ঢাকা ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় আসছে মেডিকেল অক্সিজেন

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গলবার দেশের প্রথম ‘অক্সিজেন সামিটে’ বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে মেডিকেল অক্সিজেনকে শিগগিরই অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকায় যুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দেশের প্রথম ‘অক্সিজেন সামিটে’ তিনি বলেছেন, অক্সিজেন একটা ওষুধ, তাই এর ওই গুরুত্বটা পাওয়া দরকার। এটা এসেনসিয়াল মেডিসিনের তালিকায় যুক্ত হওয়া দরকার।

ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে যৌথভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করে আইসিডিডিআর,বি, দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথ, এভরি ব্রেথ কাউন্টস ও ইউনিটএইড।

অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, রোগীর প্রয়োজনে অক্সিজেনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা দরকার। অক্সিজেনের প্রাপ্যতায় বৈষম্য আছে এখনও। এটা অ্যাফোর্ডেবল কি না, সেটি জটিল প্রশ্ন। আমরা যদি ঢাকার বুড়িগঙ্গার পাড় থেকে উত্তরা পর্যন্ত যাই, অক্সিজেনের দাম হাসপাতাল অনুযায়ী ভেরি করতে থাকবে, একেক হাসপাতালে একেক দাম। সেটা একই মানের অক্সিজেন হলেও। আমরা এটাকে এসেনসিয়াল মেডিসিন হিসেবে ডিক্লেয়ার করব এবার। এটা হলে দাম নিয়ন্ত্রণ এবং অক্সিজেনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালায়ের বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৯টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট কার্যকর আছে। আর প্রায় ৭০টির মতো প্ল্যান্ট অকার্যকর। এসব অকেজো প্ল্যান্ট সচল করার জন্য ন্যাশনাল অক্সিজেন নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন যেভাবে বলা হচ্ছে, দেশের সব উপজেলায় মনে হয় অক্সিজেন অ্যাভেইলেবল, এটা আসলে সত্য না। এই সত্যটা মেনে আমরা চেষ্টা করব দেশের যতগুলো উপজেলা, হাসপাতাল সবখানে অক্সিজেনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হবে। আমাদের লক্ষ্য অকার্যকর প্লান্ট এবং সরবরাহ ব্যবস্থা এগুলোর একটু রিলোকেট করা।

সরকার দেশেই অক্সিজেন তৈরির ওপর খুব গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে বিশেষ সহকারী সায়েদুর বলেন, এটা একটা সিকিউরিটি কনসার্ন। আমাদের সরকার কয়েকটা বিষয় নিয়ে কথা বলছি যে- এগুলোকে সার্বভৌমত্বের অংশ হিসেবে দেখা দরকার। তার মধ্যে একটা হচ্ছে অক্সিজেন, একটা হচ্ছে ভ্যাকসিন।

আমরা গত কয়েকদিন ধরে খুব গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি অ্যান্টিভেনোমের কথা, অ্যান্টি র‌্যাবিসের কথা। এর মানে হচ্ছে যে- বিষয়গুলোর অনুপস্থিতি রাষ্ট্রকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিবে। রাষ্ট্রের পরনির্ভরশীলতা (জরুরি এসব জিনিসের জন্য) এদেশের মানুষের স্বাস্থ্য বা প্রাণের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।

সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে ৮৪ মিলিয়ন কিউবিক মিটার মেডিকেল অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ৭০ শতাংশ মানুষ প্রয়োজনের সময় মেডিকেল অক্সিজেন পায় না। এ সময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু জাফর, আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক তাহমিদ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

সানা/আপ্র/০৭/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় আসছে মেডিকেল অক্সিজেন

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে মেডিকেল অক্সিজেনকে শিগগিরই অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকায় যুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দেশের প্রথম ‘অক্সিজেন সামিটে’ তিনি বলেছেন, অক্সিজেন একটা ওষুধ, তাই এর ওই গুরুত্বটা পাওয়া দরকার। এটা এসেনসিয়াল মেডিসিনের তালিকায় যুক্ত হওয়া দরকার।

ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে যৌথভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করে আইসিডিডিআর,বি, দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথ, এভরি ব্রেথ কাউন্টস ও ইউনিটএইড।

অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, রোগীর প্রয়োজনে অক্সিজেনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা দরকার। অক্সিজেনের প্রাপ্যতায় বৈষম্য আছে এখনও। এটা অ্যাফোর্ডেবল কি না, সেটি জটিল প্রশ্ন। আমরা যদি ঢাকার বুড়িগঙ্গার পাড় থেকে উত্তরা পর্যন্ত যাই, অক্সিজেনের দাম হাসপাতাল অনুযায়ী ভেরি করতে থাকবে, একেক হাসপাতালে একেক দাম। সেটা একই মানের অক্সিজেন হলেও। আমরা এটাকে এসেনসিয়াল মেডিসিন হিসেবে ডিক্লেয়ার করব এবার। এটা হলে দাম নিয়ন্ত্রণ এবং অক্সিজেনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালায়ের বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৯টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট কার্যকর আছে। আর প্রায় ৭০টির মতো প্ল্যান্ট অকার্যকর। এসব অকেজো প্ল্যান্ট সচল করার জন্য ন্যাশনাল অক্সিজেন নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন যেভাবে বলা হচ্ছে, দেশের সব উপজেলায় মনে হয় অক্সিজেন অ্যাভেইলেবল, এটা আসলে সত্য না। এই সত্যটা মেনে আমরা চেষ্টা করব দেশের যতগুলো উপজেলা, হাসপাতাল সবখানে অক্সিজেনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হবে। আমাদের লক্ষ্য অকার্যকর প্লান্ট এবং সরবরাহ ব্যবস্থা এগুলোর একটু রিলোকেট করা।

সরকার দেশেই অক্সিজেন তৈরির ওপর খুব গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে বিশেষ সহকারী সায়েদুর বলেন, এটা একটা সিকিউরিটি কনসার্ন। আমাদের সরকার কয়েকটা বিষয় নিয়ে কথা বলছি যে- এগুলোকে সার্বভৌমত্বের অংশ হিসেবে দেখা দরকার। তার মধ্যে একটা হচ্ছে অক্সিজেন, একটা হচ্ছে ভ্যাকসিন।

আমরা গত কয়েকদিন ধরে খুব গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি অ্যান্টিভেনোমের কথা, অ্যান্টি র‌্যাবিসের কথা। এর মানে হচ্ছে যে- বিষয়গুলোর অনুপস্থিতি রাষ্ট্রকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিবে। রাষ্ট্রের পরনির্ভরশীলতা (জরুরি এসব জিনিসের জন্য) এদেশের মানুষের স্বাস্থ্য বা প্রাণের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।

সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে ৮৪ মিলিয়ন কিউবিক মিটার মেডিকেল অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ৭০ শতাংশ মানুষ প্রয়োজনের সময় মেডিকেল অক্সিজেন পায় না। এ সময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু জাফর, আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক তাহমিদ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

সানা/আপ্র/০৭/১০/২০২৫