেসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে স্লুইস গেইটটি অপসারণ করে নদী ও নদনা খালের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বাইশগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলছেন, “এক কথায় বলতে গেলে স্লুইস গেইটটি দেড় দশক ধরে আমাদের গলার কাঁটা। এটি নির্মাণের পর কৃষকের দুর্ভোগের পাশাপাশি ডাকাতিয়া নদীর শাখা এ খালটিতে নৌযান চলাচল করতে পারছে না। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে নৌ-বাণিজ্য। “অথচ এক সময় এই নৌপথ অনেক সমৃদ্ধ ছিল। খননের আগে ১০ বছরের বেশি কচুরিপানায় ভর্তি ছিল নদনা খাল। নদী থেকে খালের প্রবেশ মুখে মাছের বিচরণে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় দেশি প্রজাতির মাছ এখন আর আগের মতো দেখা যায় না।” বছর দুই আগে খালটি খনন হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “খননের কারণে বর্তমানে খালে আগের চেয়ে বেশি পানি থাকছে। যার কারণে ওই স্লুইস গেইটের এখন আর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই দ্রুত এটি অপসারণ করে মানুষের গলার কাঁটা সরাতে হবে। না হলে এমন দুর্ভোগ বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকবে।” স্লুইস গেইটটি যে কোনো কাজেই আসছে না, তার সত্যতা মিলল সরেজমিনে। স্লুইস গেইটটি অকেজো পড়ে থাকায় ডাকাতিয়া নদী থেকে পানি ও দেশীয় মাছ খালে প্রবেশ করতে পারছে না। আর খাল থেকে নদীতে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় খালটি কচুরিপানায় ভর্তি থাকে। সব মিলিয়ে স্লুইস গেইটটি এলাকার কৃষি, নৌ-চলাচল, জেলেসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্লুইস গেইটের পাশে অবস্থিত উপজেলার চড্ডা গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, “নদনা খালের পানি দিয়েই মনোহরগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক হাজার কৃষক ইরি-বোরো মৌসুমে ফসলি জমিতে সেচের পানির চাহিদা পূরণ করত। যার কারণে স্লুইস গেইটটির সঙ্গে শুরু থেকেই এখানকার হাজার হাজার কৃষকের ভাগ্য জড়িত ছিল।
কিন্তু নির্মাণের এক বছর পর থেকেই স্লুইস গেইটটি অকেজো হয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত এটি কৃষকদের তেমন কোনো উপকারে আসেনি। উল্টো অসংখ্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।” হাওরা গ্রামের কৃষক আবদুল মোতালেব বলেন, স্লুইস গেইটটির কারণে আগে সারা বছর পুরো খাল কচুরিপানায় ভর্তি থাকত। দুই বছর আগে খালটি খননের পর অস্তিত্ব রক্ষা পায়। এখন আবার খালটি কচুরিপানায় ভরে যেতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, “এই খাল দিয়ে এক সময় লঞ্চও চলাচল করেছে বাইশগাঁও থেকে লাকসাম পর্যন্ত। কিন্তু এখন পুরোপুরো নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বলতে গেলে মানুষের উপকারের বদলে বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে স্লুইস গেইটটি। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ নির্মাণের পর এটি মেরামত ও সংস্কার না করা। স্লুইস গেইটটি দেখভাল করার লোকবল না থাকায় প্রয়োজনীয় নাটবল্টু, লোহার পাত ও অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে সহিদ উল্লাহ নামে এক কৃষক জানান। তিনি বলেন, “বর্ষায় পানি নামতে শুরু করলে স্লুইস গেইটটির মূল ফটক দিয়ে পানি ডাকাতিয়া নদীতে নেমে গেলে নদনা খাল পানিশূন্য হয়ে পড়ে। এতে পানি সংকটে পড়ে এলাকার কৃষকরা। যার কারণে বাধ্য হয়ে কৃষকদের ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে।” কৃষক আবদুল বারেক বলছেন, “স্লুইস গেইটটি অকেজো হওয়ার পর মাঝখানে কয়েক বছর ইরি-বোরো মৌসুমে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের পাম্প দিয়ে পানি উত্তোলনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে সেটিও বন্ধ রয়েছে। গত দুই বছর ধরে খালটি খননের ফলে কৃষকরা কিছুটা সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু এখন ওই গেটটি অপসারণ করা না হলে মানুষ ফের ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মনোহরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন বলেন, “আমি এখানে এসেছি কিছুদিন হল। এখনও বিষয়টি ভালোভাবে জানি না। তবে শিগগিরই বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে বা খোঁজ নিয়ে দেখব। মূলত এই বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানান তিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, পর্যাপ্ত বরাদ্দসহ বিভিন্ন কারণে ওই স্লুইস গেইটটি মেরামত কাজে বিঘœ ঘটেছে। কৃষি খাতে সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে দ্রুতই বরাদ্দ সাপেক্ষে স্লুইস গেইটটি মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।”