ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
প্রেমপত্র ভেবে গুলতেকিন হলুদ খামে পেয়েছিলেন হুমায়ূনের বিচ্ছেদের নোটিশ

প্রেমপত্র ভেবে গুলতেকিন হলুদ খামে পেয়েছিলেন হুমায়ূনের বিচ্ছেদের নোটিশ

  • আপডেট সময় : ১১:২৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক : কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খানকে ডাকযোগে একটি হলুদ খামে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। প্রায় দুই দশক আগের সেই দিনের ঘটনা এক ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেছেন গুলতেকিন খান। নোটিশের সেই চিঠির খাম ও নোটিশটি ফেসবুকে শেয়ার করে গুলতেকিন লিখেছেন, ‘এ ধরনের হলদে খামে চিঠি আসলে আমার মেয়ে শীলা বলত, এগুলো তোমাকে লেখা প্রেমপত্র। শীলার বাবার লেখা আত্মজীবনীমূলক বই পড়ে অনেকেই আমাকে চিঠি লিখত।’
২০০৪ সালের ৬ জুন হলুদ খামে ‘তালাকের নোটিশ’ আসার কথা জানিয়ে পোস্টে গুলতেকিন আরও লিখেছেন, ‘জুন মাসের ৬ (২০০৪ সালের) তারিখে স্কুল থেকে ফিরতেই শীলা বলল, ‘‘তোমার একটা প্রেমপত্র এসেছে’’। আমি খামটি খুলতে খুলতে সিডি (এখানে ড-এর নিচে একটি ফোটা থাকার কথা) বেয়ে ওপরে উঠছিলাম, ওপরে উঠে চিঠিতে চোখ রাখতেই বের হয়ে আসল একটি কাগজ।’
নোটিশে হুমায়ূন লিখেছিলেন, ‘বিবাহের পর থেকেই তাহার সহিত আমার কোনোমতেই বনিবনা হইতেছে না। ভবিষ্যতেও বনিবনা হইবার কোনোরূপ সম্ভাবনা না থাকায় আমি অপারগ।’ পোস্টের নিচে মন্তব্যের বক্সে গুলতেকিন লিখেছেন, ‘আমার সাথে তার কোনো রকম বিরোধ নেই। আমি তাকে নিয়ে এখন পর্যন্ত একটিও নেগেটিভ কথা কারও কাছেই বলিনি। এটি আমার স্বভাবের সাথে যায় না।’
এবিষয়ক আরেক পোস্টে এই খাম খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে গুলতেকিন লেখেন, ‘এই খামটির ভেতরে খুব যতœ করে রাখা ছিল আরেকটি খাম, আজকে ট্যাক্স এর জন্য কিছু কাগজ খুঁজতে গিয়ে এটি পেয়ে গেলাম।’
পরে আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি হাসতে হাসতে বললাম, শীলা বাবা, তোমার ডেডি তো আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে।’
১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের তরুণ শিক্ষক হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কিশোরী গুলতেকিনের বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে আসে এক ছেলে ও তিন মেয়ে। গুলতেকিনের সঙ্গে বিবাবিচ্ছেদের দুই বছর পর ২০০৫ সালে হুমায়ূন আহমেদ বিয়ে করেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে। এরপর ২০১৯ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কবি আফতাব আহমদকে বিয়ে করেন গুলতেকিন। গত বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে মারা যান গুলতেকিনের স্বামী কবি আফতাব আহমদ।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

প্রেমপত্র ভেবে গুলতেকিন হলুদ খামে পেয়েছিলেন হুমায়ূনের বিচ্ছেদের নোটিশ

প্রেমপত্র ভেবে গুলতেকিন হলুদ খামে পেয়েছিলেন হুমায়ূনের বিচ্ছেদের নোটিশ

আপডেট সময় : ১১:২৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

বিনোদন প্রতিবেদক : কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খানকে ডাকযোগে একটি হলুদ খামে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। প্রায় দুই দশক আগের সেই দিনের ঘটনা এক ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেছেন গুলতেকিন খান। নোটিশের সেই চিঠির খাম ও নোটিশটি ফেসবুকে শেয়ার করে গুলতেকিন লিখেছেন, ‘এ ধরনের হলদে খামে চিঠি আসলে আমার মেয়ে শীলা বলত, এগুলো তোমাকে লেখা প্রেমপত্র। শীলার বাবার লেখা আত্মজীবনীমূলক বই পড়ে অনেকেই আমাকে চিঠি লিখত।’
২০০৪ সালের ৬ জুন হলুদ খামে ‘তালাকের নোটিশ’ আসার কথা জানিয়ে পোস্টে গুলতেকিন আরও লিখেছেন, ‘জুন মাসের ৬ (২০০৪ সালের) তারিখে স্কুল থেকে ফিরতেই শীলা বলল, ‘‘তোমার একটা প্রেমপত্র এসেছে’’। আমি খামটি খুলতে খুলতে সিডি (এখানে ড-এর নিচে একটি ফোটা থাকার কথা) বেয়ে ওপরে উঠছিলাম, ওপরে উঠে চিঠিতে চোখ রাখতেই বের হয়ে আসল একটি কাগজ।’
নোটিশে হুমায়ূন লিখেছিলেন, ‘বিবাহের পর থেকেই তাহার সহিত আমার কোনোমতেই বনিবনা হইতেছে না। ভবিষ্যতেও বনিবনা হইবার কোনোরূপ সম্ভাবনা না থাকায় আমি অপারগ।’ পোস্টের নিচে মন্তব্যের বক্সে গুলতেকিন লিখেছেন, ‘আমার সাথে তার কোনো রকম বিরোধ নেই। আমি তাকে নিয়ে এখন পর্যন্ত একটিও নেগেটিভ কথা কারও কাছেই বলিনি। এটি আমার স্বভাবের সাথে যায় না।’
এবিষয়ক আরেক পোস্টে এই খাম খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে গুলতেকিন লেখেন, ‘এই খামটির ভেতরে খুব যতœ করে রাখা ছিল আরেকটি খাম, আজকে ট্যাক্স এর জন্য কিছু কাগজ খুঁজতে গিয়ে এটি পেয়ে গেলাম।’
পরে আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি হাসতে হাসতে বললাম, শীলা বাবা, তোমার ডেডি তো আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে।’
১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের তরুণ শিক্ষক হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কিশোরী গুলতেকিনের বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে আসে এক ছেলে ও তিন মেয়ে। গুলতেকিনের সঙ্গে বিবাবিচ্ছেদের দুই বছর পর ২০০৫ সালে হুমায়ূন আহমেদ বিয়ে করেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে। এরপর ২০১৯ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কবি আফতাব আহমদকে বিয়ে করেন গুলতেকিন। গত বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে মারা যান গুলতেকিনের স্বামী কবি আফতাব আহমদ।