ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

প্রশিক্ষণের নামে সাড়ে ৭ কোটি টাকা অপচয়, দুদকের জালে হুদা কমিশন

  • আপডেট সময় : ০৯:১৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা -ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: নীতিমালা ছাড়া প্রশিক্ষণের নামে সাত কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন ও অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ও তার কমিশনের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদা, তৎকালীন কমিশনার, সচিব ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে নীতিমালা ছাড়া ভুয়া প্রশিক্ষণ দেখিয়ে কমিশনের ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ক্ষতিসাধনসহ অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত অনুসন্ধান দল বলতে পারবে। এর বাইরেও অন্য কোনো অনিয়ম থাকলে তাও খুঁজে বের করবে অনুসন্ধান দল।’
‘একাদশ জাতীয় সংসদে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রশিক্ষণের নামে সাড়ে ৭ কোটি ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে, যোগ করেন তিনি।’ এর আগের অর্থাৎ হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুসন্ধানে আরো অনেক বিষয় আসবে।
কে এম নূরুল হুদার অধীনে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর আগে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ভুয়া বিলের মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ ইসির ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দাখিল করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। নূরুল হুদা ছাড়া অভিযুক্তরা ছিলেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেলন শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। এছাড়া ইসির বর্তমান সচিব আলমগীর হোসেন ও সাবেক সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ওই অভিযোগে বলা হয়, প্রশিক্ষণের নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা ছাড়া ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচসহ সরকারি অর্থের ক্ষতি করা হয়েছে। চলতি বছরের ২২ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে নূরুল হুদার বাড়িতে গিয়ে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে ‘স্থানীয় জনতা’। পরদিন প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।

সাবেক সচিব নূরুল হুদা ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের দ্বাদশ সিইসি। তার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের সব ভোট হয়।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রশিক্ষণের নামে সাড়ে ৭ কোটি টাকা অপচয়, দুদকের জালে হুদা কমিশন

আপডেট সময় : ০৯:১৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: নীতিমালা ছাড়া প্রশিক্ষণের নামে সাত কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন ও অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ও তার কমিশনের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদা, তৎকালীন কমিশনার, সচিব ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে নীতিমালা ছাড়া ভুয়া প্রশিক্ষণ দেখিয়ে কমিশনের ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ক্ষতিসাধনসহ অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত অনুসন্ধান দল বলতে পারবে। এর বাইরেও অন্য কোনো অনিয়ম থাকলে তাও খুঁজে বের করবে অনুসন্ধান দল।’
‘একাদশ জাতীয় সংসদে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রশিক্ষণের নামে সাড়ে ৭ কোটি ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে, যোগ করেন তিনি।’ এর আগের অর্থাৎ হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুসন্ধানে আরো অনেক বিষয় আসবে।
কে এম নূরুল হুদার অধীনে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর আগে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ভুয়া বিলের মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ ইসির ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দাখিল করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। নূরুল হুদা ছাড়া অভিযুক্তরা ছিলেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেলন শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। এছাড়া ইসির বর্তমান সচিব আলমগীর হোসেন ও সাবেক সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ওই অভিযোগে বলা হয়, প্রশিক্ষণের নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা ছাড়া ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচসহ সরকারি অর্থের ক্ষতি করা হয়েছে। চলতি বছরের ২২ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে নূরুল হুদার বাড়িতে গিয়ে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে ‘স্থানীয় জনতা’। পরদিন প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।

সাবেক সচিব নূরুল হুদা ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের দ্বাদশ সিইসি। তার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের সব ভোট হয়।