ঢাকা ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

প্রশাসন-রাজনীতিকদের দ্বন্দ্ব নেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:২৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের দ্বন্দ্বের খবর মাঝে-মধ্যে এলেও বাস্তবে তা নেই বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিন গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “দেশটা পরিচালিত হয় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে। রাজনীতিতে নীতি তৈরি করা, আইন তৈরি করা, জনগণের দাবি আদায় করা, প্রশাসনিক কর্মকতাদের অধিকার আদায় করা, সবার জন্যই রাজনীতি প্রয়োজন।
“রাজনীতির সাথে (প্রশাসনের) কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কোথাও কোথাও ব্যক্তিগতভাবে সমস্যা তৈরি হলে এটাকে অবশ্যই রাষ্ট্র ‘হ্যান্ডেল’ করবে। এই ‘কমিটমেন্ট’ রাষ্ট্রের আছে এবং আমরাও অঙ্গীকারাবদ্ধ।” প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযোগ করছেন রাজনীতিকরা। সংসদেও কথা উঠেছে যে সরকারি কর্মকর্তারা সংসদ সদস্যদের ‘দাম দেন না’। অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তারা বরাবরই বলে আসছেন, রাজনীতিকরা তাদের উপর প্রভাব খাটাতে চান।
ইউএনওর সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বের বিষয়ে তাজুল বলেন, “সব জায়গায় একই রকম সমস্যা হয় এটা বলা যাবে না। অনেক জায়গায় ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যান একসাথে অনেক ভালোভাবে কাজ করছেন।
“আবার কোথাও সমস্যা হয়। ক্ষেত্র বিশেষে যেখানে যেখানে জটিলতা আছে, সেখানে কাজ কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল। আর আমি নিজেও এটাকে গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে। এখানে কোনো বিতর্ক করার সুযোগ নেই।”
তিনি বলেন, “জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন পেশাজীবীরা, সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের জন্য একসাথে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকদের অত্যন্ত আন্তরিক বলে পরিলক্ষিত হয়েছে।” তিনি বলেন, বৈঠকে জেলা প্রশাসকরা তাদের মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরেছেন, কিছু প্রস্তাবও দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভাকে শক্তিশালী করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অবকাঠামো নির্মাণে অন্য স্থান থেকে বেশি হয় হওয়ার কথা তুলে ধরে সেখানে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ডিসিরা। তাজুল বলেন, “আমরা দেখেছি, রাষ্ট্রের সব জায়গায় সমভাবে আয় বর্ধনের ব্যবস্থা নাই। কিছু কিছু জায়গায় কম হয় সেখানে যাতে ‘সাবসিডি’ দেওয়া যায়, সে প্রসঙ্গ এসেছে। এগুলো যৌক্তিকতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য বলা হয়েছে।”
মানুষের আয় বাড়লে তাতে সরকারের আয়ও বাড়বে উল্লেখ করে সেদিকে নজর দিতে ডিসিদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী ত্জাুল। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আয় ও সক্ষমতা বাড়ানোর উপরও জোর দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। আয় বাড়াতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কথায় এসেছে তাদের কিছু ‘এমপ্লয়ি’ লাগবে। ইউনিয়ন পরিষদে আরও লোকবল লাগবে, এটি করতে গেলে তাদের আয় বাড়াতে হবে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংগঠনের প্রতি উমামার কমিটমেন্ট ছিল কি না, প্রশ্ন রিফাতের

প্রশাসন-রাজনীতিকদের দ্বন্দ্ব নেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:২৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের দ্বন্দ্বের খবর মাঝে-মধ্যে এলেও বাস্তবে তা নেই বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিন গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “দেশটা পরিচালিত হয় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে। রাজনীতিতে নীতি তৈরি করা, আইন তৈরি করা, জনগণের দাবি আদায় করা, প্রশাসনিক কর্মকতাদের অধিকার আদায় করা, সবার জন্যই রাজনীতি প্রয়োজন।
“রাজনীতির সাথে (প্রশাসনের) কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কোথাও কোথাও ব্যক্তিগতভাবে সমস্যা তৈরি হলে এটাকে অবশ্যই রাষ্ট্র ‘হ্যান্ডেল’ করবে। এই ‘কমিটমেন্ট’ রাষ্ট্রের আছে এবং আমরাও অঙ্গীকারাবদ্ধ।” প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযোগ করছেন রাজনীতিকরা। সংসদেও কথা উঠেছে যে সরকারি কর্মকর্তারা সংসদ সদস্যদের ‘দাম দেন না’। অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তারা বরাবরই বলে আসছেন, রাজনীতিকরা তাদের উপর প্রভাব খাটাতে চান।
ইউএনওর সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বের বিষয়ে তাজুল বলেন, “সব জায়গায় একই রকম সমস্যা হয় এটা বলা যাবে না। অনেক জায়গায় ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যান একসাথে অনেক ভালোভাবে কাজ করছেন।
“আবার কোথাও সমস্যা হয়। ক্ষেত্র বিশেষে যেখানে যেখানে জটিলতা আছে, সেখানে কাজ কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল। আর আমি নিজেও এটাকে গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে। এখানে কোনো বিতর্ক করার সুযোগ নেই।”
তিনি বলেন, “জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন পেশাজীবীরা, সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের জন্য একসাথে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকদের অত্যন্ত আন্তরিক বলে পরিলক্ষিত হয়েছে।” তিনি বলেন, বৈঠকে জেলা প্রশাসকরা তাদের মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরেছেন, কিছু প্রস্তাবও দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভাকে শক্তিশালী করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অবকাঠামো নির্মাণে অন্য স্থান থেকে বেশি হয় হওয়ার কথা তুলে ধরে সেখানে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ডিসিরা। তাজুল বলেন, “আমরা দেখেছি, রাষ্ট্রের সব জায়গায় সমভাবে আয় বর্ধনের ব্যবস্থা নাই। কিছু কিছু জায়গায় কম হয় সেখানে যাতে ‘সাবসিডি’ দেওয়া যায়, সে প্রসঙ্গ এসেছে। এগুলো যৌক্তিকতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য বলা হয়েছে।”
মানুষের আয় বাড়লে তাতে সরকারের আয়ও বাড়বে উল্লেখ করে সেদিকে নজর দিতে ডিসিদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী ত্জাুল। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আয় ও সক্ষমতা বাড়ানোর উপরও জোর দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। আয় বাড়াতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কথায় এসেছে তাদের কিছু ‘এমপ্লয়ি’ লাগবে। ইউনিয়ন পরিষদে আরও লোকবল লাগবে, এটি করতে গেলে তাদের আয় বাড়াতে হবে।”