ঢাকা ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

ফখরুলের কণ্ঠে আন্দোলনের ইঙ্গিত

  • আপডেট সময় : ১২:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্দলীয় সরকার ছাড়া দেশে নির্বাচন হবে না এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দীর্ঘদিন পর রাজধানীতে দলের বড় জমায়েতে অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আন্দোলন ছাড়া, কোনো গণঅভ্যুত্থান ছাড়া এই দানবকে সরানো যাবে না। এই দানবকে সরাতে হলে আমাদের জনগণকে, সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে।’
গতকাল শনিবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ২০০১ সালের ১ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোটের স্মরণে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিল।
ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার চেষ্টা করছে, আবার তারা ক্ষমতায় আসবে। ওই ধরনের একটা নির্বাচন দিয়ে, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। তার মধ্যে আবার ইভিএম চালু করছে। এটা হলো আরেকটা বড় হাতিয়ারৃ কী করে ভোট চুরি করা যায়, কী করে ভোট না পেয়েও নিজেকে নির্বাচিত ঘোষণা করা যায়। এই চক্রান্ত, এই ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণ করার যে ভয়াবহ প্রচেষ্টা, আমাদের এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটের নামে আর ‘খেলা’ হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কথা খুব পরিষ্কার। নির্বাচন নির্বাচন খেলা আর হবে না। নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় হতে হবে।’
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, ‘আপনাদের দিন ঘনিয়ে এসেছে, দিন শেষ। এখনও সময় আছে মানুষের ভাষাগুলো পড়ুন। দেয়ালের লিখন দেখুন। দেশে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তৈরি করে সরে যান। জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে দিন।’

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা সাহেব, যিনি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরো ধ্বংস করে দিয়েছেন, তিনিও বলছেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত।

তিনি বলেন, ‘যাওয়ার সময় হয়েছে তো! এখন তো আগের মতো প্রোটেকশন পাবেন না। আবার কিছুদিন আগে তিনি রাশিয়াতে গিয়ে নির্বাচন পদ্ধতি দেখে এসেছেন। রাশিয়াতেও একই অবস্থা। যিনি থাকেন সরকারে, হয় তিনি প্রেসিডেন্ট হন, না হয় প্রধানমন্ত্রী হন। ওটা আরও মজার জিনিস। একই লোক বারবার প্রেসিডেন্ট হচ্ছে বারবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছে। ওটা দেখে আসছেন উনি (সিইসি)। দিনের বেলা কীভাবে ভোট করা যায়, সেটা তিনি দেখে এসেছেন।’

আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সাংবাদিক মাহবুব উল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলারা জামানও বক্তব্য রাখেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফখরুলের কণ্ঠে আন্দোলনের ইঙ্গিত

আপডেট সময় : ১২:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্দলীয় সরকার ছাড়া দেশে নির্বাচন হবে না এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দীর্ঘদিন পর রাজধানীতে দলের বড় জমায়েতে অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আন্দোলন ছাড়া, কোনো গণঅভ্যুত্থান ছাড়া এই দানবকে সরানো যাবে না। এই দানবকে সরাতে হলে আমাদের জনগণকে, সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে।’
গতকাল শনিবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ২০০১ সালের ১ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোটের স্মরণে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিল।
ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার চেষ্টা করছে, আবার তারা ক্ষমতায় আসবে। ওই ধরনের একটা নির্বাচন দিয়ে, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। তার মধ্যে আবার ইভিএম চালু করছে। এটা হলো আরেকটা বড় হাতিয়ারৃ কী করে ভোট চুরি করা যায়, কী করে ভোট না পেয়েও নিজেকে নির্বাচিত ঘোষণা করা যায়। এই চক্রান্ত, এই ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণ করার যে ভয়াবহ প্রচেষ্টা, আমাদের এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটের নামে আর ‘খেলা’ হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কথা খুব পরিষ্কার। নির্বাচন নির্বাচন খেলা আর হবে না। নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় হতে হবে।’
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, ‘আপনাদের দিন ঘনিয়ে এসেছে, দিন শেষ। এখনও সময় আছে মানুষের ভাষাগুলো পড়ুন। দেয়ালের লিখন দেখুন। দেশে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তৈরি করে সরে যান। জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে দিন।’

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা সাহেব, যিনি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরো ধ্বংস করে দিয়েছেন, তিনিও বলছেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত।

তিনি বলেন, ‘যাওয়ার সময় হয়েছে তো! এখন তো আগের মতো প্রোটেকশন পাবেন না। আবার কিছুদিন আগে তিনি রাশিয়াতে গিয়ে নির্বাচন পদ্ধতি দেখে এসেছেন। রাশিয়াতেও একই অবস্থা। যিনি থাকেন সরকারে, হয় তিনি প্রেসিডেন্ট হন, না হয় প্রধানমন্ত্রী হন। ওটা আরও মজার জিনিস। একই লোক বারবার প্রেসিডেন্ট হচ্ছে বারবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছে। ওটা দেখে আসছেন উনি (সিইসি)। দিনের বেলা কীভাবে ভোট করা যায়, সেটা তিনি দেখে এসেছেন।’

আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সাংবাদিক মাহবুব উল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলারা জামানও বক্তব্য রাখেন।