নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায় এক দম্পতিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৮ মে) বেলা দেড়টার দিকে পল্লবী থানার মিরপুর-১১ নম্বরের বি ব্লকের পাঁচতলা একটি বাসার পঞ্চম তলায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই সৌদিপ্রবাসী এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুন হওয়া দুজন হলেন দোলনা আক্তার দোলা (২৯) ও তাঁর স্বামী নাজমুল হাসান পাপ্পু (৩৬)। গ্রেফতার যুবকের নাম গাউস মিয়া (৩২)। তাঁর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়।
পুলিশ বলছে, গাউস মিয়ার সঙ্গে দোলার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দোলার বিয়ে হয়েছে, সেটি তিনি আগে জানতেন না। আজ সকালে গাউস মিয়া বিষয়টি জানতে পারেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দোলা ও তাঁর স্বামীকে গাউস মিয়া কুপিয়ে হত্যা করেন।
পুলিশের পল্লবী অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সালেহ মুহম্মদ জাকারিয়া বলেন, দোলনা আক্তার উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে এলএলএম করছেন। তিনি মিরপুর-১১ নম্বরে একটি ভবনের পাঁচতলায় ‘সাবলেট’ থাকতেন। তাঁর স্বামী পাপ্পু বরগুনায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। এ কারণে তিনি বরগুনাতে থাকতেন। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আসা-যাওয়া করতেন। দুই দিন আগে তিনি বরগুনা থেকে ঢাকায় আসেন।
খুনের ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ কর্মকর্তা সালেহ মুহম্মদ জাকারিয়া বলেন, গ্রেফতার গাউস মিয়া সৌদিপ্রবাসী। গাউস মিয়ার সঙ্গে দোলার ফেসবুকে পরিচয় হয়। সেই সূত্রে দোলার সঙ্গে গাউস মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত জানুয়ারিতে গাউস মিয়া দেশে ফিরে মিরপুরের একটি বাসায় ওঠেন। তারপর বিভিন্ন সময় দোলার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে। দোলার বিয়ে হয়েছে, সেটি গাউস মিয়া জানতেন না। আজ সকালে বাসার বাইরে একটি খাবার হোটেলে নাশতা করতে গিয়েছিলেন দোলা ও তাঁর স্বামী পাপ্পু। গাউস মিয়া তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে দেখে অনুসরণ করতে থাকেন। দোলা ও পাপ্পুকে একসঙ্গে বাসায় উঠতেও দেখেন তিনি। বিষয়টির খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারেন, দোলা আগেই বিয়ে করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাসা থেকে দুটি ছুরি নিয়ে দোলার বাসায় যান গাউস। পরে দোলা ও তাঁর স্বামী পাপ্পুকে কুপিয়ে হত্যা করেন। গাউস মিয়া পুরো ঘটনা অকপটে স্বীকার করেছেন বলে জানান এডিসি সালেহ মুহম্মদ জাকারিয়া। তিনি বলেন, দোলার স্বামী আছে, সেটি জানতে পেরেই গাউস উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না। আর তখনই তিনি দোলা ও তাঁর স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করেন।