ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রিডিমেনশিয়ার যত লক্ষণ

  • আপডেট সময় : ১১:১১:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : ভুলে যাওয়ার সমস্যা কম-বেশি অনেকেরই থাকে। কিন্তু ডিমেনশিয়া একটি নিউরো ডিজেনারেটিভ রোগ। সাধারণত ৬০-৬৫ বছরে হলেও আজকাল পঞ্চাশের কোঠায়ও অনেকে ভুলে যাওয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে রোগটি প্রকাশ পাওয়ার কয়েক বছর আগে থেকেই কিন্তু ধীরে ধীরে লক্ষণ জানান দেয়। এ কারণে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত। ভুলে যাওয়া বেশিটা কতটা হলে তা প্রিডিমেনশিয়ার লক্ষণ তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ডিমেনশিয়ার কারণে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু ভুলে যাওয়াই ডিমেনশিয়ার একমাত্র লক্ষণ নয়। ডিমেনশিয়ার সাধারণ উপসর্গ হল সাম্প্রতিক কালের কিংবা একদিনের মধ্যে হওয়া কোনও ঘটনা, খুব পরিচিত কারোর নাম ভুলে যাওয়া, স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিহ্রাস, বার বার একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা, সময় সম্পর্কে জ্ঞান হারিয়ে যাওয়া, টাকাপয়সার হিসাব করতে ভুল হওয়া, ঘনঘন মেজাজের পরিবর্তন, কোনও বিষয়ে সহজে সিদ্ধান্ত নিতে না পারা, একই কাজে বেশিক্ষণ মনোযোগ রাখতে না পারা, নতুন জায়গায় গেলে হারিয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
কখন ঝুঁকি বেশি?
শরীরে কোনও ক্রনিক রোগ থাকলে অল্প বয়সে ডিমেনশিয়ার লক্ষণ শুরু হয়ে যেতে পারে বা ডিমেনশিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে হার্টের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডসহ কোনও কোমর্বিটি থাকলে আগে সেগুলির নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। আবার বংশগতভাবেও ডিমেনশিয়া হতে পারে।
কী কী কারণে আক্রান্ত হতে পারেন?
অ্যালঝাইমার হলে ডিমেনশিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, অ্যালঝাইমারই একমাত্র কারণ নয়। বেশি অ্যালকোহল পান, মস্তিষ্কে কোনও টিউমার কিংবা ব্রেনে রক্ত জমাট বাঁধলে, ভিটামিন বি-১২-এর অভাব, থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, রক্তে গ্লুকোজ কম থাকলে, কোনও নিউরো ডিসঅর্ডার থাকলে তা থেকে ডিমেনশয়া দেখা দিতে পারে।
প্রতিরোধে করণীয়
১. ডিমেনশিয়া চিকিৎসার আগে রোগীর কোনও ক্রনিক রোগ থাকলে আগে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
২. অ্যালকোহল সেবন ও ধূমপান কম করতে হবে।
৩.সুষম খাদ্যাভাস মেনে চলতে হবে। বেশি করে ফল, সবজি ডায়েটে রাখতে হবে।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৫. নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। পেশাগত কাজ ছাড়াও মস্তিষ্ক যাতে সক্রিয় থাকে এমন কোনও কাজে নিজেকে যুক্ত রাখতে হবে।
৬. ডিমেনশিয়া রোগীর পরিবারের সদস্যদের সাহায্য গুরুত্বপূর্ণ। অনেকসময় রোগী নিজের মধ্যে লক্ষণ বুঝতে পারেন না কিংবা রোগটি লুকিয়ে রাখতে চান। তাই আপনি যদি বুঝতে পারেন প্রিয়জন ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রিডিমেনশিয়ার যত লক্ষণ

আপডেট সময় : ১১:১১:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : ভুলে যাওয়ার সমস্যা কম-বেশি অনেকেরই থাকে। কিন্তু ডিমেনশিয়া একটি নিউরো ডিজেনারেটিভ রোগ। সাধারণত ৬০-৬৫ বছরে হলেও আজকাল পঞ্চাশের কোঠায়ও অনেকে ভুলে যাওয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে রোগটি প্রকাশ পাওয়ার কয়েক বছর আগে থেকেই কিন্তু ধীরে ধীরে লক্ষণ জানান দেয়। এ কারণে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত। ভুলে যাওয়া বেশিটা কতটা হলে তা প্রিডিমেনশিয়ার লক্ষণ তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ডিমেনশিয়ার কারণে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু ভুলে যাওয়াই ডিমেনশিয়ার একমাত্র লক্ষণ নয়। ডিমেনশিয়ার সাধারণ উপসর্গ হল সাম্প্রতিক কালের কিংবা একদিনের মধ্যে হওয়া কোনও ঘটনা, খুব পরিচিত কারোর নাম ভুলে যাওয়া, স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিহ্রাস, বার বার একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা, সময় সম্পর্কে জ্ঞান হারিয়ে যাওয়া, টাকাপয়সার হিসাব করতে ভুল হওয়া, ঘনঘন মেজাজের পরিবর্তন, কোনও বিষয়ে সহজে সিদ্ধান্ত নিতে না পারা, একই কাজে বেশিক্ষণ মনোযোগ রাখতে না পারা, নতুন জায়গায় গেলে হারিয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
কখন ঝুঁকি বেশি?
শরীরে কোনও ক্রনিক রোগ থাকলে অল্প বয়সে ডিমেনশিয়ার লক্ষণ শুরু হয়ে যেতে পারে বা ডিমেনশিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে হার্টের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডসহ কোনও কোমর্বিটি থাকলে আগে সেগুলির নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। আবার বংশগতভাবেও ডিমেনশিয়া হতে পারে।
কী কী কারণে আক্রান্ত হতে পারেন?
অ্যালঝাইমার হলে ডিমেনশিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, অ্যালঝাইমারই একমাত্র কারণ নয়। বেশি অ্যালকোহল পান, মস্তিষ্কে কোনও টিউমার কিংবা ব্রেনে রক্ত জমাট বাঁধলে, ভিটামিন বি-১২-এর অভাব, থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, রক্তে গ্লুকোজ কম থাকলে, কোনও নিউরো ডিসঅর্ডার থাকলে তা থেকে ডিমেনশয়া দেখা দিতে পারে।
প্রতিরোধে করণীয়
১. ডিমেনশিয়া চিকিৎসার আগে রোগীর কোনও ক্রনিক রোগ থাকলে আগে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
২. অ্যালকোহল সেবন ও ধূমপান কম করতে হবে।
৩.সুষম খাদ্যাভাস মেনে চলতে হবে। বেশি করে ফল, সবজি ডায়েটে রাখতে হবে।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৫. নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। পেশাগত কাজ ছাড়াও মস্তিষ্ক যাতে সক্রিয় থাকে এমন কোনও কাজে নিজেকে যুক্ত রাখতে হবে।
৬. ডিমেনশিয়া রোগীর পরিবারের সদস্যদের সাহায্য গুরুত্বপূর্ণ। অনেকসময় রোগী নিজের মধ্যে লক্ষণ বুঝতে পারেন না কিংবা রোগটি লুকিয়ে রাখতে চান। তাই আপনি যদি বুঝতে পারেন প্রিয়জন ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।