ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

প্রভিশন ঘাটতির ৮০ শতাংশই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের

  • আপডেট সময় : ০২:১৪:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালে দেশের ব্যাংক খাত ৭৩ হাজার ১৪৮ কোটি টাকার নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) রাখতে সক্ষম হয়েছে। এই বছরটিতে প্রভিশন সংরক্ষণের কথা ছিলো ৮৪ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। এতে ১১ হাজার ৯ কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঘাটতি ৮০ শতাংশ বা ৮ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশের ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঘাটতি ৮ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট প্রভিশন ঘাটতি ৮০ শতাংশই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর। আর বাকি ২ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা ঘাটতি বেসরকারি ব্যাংকগুলোর। প্রভিশন ঘাটতিতে থাকা ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে না। প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ হলে ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়ার শঙ্কা থাকে। এর ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ব্যাংকের ওপর। একইসঙ্গে আমানতও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী ২০২২ সালের জুন প্রান্তিক শেষে ব্যাংক খাতের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিলো ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। তখন খেলাপি ঋণ ছিলো ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। আলোচিত এই সময়ের তিন মাস আগে মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। এরআগে ২০২১ সালের জুন প্রান্তিক শেষে খেলাপি ছিল ৯৯ হাজার ২০৫ কোটি টাকা।
এরপরে ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। মোট ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশই খেলাপি। একবছর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিলো ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। সেই সময়ে খেলাপির পরিমাণ ছিলো মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক থেকে ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। আর খেলাপি ঋণ কমেছে ১৩ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। আলোচিত সময়ে প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) ঘাটতি কমেছে ২ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। এছাড়া খেলাপি ঋণের মধ্যে মন্দ ঋণের পরিমাণ ৮৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। টাকার অঙ্গে যার পরিমাণ ১ লাখ ৬ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা।
এছাড়া দেশের ব্যাংক খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৪৬ দশমিক ৭৯ শতাংশই সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর। ব্যাংকগুলোর খেলাপির পরিমাণ ৫৬ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা, যা ওই কয়েকটি ব্যাংকের মোট ঋণের ২০ দশমিক ২৮ শতাংশ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রভিশন ঘাটতির ৮০ শতাংশই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের

আপডেট সময় : ০২:১৪:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালে দেশের ব্যাংক খাত ৭৩ হাজার ১৪৮ কোটি টাকার নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) রাখতে সক্ষম হয়েছে। এই বছরটিতে প্রভিশন সংরক্ষণের কথা ছিলো ৮৪ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। এতে ১১ হাজার ৯ কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঘাটতি ৮০ শতাংশ বা ৮ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশের ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঘাটতি ৮ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট প্রভিশন ঘাটতি ৮০ শতাংশই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর। আর বাকি ২ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা ঘাটতি বেসরকারি ব্যাংকগুলোর। প্রভিশন ঘাটতিতে থাকা ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে না। প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ হলে ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়ার শঙ্কা থাকে। এর ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ব্যাংকের ওপর। একইসঙ্গে আমানতও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী ২০২২ সালের জুন প্রান্তিক শেষে ব্যাংক খাতের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিলো ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। তখন খেলাপি ঋণ ছিলো ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। আলোচিত এই সময়ের তিন মাস আগে মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। এরআগে ২০২১ সালের জুন প্রান্তিক শেষে খেলাপি ছিল ৯৯ হাজার ২০৫ কোটি টাকা।
এরপরে ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। মোট ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশই খেলাপি। একবছর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিলো ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। সেই সময়ে খেলাপির পরিমাণ ছিলো মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক থেকে ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। আর খেলাপি ঋণ কমেছে ১৩ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। আলোচিত সময়ে প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) ঘাটতি কমেছে ২ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। এছাড়া খেলাপি ঋণের মধ্যে মন্দ ঋণের পরিমাণ ৮৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। টাকার অঙ্গে যার পরিমাণ ১ লাখ ৬ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা।
এছাড়া দেশের ব্যাংক খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৪৬ দশমিক ৭৯ শতাংশই সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর। ব্যাংকগুলোর খেলাপির পরিমাণ ৫৬ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা, যা ওই কয়েকটি ব্যাংকের মোট ঋণের ২০ দশমিক ২৮ শতাংশ।