যে কারণে ধোয়া উচিত : ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ডা. দিয়েজ-গঞ্জালেস বলেন, “না ধুয়ে কাঁচা ফল বা সবজি খাওয়ার ক্ষেত্রে সংক্রমণের শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি। ফলে খাদ্যবাহী সকল রোগে আক্রান্ত হওয়া আশঙ্কা বাড়বে।” ফল ও ফসলে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী জীবাণু আসতে পারে যে কোনা পর্যায়েই। গাছে থাকাকালে, ফসল তোলার সময় কিংবা পরিবহনের সময়। মানুষের হাতের স্পর্শই এর প্রধান কারণ। আবার ঘরে আনার পরও ফল ও সবজিতে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে অন্যান্য কাঁচা কিংবা রান্না করা খাবারের সংস্পর্শে আসার কারণে, বিশেষ করে মাংস।
ধোয়ার পন্থা : শুধু ধুলেই যে ফল, সবজি পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত হয়ে যাবে সেটা নিশ্চিত নয়। তবে অনেকটাই উপকার হয়। ডা. দিয়েজ-গঞ্জালেস বলেন, “পানি দিয়ে ধুয়ে সব ধরনের ‘প্যাথোজেন’ অপসারণ করা যায় না। আর বর্তমানে এমন কোনো প্রযুক্তি নেই যা ফল, সবজি সতেজতা বজায় রেখে তাকে পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত করতে পারে।” তবে সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে পারলে ৯০ শতাংশ জীবাণু অপসারণ করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’য়ের নীতিমালাকে আদর্শ ধরা যায়।
নীতিমালা হলো : প্রথমেই হাত ধুয়ে নিতে হবে কুসুমু গরম পানি আর সাবান দিয়ে, ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে তা করতে হবে। ফল, সবজি পরিষ্কার করার পরও একই কাজ করতে হবে। ফল ও সবজিতে কোনো আঘাতের চিহ্ন থাকলে সেই অংশটা কেটে ফেলে দিতে হবে। খোসা ছাড়াতে হলে আগে খোসাসহ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এতে খোসায় লেগে থাকা কোনো সংক্রামক ছুরির মাধ্যমে ফল কিংবা সবজিতে পৌঁছাতে পারবে না। বহমান পানিতে ফল ও সবজি ধুতে হবে, তাতে কোনো ধরনের সাবান মাখানো চলবে না। শক্ত ফল, সবজি পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। ডা. দিয়েজ-গঞ্জালেস বলেন, “ফল ও সবজি বাজার থেকে আনার পর একটি পাত্রে কিছুক্ষণ পানিতে ডুবিয়ে রাখার অভ্যাসটা খুব উপকারী। সময় থাকলে কয়েকবার পানি বদলে ভিজিয়ে রাখলে আরও ভালো।” তবে রান্না করা হলে ধোয়ার দরকার নেই যদি না দৃশ্যমান ময়লা না থাকে। ফল, সবজি পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে সাবান, ডিটারজেন্ট, ‘ডিজইনফেকট্যান্ট’ ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।
ফল, সবজি না ধুয়ে খাওয়ার পরিণাম
ট্যাগস :
ফল
জনপ্রিয় সংবাদ