ঢাকা ০৩:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

প্রেমের টানে চীনা যুবক এখন ভোলায়

  • আপডেট সময় : ০৫:২৪:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

ভোলা সংবাদদাতা: ভোলা সদর উপজেলার ফেরদৌস আক্তার (২০) নামে এক তরুণীর প্রেমের টানে চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছেন লুইজাউ নামে এক যুবক।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সদরের শিবপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোলার খালের সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকায় জিন্না ডাক্তার বা‌ড়িতে এমন ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, ফেরদৌস আক্তার ওই ইউনিয়নের মো. আমানউল্লাহর সপ্তম সন্তান। আর চীনা যুবক লুইজাউ চীনের সিচুয়ান প্রদেশের লুঝৌ শহরের গু‌লিন কাউন্টির তুচেং গ্রামের রোশন লুন ও হুয়াং কিয়াংর প্রথম সন্তান।

সরেজ‌মিনে গিয়ে জানা গেছে, রোববার বেলা ১১টার দিকে ঢাকায় এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছান চীনা যুবক। সেখানে তাকে স্বাগত জানান প্রেমিকা ফেরদৌস, তার মা ম‌রিয়ম বেগম ও বোনের দুলাভাই নুর কা‌রিম। এরপর ওইদিন বিকেলে ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চে ভোলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। এরপর রোববার রাত ২টার দিকে ‌প্রেমিকা ফেরদৌস আক্তারের বা‌ড়ি ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ভোলার খাল সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকায় জিন্না ডাক্তার বা‌ড়িতে আসেন।

প্রেমিকা ফেরদৌস আক্তার জানান, প্রায় এক বছর আগে ওয়াল্ড টক নামে এক‌টি অ্যাপের মাধ্যমে চীনের লুইজাউর সাঙ্গে তার প‌রিচয়। এরপর কথা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তারা দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। চীন থেকে বাংলাদেশ এসে তাকে বিয়ে করে নিয়ে যাবেন চীনে। এজন্য তাকে পাসপোর্ট করতে বলেন।

তি‌নি আরো জানান, আজ আমার ভালোবাসার মানুষ আমার জন্য হাজার মাইল পা‌রি দিয়ে আমাকে বিয়ে করতে এসেছে। আমি তাকে বিয়ে করবো। আমি তাকে অনেক বিশ্বাস ক‌রি। আমি মনে ক‌রি আমার ভালোবাসার অমর্যাদা হবে না। সে আমাকে অনেক সুখে রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

ফেরদৌস আক্তারের মা ম‌রিয়ম বেগম জানান, চীনা ছেলের সাঙ্গে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক আমি বেশ কয়েক মাস আগে জেনে‌ছি। মেয়ে আমাকে সব বলেছে। এখন ছেলে এসেছে আমরা তাদের বিয়ে দেবো। মেয়ে সুখে থাকলেই আমাদের সুখ।

প্রেমিক লুইজাউ বলেন, আমি দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড়। আমি চীনের সিচুয়ান প্রদেশের চেংদুতে পোশাক ও জুতার শোরুমের ব্যবসা ক‌রি। অ্যাপে আমার সঙ্গে ফেরদৌস আক্তারের প‌রিচয়। তার সঙ্গে কথা বলে আমি তাকে ভালোবেসেছি। ভালোবাসার মানুষকে আমি বিয়ে করতে চাই। যত‌দিন বাঁচবো তাকে নিয়েই সংসার করবো।

ভোলা মডেল থানার পু‌লিশ প‌রিদর্শক (ও‌সি তদন্ত) মো. জিয়া উদ্দিন জানান, বিষয়‌টি আমরা শু‌নে‌ছি। পরে চীনা যুবক ও ওই তরুণীর মা-বাবা ও আত্মীয় স্বজনরা থানায় এসে আমাদের বিষয়‌টি জা‌নিয়েছে। ছেলে‌টি বৈধভাবে বাংলাদেশে এসেছে। বর্তমানে চীনা যুবক ওই বা‌ড়িতেই আছেন।

এসি/আপ্র/১৭/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

প্রেমের টানে চীনা যুবক এখন ভোলায়

আপডেট সময় : ০৫:২৪:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

ভোলা সংবাদদাতা: ভোলা সদর উপজেলার ফেরদৌস আক্তার (২০) নামে এক তরুণীর প্রেমের টানে চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছেন লুইজাউ নামে এক যুবক।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সদরের শিবপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোলার খালের সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকায় জিন্না ডাক্তার বা‌ড়িতে এমন ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, ফেরদৌস আক্তার ওই ইউনিয়নের মো. আমানউল্লাহর সপ্তম সন্তান। আর চীনা যুবক লুইজাউ চীনের সিচুয়ান প্রদেশের লুঝৌ শহরের গু‌লিন কাউন্টির তুচেং গ্রামের রোশন লুন ও হুয়াং কিয়াংর প্রথম সন্তান।

সরেজ‌মিনে গিয়ে জানা গেছে, রোববার বেলা ১১টার দিকে ঢাকায় এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছান চীনা যুবক। সেখানে তাকে স্বাগত জানান প্রেমিকা ফেরদৌস, তার মা ম‌রিয়ম বেগম ও বোনের দুলাভাই নুর কা‌রিম। এরপর ওইদিন বিকেলে ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চে ভোলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। এরপর রোববার রাত ২টার দিকে ‌প্রেমিকা ফেরদৌস আক্তারের বা‌ড়ি ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ভোলার খাল সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকায় জিন্না ডাক্তার বা‌ড়িতে আসেন।

প্রেমিকা ফেরদৌস আক্তার জানান, প্রায় এক বছর আগে ওয়াল্ড টক নামে এক‌টি অ্যাপের মাধ্যমে চীনের লুইজাউর সাঙ্গে তার প‌রিচয়। এরপর কথা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তারা দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। চীন থেকে বাংলাদেশ এসে তাকে বিয়ে করে নিয়ে যাবেন চীনে। এজন্য তাকে পাসপোর্ট করতে বলেন।

তি‌নি আরো জানান, আজ আমার ভালোবাসার মানুষ আমার জন্য হাজার মাইল পা‌রি দিয়ে আমাকে বিয়ে করতে এসেছে। আমি তাকে বিয়ে করবো। আমি তাকে অনেক বিশ্বাস ক‌রি। আমি মনে ক‌রি আমার ভালোবাসার অমর্যাদা হবে না। সে আমাকে অনেক সুখে রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

ফেরদৌস আক্তারের মা ম‌রিয়ম বেগম জানান, চীনা ছেলের সাঙ্গে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক আমি বেশ কয়েক মাস আগে জেনে‌ছি। মেয়ে আমাকে সব বলেছে। এখন ছেলে এসেছে আমরা তাদের বিয়ে দেবো। মেয়ে সুখে থাকলেই আমাদের সুখ।

প্রেমিক লুইজাউ বলেন, আমি দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড়। আমি চীনের সিচুয়ান প্রদেশের চেংদুতে পোশাক ও জুতার শোরুমের ব্যবসা ক‌রি। অ্যাপে আমার সঙ্গে ফেরদৌস আক্তারের প‌রিচয়। তার সঙ্গে কথা বলে আমি তাকে ভালোবেসেছি। ভালোবাসার মানুষকে আমি বিয়ে করতে চাই। যত‌দিন বাঁচবো তাকে নিয়েই সংসার করবো।

ভোলা মডেল থানার পু‌লিশ প‌রিদর্শক (ও‌সি তদন্ত) মো. জিয়া উদ্দিন জানান, বিষয়‌টি আমরা শু‌নে‌ছি। পরে চীনা যুবক ও ওই তরুণীর মা-বাবা ও আত্মীয় স্বজনরা থানায় এসে আমাদের বিষয়‌টি জা‌নিয়েছে। ছেলে‌টি বৈধভাবে বাংলাদেশে এসেছে। বর্তমানে চীনা যুবক ওই বা‌ড়িতেই আছেন।

এসি/আপ্র/১৭/১১/২০২৫