ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহে বিদ্যানন্দের ‘রিকশা বিন’

  • আপডেট সময় : ০২:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় পর্যাপ্ত বিন না থাকায় যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যদিও ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এই পর্যন্ত ১৫ হাজার রিসাইকেল বিন স্থাপন করেছে। কিন্তু তার মধ্যে ৮০% চুরি হয়ে গেছে কিংবা ভেঙে গেছে। ফলে শহরের ময়লা বা প্লাস্টিক ড্রেনে জমা হওয়ার কারণে ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং প্লাস্টিক দূষণ বেড়েই চলেছে।
এদিকে রিকশার শহর হিসেবে পরিচিত ঢাকায় রয়েছে প্রায় ১০ লাখ রিকশা। ময়লা ফেলার জন্য শহরের সবজায়গায় বিন না থাকলেও রিকশা রয়েছে সবখানে। আর এই রিকশাগুলোতে যদি বিন স্থাপন করা যায় তাহলে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এছাড়াও এই রিকশা বিনগুলো চুরি হওয়ার সম্ভাবনাও কম কেননা রিকশাচালকেরাই এর তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করতে পারবে। জানা যায়, এই চিন্তা থেকেই বিদ্যানন্দ-এর উদ্যোগে রিকশার পেছনে মোবাইল রিসাইক্লিং বিন স্থাপন করা হয়েছে। প্রথমে রিকশা শিল্পের নান্দনিকতাকে মাথায় রেখে রিকশা বিনটি ডিজাইন করা হয়। এরপর রিকশাচালকদেরকে একটি অনুষ্ঠানে ডেকে এই প্রকল্পটি সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করা হয়। যাত্রী হিসেবে থাকা লোকজনের ব্যবহার্য প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট যত্রতত্রভাবে না ফেলে রিকশার পেছনে থাকা বিনে ফেলবেন। আবার রিকশা চলার পথে কুড়িয়ে পাওয়া প্লাস্টিকগুলো সংগ্রহ করবে। এ ছাড়া ধীরে ধীরে মানুষ যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে এই বিন ব্যবহার করা শুরু করবে। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে রিকশাচালকদেরকে বিক্রেতাদের সঙ্গে এমনভাবে যুক্ত করা হয়েছে যেন তারা ন্যায্য মূল্যে প্লাস্টিক বিক্রি করতে পারে। বিদ্যানন্দ জানায়, প্রকল্পটির মাধ্যমে এমন একটি মোবাইল পুনর্ব্যবহারযোগ্য নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে যেন বিনটি আর চুরি না হয়। এভাবে বর্তমানে শহরের যেখানে এমন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে রিকশাচালকেরাও বাড়তি আয় করার সুযোগ পেয়েছে যা তাদের পরিবারের জন্য একটি উন্নত জীবনযাপনে সাহায্য করছে। সঙ্গে ঢাকা শহর ও প্লাস্টিক নামক অভিশাপ থেকে মুক্ত থাকবে। প্রাথমিকভাবে মিরপুরে প্রায় ২০০ জন রিক্সা চালককে এ প্রকল্পের মাধ্যমে নিবন্ধন করা হবে। সরকারী কিংবা সিটি কর্পোরেশন থেকে সার্বিক সহায়তা পেলে এই প্রকল্পটিকে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে যেন সব রিকশাকে এই সিস্টেমের আওতায় আনা যায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহে বিদ্যানন্দের ‘রিকশা বিন’

আপডেট সময় : ০২:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় পর্যাপ্ত বিন না থাকায় যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যদিও ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এই পর্যন্ত ১৫ হাজার রিসাইকেল বিন স্থাপন করেছে। কিন্তু তার মধ্যে ৮০% চুরি হয়ে গেছে কিংবা ভেঙে গেছে। ফলে শহরের ময়লা বা প্লাস্টিক ড্রেনে জমা হওয়ার কারণে ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং প্লাস্টিক দূষণ বেড়েই চলেছে।
এদিকে রিকশার শহর হিসেবে পরিচিত ঢাকায় রয়েছে প্রায় ১০ লাখ রিকশা। ময়লা ফেলার জন্য শহরের সবজায়গায় বিন না থাকলেও রিকশা রয়েছে সবখানে। আর এই রিকশাগুলোতে যদি বিন স্থাপন করা যায় তাহলে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এছাড়াও এই রিকশা বিনগুলো চুরি হওয়ার সম্ভাবনাও কম কেননা রিকশাচালকেরাই এর তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করতে পারবে। জানা যায়, এই চিন্তা থেকেই বিদ্যানন্দ-এর উদ্যোগে রিকশার পেছনে মোবাইল রিসাইক্লিং বিন স্থাপন করা হয়েছে। প্রথমে রিকশা শিল্পের নান্দনিকতাকে মাথায় রেখে রিকশা বিনটি ডিজাইন করা হয়। এরপর রিকশাচালকদেরকে একটি অনুষ্ঠানে ডেকে এই প্রকল্পটি সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করা হয়। যাত্রী হিসেবে থাকা লোকজনের ব্যবহার্য প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট যত্রতত্রভাবে না ফেলে রিকশার পেছনে থাকা বিনে ফেলবেন। আবার রিকশা চলার পথে কুড়িয়ে পাওয়া প্লাস্টিকগুলো সংগ্রহ করবে। এ ছাড়া ধীরে ধীরে মানুষ যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে এই বিন ব্যবহার করা শুরু করবে। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে রিকশাচালকদেরকে বিক্রেতাদের সঙ্গে এমনভাবে যুক্ত করা হয়েছে যেন তারা ন্যায্য মূল্যে প্লাস্টিক বিক্রি করতে পারে। বিদ্যানন্দ জানায়, প্রকল্পটির মাধ্যমে এমন একটি মোবাইল পুনর্ব্যবহারযোগ্য নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে যেন বিনটি আর চুরি না হয়। এভাবে বর্তমানে শহরের যেখানে এমন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে রিকশাচালকেরাও বাড়তি আয় করার সুযোগ পেয়েছে যা তাদের পরিবারের জন্য একটি উন্নত জীবনযাপনে সাহায্য করছে। সঙ্গে ঢাকা শহর ও প্লাস্টিক নামক অভিশাপ থেকে মুক্ত থাকবে। প্রাথমিকভাবে মিরপুরে প্রায় ২০০ জন রিক্সা চালককে এ প্রকল্পের মাধ্যমে নিবন্ধন করা হবে। সরকারী কিংবা সিটি কর্পোরেশন থেকে সার্বিক সহায়তা পেলে এই প্রকল্পটিকে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে যেন সব রিকশাকে এই সিস্টেমের আওতায় আনা যায়।