ঢাকা ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রস্তুত হচ্ছে স্টল, পাইরেটেড বই বিক্রি বন্ধে থাকবে টাস্কফোর্স

  • আপডেট সময় : ১০:১০:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

সাহিত্য ডেস্ক : হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অমর ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২২’ আয়োজন নিয়ে তৈরি হয়েছিল শঙ্কা। পরবর্তীতে নানা শর্ত দিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মেলা শুরু হওয়ার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
যার প্রভাব মেলার স্টলগুলো তৈরিতেও লক্ষ্য করা গেছে। গ্রন্থমেলা শুরু হতে আর মাত্র ৪ দিন বাকি থাকলেও স্টলগুলোর ৬০ ভাগের অধিক কাজ বাকি। তবে অবশিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করে মেলা উদ্বোধনের আগেই স্টল পূর্ণাঙ্গ করার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, একাডেমি অংশে স্টলগুলোর চারপাশ পরিষ্কার করা হচ্ছে। বাঁশ, কাঠ, বোর্ড স্টলগুলোর নির্ধারিত কাঠামো তৈরি করছেন শ্রমিকরা। মূল অনুষ্ঠানস্থলের কাজও চলছে বেশ জোরেশোরে। বাংলা একাডেমির স্টল তৈরিতে কাজ করছেন ইব্রাহীম। জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমাদের হাতে চারদিন সময় আছে। স্টলের কাজ আশা করছি সবার আগে শেষ করতে পারবো। একটা স্টলে নির্মাণ খরচ কেমন হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্টলভেদে একেক রকম। বাংলা একাডেমির স্টলগুলোতে আড়াই লাখ টাকার মতো খরচ হয়।
পাশেই লিটল ম্যাগ চত্বরে কাজ করছিলেন আবদুল্লাহ ও জহরুল ইসলাম। তারা বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্ত মাঝখানে বন্ধ ছিল। এখন আবার শুরু হয়েছে। আশা করছি আমাদের কাজ দ্রুত শেষ হবে।
স্টলগুলোর কাজ শেষ না হলেও অধিকাংশ স্টলগুলো তাদের নির্ধারিত অংশে কাঠামো তৈরি শেষ করেছে। এবার স্টলগুলো তৈরিতে ভ্রাম্যমাণ দোকানও দেখা গেল। নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে অস্থায়ী দোকান দিয়েছে তারা। যেখানে ইলেকট্রিক জিনিসপত্র, হাতুড়ি, পেরেক, রঙসহ সবকিছই পাওয়া যাচ্ছে। অনেক স্টলে ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে অস্থায়ী ফ্লোর তৈরির কাজ করছে। মেলায় আলোকসজ্জ্বার জন্য বসানো হয়েছে এলইডি লাইট। প্রতি স্ট্যান্ডে দুই থেকে চারটি লাইট লাগাতে দেখা গেছে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ মেলা কমিটির সভা শেষে বলেন, এবার সাড়ে সাত লাখ স্কয়ার ফিটের ওপর মেলা অনুষ্ঠিত হবে। শিশুদের জন্য আলাদা মঞ্চের ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিশুরা খেলাধুলা করতে পারবে। বইয়ের মলাট উন্মোচনের জন্য মঞ্চ রাখা হয়েছে। এছাড়াও সাধারণ নাগরিক সুবিধা তার সবগুলো মেলায় রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বইমেলায় যাতে কেউ পাইরেটেড বই বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য এ সংক্রান্ত একটি টাস্কফোর্স সক্রিয় থাকবে। করোনার কারণে প্রকাশকরা যাতে ক্ষতির মুখে না পড়েন, সেজন্য বাংলা একাডেমি ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলা একাডেমির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অমর একুশে বইমেলা ২০২২ আপাতত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ পর্যন্ত চলবে। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে পরবর্তীতে বইমেলার সময় বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। বইমেলা প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। তবে দর্শনার্থীরা রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন এবং রাত ৯টায় মেলার আলোক বাতি বন্ধ করে দেওয়া হবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবারসহ অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনে মেলা সকাল ১১টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে রাতে একই সময়ে শেষ হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রস্তুত হচ্ছে স্টল, পাইরেটেড বই বিক্রি বন্ধে থাকবে টাস্কফোর্স

আপডেট সময় : ১০:১০:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সাহিত্য ডেস্ক : হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অমর ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২২’ আয়োজন নিয়ে তৈরি হয়েছিল শঙ্কা। পরবর্তীতে নানা শর্ত দিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মেলা শুরু হওয়ার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
যার প্রভাব মেলার স্টলগুলো তৈরিতেও লক্ষ্য করা গেছে। গ্রন্থমেলা শুরু হতে আর মাত্র ৪ দিন বাকি থাকলেও স্টলগুলোর ৬০ ভাগের অধিক কাজ বাকি। তবে অবশিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করে মেলা উদ্বোধনের আগেই স্টল পূর্ণাঙ্গ করার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, একাডেমি অংশে স্টলগুলোর চারপাশ পরিষ্কার করা হচ্ছে। বাঁশ, কাঠ, বোর্ড স্টলগুলোর নির্ধারিত কাঠামো তৈরি করছেন শ্রমিকরা। মূল অনুষ্ঠানস্থলের কাজও চলছে বেশ জোরেশোরে। বাংলা একাডেমির স্টল তৈরিতে কাজ করছেন ইব্রাহীম। জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমাদের হাতে চারদিন সময় আছে। স্টলের কাজ আশা করছি সবার আগে শেষ করতে পারবো। একটা স্টলে নির্মাণ খরচ কেমন হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্টলভেদে একেক রকম। বাংলা একাডেমির স্টলগুলোতে আড়াই লাখ টাকার মতো খরচ হয়।
পাশেই লিটল ম্যাগ চত্বরে কাজ করছিলেন আবদুল্লাহ ও জহরুল ইসলাম। তারা বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্ত মাঝখানে বন্ধ ছিল। এখন আবার শুরু হয়েছে। আশা করছি আমাদের কাজ দ্রুত শেষ হবে।
স্টলগুলোর কাজ শেষ না হলেও অধিকাংশ স্টলগুলো তাদের নির্ধারিত অংশে কাঠামো তৈরি শেষ করেছে। এবার স্টলগুলো তৈরিতে ভ্রাম্যমাণ দোকানও দেখা গেল। নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে অস্থায়ী দোকান দিয়েছে তারা। যেখানে ইলেকট্রিক জিনিসপত্র, হাতুড়ি, পেরেক, রঙসহ সবকিছই পাওয়া যাচ্ছে। অনেক স্টলে ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে অস্থায়ী ফ্লোর তৈরির কাজ করছে। মেলায় আলোকসজ্জ্বার জন্য বসানো হয়েছে এলইডি লাইট। প্রতি স্ট্যান্ডে দুই থেকে চারটি লাইট লাগাতে দেখা গেছে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ মেলা কমিটির সভা শেষে বলেন, এবার সাড়ে সাত লাখ স্কয়ার ফিটের ওপর মেলা অনুষ্ঠিত হবে। শিশুদের জন্য আলাদা মঞ্চের ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিশুরা খেলাধুলা করতে পারবে। বইয়ের মলাট উন্মোচনের জন্য মঞ্চ রাখা হয়েছে। এছাড়াও সাধারণ নাগরিক সুবিধা তার সবগুলো মেলায় রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বইমেলায় যাতে কেউ পাইরেটেড বই বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য এ সংক্রান্ত একটি টাস্কফোর্স সক্রিয় থাকবে। করোনার কারণে প্রকাশকরা যাতে ক্ষতির মুখে না পড়েন, সেজন্য বাংলা একাডেমি ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলা একাডেমির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অমর একুশে বইমেলা ২০২২ আপাতত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ পর্যন্ত চলবে। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে পরবর্তীতে বইমেলার সময় বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। বইমেলা প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। তবে দর্শনার্থীরা রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন এবং রাত ৯টায় মেলার আলোক বাতি বন্ধ করে দেওয়া হবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবারসহ অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনে মেলা সকাল ১১টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে রাতে একই সময়ে শেষ হবে।