প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তির ব্যবহার এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে ‘সম্পর্ক সামান্যই’ বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়। ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় চার লাখ ৩০ হাজার শিশুর মধ্যে চালানো হয়েছে ওই গবেষণা।
অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট ওই গবেষণায় টিভি দেখা, সামাজিক মাধ্যম এবং ডিভাইস ব্যবহারের সঙ্গে হতাশা, আত্মহত্যার প্রবণতা এবং আচরণগত সমস্যা ও অনুভূতির সঙ্গে তুলনা করেছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
গবেষণায় ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে হতাশা এবং সামাজিক-মিডিয়া ব্যবহার ও টিভি দেখার মধ্যে সম্পর্ক সামান্য কমে এসেছে বলে দেখা গেছে। অপরদিকে, মানসিক সমস্যার সঙ্গে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের সম্পর্ক সামান্য বাড়তে দেখা গেছে বলে উঠে এসেছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে। গবেষণার সহ-লেখক অধ্যাপক অ্যান্ড্রু প্রজিবিলস্কি বলেন, “আমরা ২০১০ এবং ২০১৯ সালে সামাজিক মাধ্যমের প্রভাব এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে পার্থক্য বলতে পারিনি।” “আমরা বলছি না যে কম সুখী মানুষ বেশি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে। আমরা যেটা বলছি তা হলো, কোনো দৃঢ় সম্পর্ক আমরা পাচ্ছি না।” গবেষণার ফলাফল নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এবং জনপ্রতিনিধিদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হতে পারে। তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রযুক্তির ক্ষতিকারক প্রভাবের বিষয়টি এই দুই পক্ষের আলোচনায় মাঝেমধ্যেই উঠে আসে। অংশগ্রহণকারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে স্লাইডিং স্কেল রেসপন্সসহ সেট প্রশ্ন ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব অনুভূতিকে প্রকাশ করেন। এবং তাদের সামাজিক মাধ্যম বা ডিভাইস ব্যবহারের সময় নিয়ে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তবে, ওই সময়য়ের বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়নি। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ক্লিনিকাল সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স জার্নালে ।
প্রযুক্তি, সামাজিক মাধ্যম বনাম মানসিক স্বাস্থ্য: সম্পর্ক সামান্যই
ট্যাগস :
প্রযুক্তি
জনপ্রিয় সংবাদ