ঢাকা ০৭:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

‘প্রায় আলোর গতিতে’ ডেটা স্থানান্তর করবে স্টারলিংক

  • আপডেট সময় : ১০:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : ‘প্রায় আলোর গতিতে’ ডেটা স্থানান্তরের সক্ষমতা থাকবে কৃত্রিম উপগ্রহ নির্ভর ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংকের। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক।

গিজমো চায়নার প্রতিবেদন বলছে, বর্তমানে স্টারলিংকের নেটওয়ার্ক ডিশ, স্যাটেলাইট ও গ্রাউন্ড স্টেশনের উপর নির্ভরশীল। তবে, আগামীতে যে গ্রাউন্ড স্টেশন থাকবে না, সে ইঙ্গিত দিয়েছেন মাস্ক। কারণ এ স্টেশনগুলো কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগে দীর্ঘ সময় নেয় যা দ্রুত গতিতে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

গোটা সুমেরুবৃত্ত থেকে শিগগিরই গ্রাউন্ড স্টেশন উপাদান সরিয়ে নেওয়ার এবং পর্যাপ্ত ব্যান্ডউইথ দেওয়ার বিষয়েও নিশ্চিত করেছেন স্পেসএক্স প্রধান।

মাস্কের দাবি, গতানুগতিক অপটিকাল ফাইবারের গতির তুলনায় লেজারের ট্রান্সমিশন গতি ৪০ শতাংশ দ্রুততর হবে। গিজমো চায়নার প্রতিবেদন বলছে, এতে করে বিশ্ববাসী হয়তো নতুন করে কোনোকিছু গড়ে তোলার আবশ্যিকতা ছাড়াই অত্যন্ত দ্রুত গতির স্থানান্তর সক্ষমতা দেখতে পাবেন।

মাস্কের সাম্প্রতিক বিবৃতি ও গতির হিসাব অপটিকাল ফাইবারের বিদ্যমান গতির হিসেবে করা। গিজমো চায়নার প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, এক লাখ ৮০ হাজার আটশ’ ৩২ মাইল গতিতে ডেটা প্যাকেট স্থানান্তর করতে পারবে স্টারলিংক। এ গতি শূন্যতায় আলোর গতির আনুমানিক ৯৭ শতাংশ।

স্টারলিংক সাম্প্রতিক সময়ে গ্রাহকদের কাছে এক লাখ টার্মিনাল বিক্রি করেছে। কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপনের মাধ্যমে বৈশ্বিক ব্রডব্যান্ড সংযুক্ততা সেবা নিয়ে আসাই এ প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘প্রায় আলোর গতিতে’ ডেটা স্থানান্তর করবে স্টারলিংক

আপডেট সময় : ১০:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক : ‘প্রায় আলোর গতিতে’ ডেটা স্থানান্তরের সক্ষমতা থাকবে কৃত্রিম উপগ্রহ নির্ভর ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংকের। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক।

গিজমো চায়নার প্রতিবেদন বলছে, বর্তমানে স্টারলিংকের নেটওয়ার্ক ডিশ, স্যাটেলাইট ও গ্রাউন্ড স্টেশনের উপর নির্ভরশীল। তবে, আগামীতে যে গ্রাউন্ড স্টেশন থাকবে না, সে ইঙ্গিত দিয়েছেন মাস্ক। কারণ এ স্টেশনগুলো কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগে দীর্ঘ সময় নেয় যা দ্রুত গতিতে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

গোটা সুমেরুবৃত্ত থেকে শিগগিরই গ্রাউন্ড স্টেশন উপাদান সরিয়ে নেওয়ার এবং পর্যাপ্ত ব্যান্ডউইথ দেওয়ার বিষয়েও নিশ্চিত করেছেন স্পেসএক্স প্রধান।

মাস্কের দাবি, গতানুগতিক অপটিকাল ফাইবারের গতির তুলনায় লেজারের ট্রান্সমিশন গতি ৪০ শতাংশ দ্রুততর হবে। গিজমো চায়নার প্রতিবেদন বলছে, এতে করে বিশ্ববাসী হয়তো নতুন করে কোনোকিছু গড়ে তোলার আবশ্যিকতা ছাড়াই অত্যন্ত দ্রুত গতির স্থানান্তর সক্ষমতা দেখতে পাবেন।

মাস্কের সাম্প্রতিক বিবৃতি ও গতির হিসাব অপটিকাল ফাইবারের বিদ্যমান গতির হিসেবে করা। গিজমো চায়নার প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, এক লাখ ৮০ হাজার আটশ’ ৩২ মাইল গতিতে ডেটা প্যাকেট স্থানান্তর করতে পারবে স্টারলিংক। এ গতি শূন্যতায় আলোর গতির আনুমানিক ৯৭ শতাংশ।

স্টারলিংক সাম্প্রতিক সময়ে গ্রাহকদের কাছে এক লাখ টার্মিনাল বিক্রি করেছে। কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপনের মাধ্যমে বৈশ্বিক ব্রডব্যান্ড সংযুক্ততা সেবা নিয়ে আসাই এ প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য।