ঢাকা ০৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

প্রাথমিকের বর্ষসেরা উদ্ভাবক হলেন ৫ শিক্ষক-কর্মকর্তা

  • আপডেট সময় : ১০:২০:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : প্রাথমিক শিক্ষার নতুন উদ্ভাবনা এবং পাঠদান উপযোগী পরিকল্পনা তৈরি করায় বর্ষসেরা পাঁচজন উদ্ভাবককে নির্বাচন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেয়া হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) থেকে জানা গেছে।
জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এ বছরও প্রাথমিক শিক্ষার ইনোভেশন শোপিজ-২০২১ আয়োজন করা হয়। এবার সেরা পাঁচ উদ্ভাবককে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রতি অর্থবছরের শুরু থেকে কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের কাছে থেকে তাদের উদ্ভাবনা সংগ্রহ করে মে-জুনে চূড়ান্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে এ আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, নির্বাচিত পাঁচটির মধ্যে তিনটি নতুন উদ্ভাবনী ধারণা এবং দুইটি ক্ষুদ্র উন্নয়ন প্রকল্প। তাদের মধ্যে রয়েছেন- ডিপিইর শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শরীফ উল ইসলাম, সিলেটের শিক্ষা কর্মকর্তা কিশলয় চক্রবর্তী, দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদুল হাসান, চট্টগ্রামের ভুমিরখীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সাইফুল্লাহ সরোয়ার এবং মোহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি বিজয়ী হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৪৫টি উদ্ভাবনীর মধ্য থেকে তারা চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে নির্বাচিত হন। বিজয়ীদের সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়ে থাকে।
করোনার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ঘরে রেখে আনন্দদায়ক পাঠদানের পদ্ধতি উদ্ভাবন করে সেরা পাঁচজনের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন কামরুন নাহার লিপি। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথমবারের মতো আমি সেরা পাঁচজন উদ্ভাবকের তালিকায় নির্বাচিত হয়েছি। করোনার সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আনন্দময় পরিবেশে পাঠদান করাটায় আমার উদ্ভাবনী চিন্তার মূল লক্ষ্য ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাকালে শিক্ষা প্রতিযোগী ও আনন্দ’ এটি তার উদ্ভাবনী। আমার উদ্ভাবনী বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমান মহামারিতে শিক্ষার্থীদের ঘরে বসে আনন্দদায়কভাবে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে ইনোভেশন নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রধান ডিপিইর শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এ বছর করোনাকালীন পাঠদান ও ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট ৪৩টি আইডিয়া প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। তার মধ্যে পাঁচজনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, এ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডিপিইর মহাপরিচালক, এটুআইয়ের সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট প্রায় ৩০০ জন কর্মকর্তা চূড়ান্তভাবে বিজয়ীদের নির্বাচন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতি অর্থবছরের শুরুতে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের কাছে প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত নতুন উদ্ভাবনা সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। নির্বাচিত উদ্ভাবনাগুলো অধিদফতরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। চূড়ান্ত বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেয়া হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রাথমিকের বর্ষসেরা উদ্ভাবক হলেন ৫ শিক্ষক-কর্মকর্তা

আপডেট সময় : ১০:২০:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : প্রাথমিক শিক্ষার নতুন উদ্ভাবনা এবং পাঠদান উপযোগী পরিকল্পনা তৈরি করায় বর্ষসেরা পাঁচজন উদ্ভাবককে নির্বাচন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেয়া হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) থেকে জানা গেছে।
জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এ বছরও প্রাথমিক শিক্ষার ইনোভেশন শোপিজ-২০২১ আয়োজন করা হয়। এবার সেরা পাঁচ উদ্ভাবককে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রতি অর্থবছরের শুরু থেকে কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের কাছে থেকে তাদের উদ্ভাবনা সংগ্রহ করে মে-জুনে চূড়ান্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে এ আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, নির্বাচিত পাঁচটির মধ্যে তিনটি নতুন উদ্ভাবনী ধারণা এবং দুইটি ক্ষুদ্র উন্নয়ন প্রকল্প। তাদের মধ্যে রয়েছেন- ডিপিইর শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শরীফ উল ইসলাম, সিলেটের শিক্ষা কর্মকর্তা কিশলয় চক্রবর্তী, দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদুল হাসান, চট্টগ্রামের ভুমিরখীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সাইফুল্লাহ সরোয়ার এবং মোহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি বিজয়ী হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৪৫টি উদ্ভাবনীর মধ্য থেকে তারা চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে নির্বাচিত হন। বিজয়ীদের সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়ে থাকে।
করোনার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ঘরে রেখে আনন্দদায়ক পাঠদানের পদ্ধতি উদ্ভাবন করে সেরা পাঁচজনের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন কামরুন নাহার লিপি। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথমবারের মতো আমি সেরা পাঁচজন উদ্ভাবকের তালিকায় নির্বাচিত হয়েছি। করোনার সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আনন্দময় পরিবেশে পাঠদান করাটায় আমার উদ্ভাবনী চিন্তার মূল লক্ষ্য ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাকালে শিক্ষা প্রতিযোগী ও আনন্দ’ এটি তার উদ্ভাবনী। আমার উদ্ভাবনী বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমান মহামারিতে শিক্ষার্থীদের ঘরে বসে আনন্দদায়কভাবে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে ইনোভেশন নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রধান ডিপিইর শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এ বছর করোনাকালীন পাঠদান ও ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট ৪৩টি আইডিয়া প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। তার মধ্যে পাঁচজনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, এ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডিপিইর মহাপরিচালক, এটুআইয়ের সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট প্রায় ৩০০ জন কর্মকর্তা চূড়ান্তভাবে বিজয়ীদের নির্বাচন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতি অর্থবছরের শুরুতে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের কাছে প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত নতুন উদ্ভাবনা সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। নির্বাচিত উদ্ভাবনাগুলো অধিদফতরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। চূড়ান্ত বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেয়া হয়।