প্রত্যাশা ডেস্ক : বর্তমানে আইফোনে আসা বার্তাগুলো পড়ার পাশাপাশি চাইলেই ভার্চুয়াল সহকারী সিরির মাধ্যমে শোনা যায়। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিনির্ভর কণ্ঠস্বরের কারণে সিরির উচ্চারণ করা শব্দগুলো পছন্দ করেন না অনেকেই। বিষয়টি অজানা নয় অ্যাপলের কাছেও। আর তাই ভবিষ্যতে আইফোনে আসা বার্তা প্রেরকের কণ্ঠস্বরেই শোনার সুযোগ চালু করতে যাচ্ছে অ্যাপল। শুধু আইমেসেজ ব্যবহারকারীরাই এ সুযোগ পাবেন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক কার্যালয় থেকে এ প্রযুক্তির মেধাস্বত্বও নিজের করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন এ প্রযুক্তি চালু হলে আইমেসেজে আসা যেকোনো বার্তা প্রেরকের কণ্ঠস্বরে শোনা যাবে। তবে এ জন্য প্রেরককে ভয়েস মেসেজের মতো বার্তা রেকর্ড করতে হবে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বার্তায় থাকা শব্দ পড়ে শোনানোর জন্য সিরির প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। অর্থাৎ, বর্তমানে সিরি যে প্রযুক্তিতে বার্তা পড়ে শোনায়, ঠিক একইভাবে লেখা পড়ে শোনাবে অ্যাপল। শুধু প্রেরকের কণ্ঠস্বর, কথা বলার ধরন ইত্যাদি পর্যালোচনা করে সিরির বদলে বার্তা প্রেরকের কণ্ঠস্বর ব্যবহার করা হবে।
অ্যাপল জানিয়েছে, প্রেরকের মুখ থেকে বার্তায় থাকা তথ্য শুনতে চান অনেকে। কিন্তু বর্তমানে লিখিত বার্তা প্রেরকের কণ্ঠস্বরে শোনানোর মতো প্রযুক্তি নেই। এ জন্য প্রযুক্তির উন্নয়ন প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, যন্ত্রের সক্ষমতাও বাড়াতে হবে।
এক প্রতিবেদনে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট বিজিআরডটকম জানিয়েছে, অ্যাপলের এই ধারণা খুব দারুণ মনে হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর কণ্ঠস্বর সঠিকভাবে ব্যবহার হবে কি না, সে বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। ডিপ ফেক ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি যতটা সহজ-সরল ভাবা হচ্ছে, ততটা নয়। কারও বক্তব্য শুনতে চাওয়ার ভালো ধারণা হলো তাঁকে ভয়েস মেসেজ পাঠাতে বলা।
সূত্র: বিজিআর ডটকম
প্রেরকের কণ্ঠস্বরে বার্তা পড়ে শোনাবে আইফোন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ