ঢাকা ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
শুনানিতে শেখ হাসিনার স্টেট ডিফেন্স

প্রসিকিউশন গণহত্যার দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেনি

  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

শেখ হাসিনা -ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলা থেকে শেখ হাসিনার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেছেন তার পক্ষে নিযুক্ত স্টেট ডিফেন্স।

সোমবার (৭ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ প্রমুখ। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে সেদিন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

শুনানিকালে আইনজীবী আমির হোসেন ট্রাইব্যুনালকে বলেন, দেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে কোনো যুদ্ধ হয়নি, এটা একটা রাজনৈতিক বিরোধ। আসামি শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় শীর্ষ পদে ছিলেন। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক কাজ তিনি করেছেন। এসব অবকাঠামো ধ্বংসের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তিনি হত্যার কোনো নির্দেশ দেননি। এর কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। প্রসিকিউশন কোনো প্রমাণ দাখিলে ব্যর্থ হয়েছে। দেশে রাজাকারদের বিচার হয়েছে। তবুও তিনি কখনও তাদের সরাসরি হত্যার নির্দেশ দেননি।

আমির হোসেন আরো বলেন, তার (শেখ হাসিনার) বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা-বানোয়াট। একাত্তরেরর পর রাজাকার ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আন্দোলনকারীদের তিনি রাজাকারের বাচ্চা এবং নাতিপুতি বলেননি এবং বলতে চাননি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার নাম এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি ন্যায়বিচারের হকদার তাই এই মামলা থেকে তিনি অব্যাহতিযোগ্য। ট্রাইব্যুনালের যে আইন তাতে তার বিচার করা সম্ভব না।

রংপুরে আবু সাইদের মৃত্যুর পর তিনি (শেখ হাসিনা) আবু সাইদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন, সান্ত্বনা দিয়ে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। বরং একটি বিশেষ মহল ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে দেশে অস্থিতিশীল করেছে, পুলিশ হত্যা করেছে, যার এখনও কোনো বিচার হয়নি। এই মামলা থেকে তিনি অব্যাহতিযোগ্য। পরে জুলাই-আগস্টের শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় গত ১৭ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

শুনানিতে শেখ হাসিনার স্টেট ডিফেন্স

প্রসিকিউশন গণহত্যার দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেনি

আপডেট সময় : ০৯:০৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলা থেকে শেখ হাসিনার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেছেন তার পক্ষে নিযুক্ত স্টেট ডিফেন্স।

সোমবার (৭ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ প্রমুখ। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে সেদিন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

শুনানিকালে আইনজীবী আমির হোসেন ট্রাইব্যুনালকে বলেন, দেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে কোনো যুদ্ধ হয়নি, এটা একটা রাজনৈতিক বিরোধ। আসামি শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় শীর্ষ পদে ছিলেন। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক কাজ তিনি করেছেন। এসব অবকাঠামো ধ্বংসের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তিনি হত্যার কোনো নির্দেশ দেননি। এর কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। প্রসিকিউশন কোনো প্রমাণ দাখিলে ব্যর্থ হয়েছে। দেশে রাজাকারদের বিচার হয়েছে। তবুও তিনি কখনও তাদের সরাসরি হত্যার নির্দেশ দেননি।

আমির হোসেন আরো বলেন, তার (শেখ হাসিনার) বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা-বানোয়াট। একাত্তরেরর পর রাজাকার ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আন্দোলনকারীদের তিনি রাজাকারের বাচ্চা এবং নাতিপুতি বলেননি এবং বলতে চাননি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার নাম এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি ন্যায়বিচারের হকদার তাই এই মামলা থেকে তিনি অব্যাহতিযোগ্য। ট্রাইব্যুনালের যে আইন তাতে তার বিচার করা সম্ভব না।

রংপুরে আবু সাইদের মৃত্যুর পর তিনি (শেখ হাসিনা) আবু সাইদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন, সান্ত্বনা দিয়ে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। বরং একটি বিশেষ মহল ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে দেশে অস্থিতিশীল করেছে, পুলিশ হত্যা করেছে, যার এখনও কোনো বিচার হয়নি। এই মামলা থেকে তিনি অব্যাহতিযোগ্য। পরে জুলাই-আগস্টের শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় গত ১৭ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।