লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রেমের বয়সের উত্তর কেউই দিতে পারবে না। প্রেম যে কখন কার জীবনে এসে পিড়ি পেতে বসবে তার কোনো আগাম হিসাব নেই। কেউ আঠারোতেই প্রেমে পড়েন আবার কারো দরজায় প্রেম এসে কড়া নাড়ে ৩৮তম বসন্তে। তবে যে বয়সেই প্রেম আসুক না কেন, তাতে রোমান্সের যেন কোনো ঘাটতি না থাকে।
প্রেমকে বয়সের ফ্রেমে যেমন আটকানো যায় না, তেমনি প্রেমিক-প্রেমিকার বয়সের পার্থক্যও নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয় না। অনেক সময় মানুষ বয়সের অনেক বড় কিংবা অনেক ছোট কারোর প্রেমে পড়েন। বইয়ের ভাষায় যাকে অসম প্রেম বলে।
প্রেমিকার বয়স ১০ বছর কিংবা এরও বেশি ছোট হলে সম্পর্ক সুন্দরভাবে এগিয়ে নিতে কয়েকটি বিষয় জানতে হবে। তা হলোÑ
প্রথমেই দুজন দুজনকে সময় নিন। প্রেমে হাবুডুবু খাওয়ার আগে নিজেদের চিনুন। প্রয়োজনে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলুন। সময় নিয়ে সম্পর্কে আগান।
সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করা: আপনি হয়তো তার সঙ্গে সারাজীবন কাটানোর প্ল্যান করছেন, তাকে জীবনসঙ্গী বানাবেন ভাবছেন। অপরপক্ষও কি একই রকম ভাবছে? নাকি সে প্রেম বলতে কেবল ডেটিং আর সুসময় কাটানো বুঝছে? তাই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করে নিন।
বুঝে-শুনে ইমোশন ব্যয় করা: যদি আলাপ করে বা সময় কাটিয়ে পছন্দ না হয়, তাহলে একেবারেই ইমোশনালি জড়াবেন না। কারণ আপনি হয়তো এ বিষয়টি থেকে সহজে বেরিয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু অন্যজন সেটি নাও পারতে পারে।
পছন্দ-অপছন্দ জানানো: সম্পর্কের শুরুতেই নিজের পছন্দ ও অপছন্দের কথা স্পষ্ট করে দিন। এতে সম্পর্ক এগোবে সহজেই। এসবের পাশাপাশি নিজের চেহারা আর মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও মন দিন। এতে সুস্থ সম্পর্ক চালিয়ে নিতে পারবেন।
দুজনের সম্পর্ক যদি মজবুত হয়, বোঝাপড়া ঠিক থাকে তাহলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিন।