ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

প্রাচীনতম মেঘমালা নিয়ে গবেষণা শেষে ‘ঘুমাল’ নাসার নভোযান

  • আপডেট সময় : ১০:২৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : মহাকাশে ১৫ বছর কাটানোর পর অবসরে যাচ্ছে নাসার ‘এইম’ নামের মহাকাশযানটি। গত বৃহস্পতিবারের এক ব্লগ পোস্টে নাসা বলছে, স্পেসক্রাফটটির ব্যাটারির সক্ষমতা ফুরিয়ে যাওয়ায় তারা এর কার্যক্রম বন্ধ করছে। সর্বপ্রথম ২০১৯ সালে এইমের ব্যাটারিতে সমস্যার বিষয়টি লক্ষ্য করে নাসা। সে সময়ও পৃথিবীতে ‘ব্যাপক পরিমাণ ডেটা’ পাঠিয়েছে মহাকাশযানটি। তবে, সম্প্রতি এর ব্যাটারিতে আরেকটি গোলযোগ দেখা দেয়। নাসা বলছে, এইম প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে পড়েছে। রিবুটের প্রত্যাশায় মহাকাশযানটি আরও দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখবে এইম মিশনের দল। তবে, নাসার পোস্ট থেকে ইঙ্গিত মিলছে, সংস্থাটি এই বিষয়ে তেমন আশাবাদী নয়। ‘এইম’-এর পুরো নাম ‘অ্যারোনমি অফ দ্য আইস ইন দ্য মেসোস্ফিয়ার’। নিশাচর বা রাতের চকচকে বিভিন্ন মেঘ নিয়ে গবেষণার উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালে এই মিশন চালু করে নাসা। আর পৃথিবীর ওপরের বায়ুম-লে শত শত বছর ধরে থাকায় মাঝে মাঝে এগুলো জীবাশ্মযুক্ত মেঘ হিসেবেও বিবেচিত হয়।
ভূপৃষ্ঠের ৫৯৫ কিলোমিটার ওপরের বিন্দুতে থাকা মহাকাশযানটি বিজ্ঞানীদের কাছে ‘অমূল্য’ হিসেবে বিবেচিত। এর মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য তিনশ ৭৯টি গবেষণাপত্রে উপস্থিত, যার মধ্যে ২০১৮ সালের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মিথেন নিঃসরণে রাতের উজ্জ্বল মেঘ আরো ঘন ঘন গঠিত হচ্ছে। ওই বিবেচনায়, মাত্র দুই বছর কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে শুরু হওয়া মিশনটি তুলনামূলক ভালোই ফলাফল দেখিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট। নাসায় দীর্ঘ সময় ধরে সেবা দেওয়া আরেক মহাকাশযানকে অনুসরণ করেছে এইমের এই সমাপ্তি। প্রায় চার দশক পৃথিবীর ওজোন ও বায়ুম-লীয় পরিমাপ সংগ্রহ করা ‘আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইটের’ কার্যক্রমও বন্ধ করেছে সংস্থাটি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীনতম মেঘমালা নিয়ে গবেষণা শেষে ‘ঘুমাল’ নাসার নভোযান

আপডেট সময় : ১০:২৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : মহাকাশে ১৫ বছর কাটানোর পর অবসরে যাচ্ছে নাসার ‘এইম’ নামের মহাকাশযানটি। গত বৃহস্পতিবারের এক ব্লগ পোস্টে নাসা বলছে, স্পেসক্রাফটটির ব্যাটারির সক্ষমতা ফুরিয়ে যাওয়ায় তারা এর কার্যক্রম বন্ধ করছে। সর্বপ্রথম ২০১৯ সালে এইমের ব্যাটারিতে সমস্যার বিষয়টি লক্ষ্য করে নাসা। সে সময়ও পৃথিবীতে ‘ব্যাপক পরিমাণ ডেটা’ পাঠিয়েছে মহাকাশযানটি। তবে, সম্প্রতি এর ব্যাটারিতে আরেকটি গোলযোগ দেখা দেয়। নাসা বলছে, এইম প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে পড়েছে। রিবুটের প্রত্যাশায় মহাকাশযানটি আরও দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখবে এইম মিশনের দল। তবে, নাসার পোস্ট থেকে ইঙ্গিত মিলছে, সংস্থাটি এই বিষয়ে তেমন আশাবাদী নয়। ‘এইম’-এর পুরো নাম ‘অ্যারোনমি অফ দ্য আইস ইন দ্য মেসোস্ফিয়ার’। নিশাচর বা রাতের চকচকে বিভিন্ন মেঘ নিয়ে গবেষণার উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালে এই মিশন চালু করে নাসা। আর পৃথিবীর ওপরের বায়ুম-লে শত শত বছর ধরে থাকায় মাঝে মাঝে এগুলো জীবাশ্মযুক্ত মেঘ হিসেবেও বিবেচিত হয়।
ভূপৃষ্ঠের ৫৯৫ কিলোমিটার ওপরের বিন্দুতে থাকা মহাকাশযানটি বিজ্ঞানীদের কাছে ‘অমূল্য’ হিসেবে বিবেচিত। এর মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য তিনশ ৭৯টি গবেষণাপত্রে উপস্থিত, যার মধ্যে ২০১৮ সালের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মিথেন নিঃসরণে রাতের উজ্জ্বল মেঘ আরো ঘন ঘন গঠিত হচ্ছে। ওই বিবেচনায়, মাত্র দুই বছর কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে শুরু হওয়া মিশনটি তুলনামূলক ভালোই ফলাফল দেখিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট। নাসায় দীর্ঘ সময় ধরে সেবা দেওয়া আরেক মহাকাশযানকে অনুসরণ করেছে এইমের এই সমাপ্তি। প্রায় চার দশক পৃথিবীর ওজোন ও বায়ুম-লীয় পরিমাপ সংগ্রহ করা ‘আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইটের’ কার্যক্রমও বন্ধ করেছে সংস্থাটি।