ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

পড়াশোনার পাশাপাশি কেকে বাজিমাৎ

  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নারী শিশু প্রতিবেদন : রাজবাড়ী শহরের মেয়ে ইশরাত জাহান। ছোটবেলা থেকেই কেকের প্রতি ছিল দুর্বলতা। মাধ্যমিকে পড়ার সময় নিজেই বানিয়ে খেতেন এই সুস্বাদু খাবার। কলেজে উঠার পর শখের কেক তৈরির নেশাকে রূপ দেন ব্যবসায়।
করোনাভাইরাস মহামারী শুরু হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে পড়ে। বাড়িতে পড়াশোনার পাশাপাশি অবসরে কেকের ব্যবসায় মনোযোগী হন ইশরাত। ফেসবুকে ‘কেক বাড়ি’ নামের একটি পেইজ খোলেন। প্রথমে চেনা-পরিচিতরাই কেকের অর্ডার করতেন এই তরুণীকে। পরে ধীরে ধীরে ইশরাতের কেকের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।
মফস্বল শহরের বাসিন্দা ইশরাত এখন বিভিন্ন উৎসব-দিবসকে ঘিরে কেকের অর্ডার পাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ‘গত দুই বছরে দুইশর বেশি কেকের অর্ডার পেয়েছি ঢাকা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন বড় শহর থেকে। এছাড়া রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাগুরা, কুষ্টিয়া থেকে প্রায় অর্ডার পাই’—বলছিলেন ইশরাত।
উচ্চমাধ্যমিকের গ-ি পেরিয়ে ইশরাত এখন ভর্তি হয়েছেন ঢাকার বদরুন্নেসা কলেজে, পড়বেন মনোবিজ্ঞান নিয়ে। তার ইচ্ছে রাজধানীতে তার তৈরি কেকের শোরুম প্রতিষ্ঠা করা। ‘কেক বাড়ি’ নামের প্রতিষ্ঠানটি দিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী নারী হিসেবে গড়ে তুলতে চান রাজবাড়ির এই মেয়ে।
ইশরাত বলেন, ‘দুই বছর আগে শখ করে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য একটি কেক তৈরির অর্ডার নিই। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা আমার তৈরি কেকের অনেক প্রশাংসা করেন। তাদের উৎসাহ পেয়ে এক পর্যায়ে মা-বাবা আর ভাইবোনের সহযোগিতায় কেকের অর্ডার নিয়ে সরবরাহ শুরু করি। এভাবেই পথ চলা শুরু। এখন আমি নিজেই কেক তৈরির যাবতীয় সরঞ্জাম কিনে আনি।’
কেক তৈরির ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকেন ইশরাত। তিনি বলেন, ‘কেক তৈরির মূল উপাদান ক্রিম, রঙ ও চকলেট কেনার সময় আমি সবসময় সতর্ক থাকি। চেষ্টা করি খাদ্যমান যেন ঠিক থাকে। কেক যেন শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য কোনো প্রকার ঝুকিপূর্ণ না হয়, সেজন্য বিদেশি দামি ব্রান্ডের উপাদান ব্যবহার করি।’
ইশরাত জানান, তার প্রতিষ্ঠান ‘কেক বাড়ি’র ফেসবুক পেইজে নিয়মিত বিভিন্ন প্রকারের তৈরি কেকের ছবি পোস্ট করেন। সেসব ছবি দেখে বেশিরভাগ ক্রেতা অনলাইনের মাধ্যমে তার কাছে কাস্টমাইজড কেকের অর্ডার দিয়ে থাকেন। দাম তুলনামূলক কম আর স্বাদে ভালো হওয়ায় যারা একবার কেক নেন তারা আবারো অর্ডার করেন। ইশরাতের তৈরি হোমমেইড কেক ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে। কেকের গুণগত মান নিয়ে সন্তুষ্ট তার ভোক্তারা। অর্জন করেছেন তাদের প্রশংসা। ঢাকায় কেকের শো-রুম করাই এখন ইশরাতের স্বপ্ন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পড়াশোনার পাশাপাশি কেকে বাজিমাৎ

আপডেট সময় : ১১:৫৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নারী শিশু প্রতিবেদন : রাজবাড়ী শহরের মেয়ে ইশরাত জাহান। ছোটবেলা থেকেই কেকের প্রতি ছিল দুর্বলতা। মাধ্যমিকে পড়ার সময় নিজেই বানিয়ে খেতেন এই সুস্বাদু খাবার। কলেজে উঠার পর শখের কেক তৈরির নেশাকে রূপ দেন ব্যবসায়।
করোনাভাইরাস মহামারী শুরু হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে পড়ে। বাড়িতে পড়াশোনার পাশাপাশি অবসরে কেকের ব্যবসায় মনোযোগী হন ইশরাত। ফেসবুকে ‘কেক বাড়ি’ নামের একটি পেইজ খোলেন। প্রথমে চেনা-পরিচিতরাই কেকের অর্ডার করতেন এই তরুণীকে। পরে ধীরে ধীরে ইশরাতের কেকের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।
মফস্বল শহরের বাসিন্দা ইশরাত এখন বিভিন্ন উৎসব-দিবসকে ঘিরে কেকের অর্ডার পাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ‘গত দুই বছরে দুইশর বেশি কেকের অর্ডার পেয়েছি ঢাকা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন বড় শহর থেকে। এছাড়া রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাগুরা, কুষ্টিয়া থেকে প্রায় অর্ডার পাই’—বলছিলেন ইশরাত।
উচ্চমাধ্যমিকের গ-ি পেরিয়ে ইশরাত এখন ভর্তি হয়েছেন ঢাকার বদরুন্নেসা কলেজে, পড়বেন মনোবিজ্ঞান নিয়ে। তার ইচ্ছে রাজধানীতে তার তৈরি কেকের শোরুম প্রতিষ্ঠা করা। ‘কেক বাড়ি’ নামের প্রতিষ্ঠানটি দিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী নারী হিসেবে গড়ে তুলতে চান রাজবাড়ির এই মেয়ে।
ইশরাত বলেন, ‘দুই বছর আগে শখ করে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য একটি কেক তৈরির অর্ডার নিই। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা আমার তৈরি কেকের অনেক প্রশাংসা করেন। তাদের উৎসাহ পেয়ে এক পর্যায়ে মা-বাবা আর ভাইবোনের সহযোগিতায় কেকের অর্ডার নিয়ে সরবরাহ শুরু করি। এভাবেই পথ চলা শুরু। এখন আমি নিজেই কেক তৈরির যাবতীয় সরঞ্জাম কিনে আনি।’
কেক তৈরির ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকেন ইশরাত। তিনি বলেন, ‘কেক তৈরির মূল উপাদান ক্রিম, রঙ ও চকলেট কেনার সময় আমি সবসময় সতর্ক থাকি। চেষ্টা করি খাদ্যমান যেন ঠিক থাকে। কেক যেন শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য কোনো প্রকার ঝুকিপূর্ণ না হয়, সেজন্য বিদেশি দামি ব্রান্ডের উপাদান ব্যবহার করি।’
ইশরাত জানান, তার প্রতিষ্ঠান ‘কেক বাড়ি’র ফেসবুক পেইজে নিয়মিত বিভিন্ন প্রকারের তৈরি কেকের ছবি পোস্ট করেন। সেসব ছবি দেখে বেশিরভাগ ক্রেতা অনলাইনের মাধ্যমে তার কাছে কাস্টমাইজড কেকের অর্ডার দিয়ে থাকেন। দাম তুলনামূলক কম আর স্বাদে ভালো হওয়ায় যারা একবার কেক নেন তারা আবারো অর্ডার করেন। ইশরাতের তৈরি হোমমেইড কেক ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে। কেকের গুণগত মান নিয়ে সন্তুষ্ট তার ভোক্তারা। অর্জন করেছেন তাদের প্রশংসা। ঢাকায় কেকের শো-রুম করাই এখন ইশরাতের স্বপ্ন।