ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

ফরিদপুরে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত

  • আপডেট সময় : ০৭:৪২:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুর সংবাদদাতা: আসন্ন ঈদুল আজহায় ফরিদপুর জেলার ৯টি উপজেলায় মোট চাহিদার চেয়ে কয়েক হাজার পশুর আমদানি বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। আর জেলার চাহিদা পূরণ করে বাড়তি কোরবানির পশু দেশের অন্যান্য জেলায় বিক্রির জন্য নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরে কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ১১টি। এর মধ্যে পশু প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৯১টি পশু। সেই হিসেবে প্রায় ৩ হাজার পশু দেশের বিভিন্ন বাজারে নেওয়া হবে। খামারি ও পশু ব্যবসায়ীরা এবার কোরবানির বাজারে পশুর ভালো দাম পাওয়ার আশায় রয়েছেন।

জেলার ৯টি উপজেলায় এ বছর ৮ হাজার ১৭৮টি ছোট-বড় খামার রয়েছে। এসব খামারে গরু ৫১ হাজার ১৬৭, ছাগল ৫৪ হাজার ৯২৫, ভেড়া ৪ হাজার ৫৯৭ ও মহিষ ১০৫টিসহ অন্যান্য ৯৭টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এসব খামারে কোরবানির জন্য গরু-ছাগল পরিচর্যায় শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। এ জেলায় ৪০টি গরু-ছাগলের হাট-বাজারে ১৮টি মেডিক্যাল টিম দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার মধ্যে সদর, সালথা, নগরকান্দা, সদরপুর ও বোয়ালমারী উপজেলায় খামারের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।
খামারি ও ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশু পরিচর্যায় শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খামারে কেউ পশুকে খাবার দিচ্ছেন, আবার কেউ গোসল করাচ্ছেন। কোরবানি দেওয়ার জন্য অনেকেই খামার থেকে পশু দেখে যাচ্ছেন। তবে ক্রেতারা অনেক যাচাই-বাছাই করে পশু কিনবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া জেলার পদ্মা ও আড়িয়াল খা’র তীরের নর্থ চ্যানেল, ডিক্রীরচর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন ছাড়াও চরভদ্রাসন, সদরপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের চরবাসীদের আয়ের অন্যতম মাধ্যম গবাদি পশু পালন।

ফরিদপুর শহরতলির বিল মাহমুদপুর এলাকায় মাইশা ডেইরি ফার্মের মালিক রফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, আমার ফার্মে একটি গরুর নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাদশা’। তার ওজন প্রায় ৩০ মণ। বাদশার বয়স সাড়ে তিন বছর। গরুটি লম্বায় ৬ ফুট ১০ ইঞ্চি এবং উচ্চতায় ৯ ফুট ৫ ইঞ্চি। প্রতিদিনই আশপাশের এলাকা থেকে গরুটিকে দেখতে আসছেন ক্রেতারা। বাদশার দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।

আলফাডাঙ্গা উপজেলার গরানিয়া গ্রামের রাজুর খামার দেখভালকারী আক্তার হোসেন জানান, আমরা কোরবানির জন্য ১৫টি গরু প্রস্তুত করেছি। গরুগুলোকে দুই বেলা গোসল করা হয়। কুড়া, ভুসি, ঘাস ও খড় খাওয়ানো হয় এদের। দিন-রাত খামারে একজন মানুষ লেগেই থাকতে হয়। গরু কেনার জন্য অনেকেই এসেছেন। তবে এখনো গরু বিক্রি করতে পারিনি।

ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আশা করছি ফরিদপুরের খামারিরা এ বছর পশুর ভালো দাম পাবেন। যতটুকু জানতে পেরেছি, এ বছর দেশের বাইরে থেকে কোনো পশু আমদানি হচ্ছে না। কোরবানির জন্য চাহিদার চেয়েও কয়েক হাজার পশু বেশি রয়েছে ফরিদপুর জেলায়। জেলার ৪০টি হাটে খামারি ও ব্যবসায়ীদের পশুর সুবিধার্থে ১৮টি চিকিৎসক টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

ফরিদপুরে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত

আপডেট সময় : ০৭:৪২:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

ফরিদপুর সংবাদদাতা: আসন্ন ঈদুল আজহায় ফরিদপুর জেলার ৯টি উপজেলায় মোট চাহিদার চেয়ে কয়েক হাজার পশুর আমদানি বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। আর জেলার চাহিদা পূরণ করে বাড়তি কোরবানির পশু দেশের অন্যান্য জেলায় বিক্রির জন্য নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরে কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ১১টি। এর মধ্যে পশু প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৯১টি পশু। সেই হিসেবে প্রায় ৩ হাজার পশু দেশের বিভিন্ন বাজারে নেওয়া হবে। খামারি ও পশু ব্যবসায়ীরা এবার কোরবানির বাজারে পশুর ভালো দাম পাওয়ার আশায় রয়েছেন।

জেলার ৯টি উপজেলায় এ বছর ৮ হাজার ১৭৮টি ছোট-বড় খামার রয়েছে। এসব খামারে গরু ৫১ হাজার ১৬৭, ছাগল ৫৪ হাজার ৯২৫, ভেড়া ৪ হাজার ৫৯৭ ও মহিষ ১০৫টিসহ অন্যান্য ৯৭টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এসব খামারে কোরবানির জন্য গরু-ছাগল পরিচর্যায় শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। এ জেলায় ৪০টি গরু-ছাগলের হাট-বাজারে ১৮টি মেডিক্যাল টিম দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার মধ্যে সদর, সালথা, নগরকান্দা, সদরপুর ও বোয়ালমারী উপজেলায় খামারের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।
খামারি ও ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশু পরিচর্যায় শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খামারে কেউ পশুকে খাবার দিচ্ছেন, আবার কেউ গোসল করাচ্ছেন। কোরবানি দেওয়ার জন্য অনেকেই খামার থেকে পশু দেখে যাচ্ছেন। তবে ক্রেতারা অনেক যাচাই-বাছাই করে পশু কিনবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া জেলার পদ্মা ও আড়িয়াল খা’র তীরের নর্থ চ্যানেল, ডিক্রীরচর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন ছাড়াও চরভদ্রাসন, সদরপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের চরবাসীদের আয়ের অন্যতম মাধ্যম গবাদি পশু পালন।

ফরিদপুর শহরতলির বিল মাহমুদপুর এলাকায় মাইশা ডেইরি ফার্মের মালিক রফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, আমার ফার্মে একটি গরুর নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাদশা’। তার ওজন প্রায় ৩০ মণ। বাদশার বয়স সাড়ে তিন বছর। গরুটি লম্বায় ৬ ফুট ১০ ইঞ্চি এবং উচ্চতায় ৯ ফুট ৫ ইঞ্চি। প্রতিদিনই আশপাশের এলাকা থেকে গরুটিকে দেখতে আসছেন ক্রেতারা। বাদশার দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।

আলফাডাঙ্গা উপজেলার গরানিয়া গ্রামের রাজুর খামার দেখভালকারী আক্তার হোসেন জানান, আমরা কোরবানির জন্য ১৫টি গরু প্রস্তুত করেছি। গরুগুলোকে দুই বেলা গোসল করা হয়। কুড়া, ভুসি, ঘাস ও খড় খাওয়ানো হয় এদের। দিন-রাত খামারে একজন মানুষ লেগেই থাকতে হয়। গরু কেনার জন্য অনেকেই এসেছেন। তবে এখনো গরু বিক্রি করতে পারিনি।

ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আশা করছি ফরিদপুরের খামারিরা এ বছর পশুর ভালো দাম পাবেন। যতটুকু জানতে পেরেছি, এ বছর দেশের বাইরে থেকে কোনো পশু আমদানি হচ্ছে না। কোরবানির জন্য চাহিদার চেয়েও কয়েক হাজার পশু বেশি রয়েছে ফরিদপুর জেলায়। জেলার ৪০টি হাটে খামারি ও ব্যবসায়ীদের পশুর সুবিধার্থে ১৮টি চিকিৎসক টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ