ঢাকা ০৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

প্রাণের পণ্য আবুধাবিতে উৎপাদন হবে

  • আপডেট সময় : ০১:২৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক ডেস্ক : আবুধাবিতে খাদ্য উৎপাদন কারখানা স্থাপনের জন্য চুক্তি করেছে ইমার্জিং ওয়ার্ল্ড এফজেডসি ও খলিফা ইকোনমিক জোন দুবাই (কেজাদ গ্রুপ)। এর মাধ্যমে আবুধাবির স্থানীয় ও আঞ্চলিক বাজারে সহজেই ক্রেতাদের খাদ্য চাহিদা পূরণ হবে। ওই কারখানায় উৎপাদন করা হবে প্রাণ ব্র্যান্ডের বিভিন্ন খাদ্যপণ্য। ইমার্জিং ওয়ার্ল্ড এফজেডসি মধ্যপ্রাচ্যে প্রাণ গ্রুপের একক আমদানিকারক। এই চুক্তির আওতায় ১১০ মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে খাদ্য উৎপাদন কারখানা। ৪২ হাজার বর্গমিটারের ওই কারখানা বিশেষায়িত খলিফা বন্দরে সরাসরি সংযোগ পাবে। এর মাধ্যমে ইমার্জিং ওয়ার্ল্ড আমদানির বদলে আমিরাতেই প্রাণের পণ্য তৈরি করতে পারবে। সেসব পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় পার্শ্ববর্তী মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে রপ্তানি হবে। যেসব দেশে এ সুবিধা পাওয়া যাবে তার মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরাইন, কাতার, ওমান, জর্ডান, মিশর, ইরাক, লেবানন, মরোক্কো, তিউনিশিয়া, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লিবিয়া এবং ইয়েমেন। কেজাদ গ্রুপের সঙ্গে ভূমি ব্যবহার সংক্রান্ত এই চুক্তির মেয়াদ ৩০ বছর। এই কারখানায় যে পরিমাণ খাদ্যপণ্য উৎপাদন হবে তার এক তৃতীয়াংশ স্থানীয় বাজারে সরবরাহের পাশাপাশি প্রায় ৭০ শতাংশ ওই অঞ্চলের বাজারে রপ্তানি করা হবে। এর মাধ্যমে ওই অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে এই উদ্যোগ। চুক্তি স্বাক্ষরের পর কেজাদ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল খদর আল আহমেদ বলেন, ইমার্জিং ওয়ার্ল্ডকে আমাদের ব্যয়বহুল খাদ্য ব্যবসার ইকোসিস্টেমে কারখানা স্থাপনের সুযোগ দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। সুলভ মূল্যে নাগরিকদের খাবার সরবরাহ করতে আমাদের যে মূল্যবোধ, সে লক্ষ্যেই কাজ করবে ইমার্জিং ওয়ার্ল্ড। এসময় ইমার্জিং ওয়ার্ল্ড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান মাহবুব বলেন, আমাদের ব্যবসা প্রসারে এবং এই অঞ্চলে রপ্তানি বাড়াতে কেজাদ গ্রুপের সঙ্গে এই চুক্তি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। কারখানা স্থাপনে প্রাথমিকভাবে ৬০ মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম বিনিয়োগ করা হবে। শুরুতে প্রাণ ব্র্যান্ডের ইন্সট্যান্ট নুডলস, দুধ মিশ্রিত পানীয়, ফলের জুস এবং বেকারি পণ্য উৎপাদন করা হবে। প্রাথমিক বিনিয়োগে বাৎসরিক ১৬০ মিলিয়ন দিরহামের পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। ১৯৮১ সালে খাদ্য ও বেভারেজ, কৃষি ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা শুরু করা প্রাণ এরই মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ উৎপাদন ও রপ্তারিকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাণের পণ্য আবুধাবিতে উৎপাদন হবে

আপডেট সময় : ০১:২৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

অর্থনৈতিক ডেস্ক : আবুধাবিতে খাদ্য উৎপাদন কারখানা স্থাপনের জন্য চুক্তি করেছে ইমার্জিং ওয়ার্ল্ড এফজেডসি ও খলিফা ইকোনমিক জোন দুবাই (কেজাদ গ্রুপ)। এর মাধ্যমে আবুধাবির স্থানীয় ও আঞ্চলিক বাজারে সহজেই ক্রেতাদের খাদ্য চাহিদা পূরণ হবে। ওই কারখানায় উৎপাদন করা হবে প্রাণ ব্র্যান্ডের বিভিন্ন খাদ্যপণ্য। ইমার্জিং ওয়ার্ল্ড এফজেডসি মধ্যপ্রাচ্যে প্রাণ গ্রুপের একক আমদানিকারক। এই চুক্তির আওতায় ১১০ মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে খাদ্য উৎপাদন কারখানা। ৪২ হাজার বর্গমিটারের ওই কারখানা বিশেষায়িত খলিফা বন্দরে সরাসরি সংযোগ পাবে। এর মাধ্যমে ইমার্জিং ওয়ার্ল্ড আমদানির বদলে আমিরাতেই প্রাণের পণ্য তৈরি করতে পারবে। সেসব পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় পার্শ্ববর্তী মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে রপ্তানি হবে। যেসব দেশে এ সুবিধা পাওয়া যাবে তার মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরাইন, কাতার, ওমান, জর্ডান, মিশর, ইরাক, লেবানন, মরোক্কো, তিউনিশিয়া, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লিবিয়া এবং ইয়েমেন। কেজাদ গ্রুপের সঙ্গে ভূমি ব্যবহার সংক্রান্ত এই চুক্তির মেয়াদ ৩০ বছর। এই কারখানায় যে পরিমাণ খাদ্যপণ্য উৎপাদন হবে তার এক তৃতীয়াংশ স্থানীয় বাজারে সরবরাহের পাশাপাশি প্রায় ৭০ শতাংশ ওই অঞ্চলের বাজারে রপ্তানি করা হবে। এর মাধ্যমে ওই অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে এই উদ্যোগ। চুক্তি স্বাক্ষরের পর কেজাদ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল খদর আল আহমেদ বলেন, ইমার্জিং ওয়ার্ল্ডকে আমাদের ব্যয়বহুল খাদ্য ব্যবসার ইকোসিস্টেমে কারখানা স্থাপনের সুযোগ দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। সুলভ মূল্যে নাগরিকদের খাবার সরবরাহ করতে আমাদের যে মূল্যবোধ, সে লক্ষ্যেই কাজ করবে ইমার্জিং ওয়ার্ল্ড। এসময় ইমার্জিং ওয়ার্ল্ড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান মাহবুব বলেন, আমাদের ব্যবসা প্রসারে এবং এই অঞ্চলে রপ্তানি বাড়াতে কেজাদ গ্রুপের সঙ্গে এই চুক্তি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। কারখানা স্থাপনে প্রাথমিকভাবে ৬০ মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম বিনিয়োগ করা হবে। শুরুতে প্রাণ ব্র্যান্ডের ইন্সট্যান্ট নুডলস, দুধ মিশ্রিত পানীয়, ফলের জুস এবং বেকারি পণ্য উৎপাদন করা হবে। প্রাথমিক বিনিয়োগে বাৎসরিক ১৬০ মিলিয়ন দিরহামের পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। ১৯৮১ সালে খাদ্য ও বেভারেজ, কৃষি ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা শুরু করা প্রাণ এরই মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ উৎপাদন ও রপ্তারিকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।