ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

প্রবাসী বন্ড কমেছে মুনাফার হার, বেড়েছে বিনিয়োগ সীমা

  • আপডেট সময় : ০২:১২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২
  • ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রবাসী বাঙালিদের বিনিয়োগে ব্যবহৃত ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের মুনাফার হার কমানো হয়েছে। তিন স্তরে দুই থেকে চার শতাংশ কমিয়ে নতুন মুনাফার হার নির্ধারণ করেছে সরকার। মুনাফা কমানো হলেও বন্ড দুটিতে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা তুলে নেওয়া হয়েছে। আগে এক কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকলেও এখন থেকে এসব বন্ডে যত খুশি তত বিনিয়োগ করতে পারবেন প্রবাসীরা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। বিষয়টি ব্যাংকগুলোর পরিপালনের জন্য মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, যারা নতুন করে বিনিয়োগ করবেন, শুধু তাদের জন্য পরিবর্তিত এ হার কার্যকর হবে। আগের কেনা বন্ডে মেয়াদ পূর্তি না হওয়া পর্যন্ত আগের হারে মুনাফা পাবেন। প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা ডলারে তিন বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারে। এগুলো হলো; ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড। এসব বন্ড বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস, দেশি ব্যাংকের বিদেশি শাখা ও বাংলাদেশের ব্যাংক শাখায় পাওয়া যায়। এসব বন্ডের বিপরীতে দেশি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন প্রবাসীরা। বিনিয়োগ করা অর্থ চাইলে আবার বিদেশেও ফেরত নেওয়া যায়। এসব বন্ডে বিনিয়োগ করে সিআইপি সুবিধার পাশাপাশি আয়ে করমুক্ত সুবিধাও পাওয়া যায়। নির্দেশনা অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদি ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডের মেয়াদ শেষে মুনাফার পাওয়া যায় সাড়ে ৭ শতাংশ। এখন থেকে এক লাখ ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে মুনাফা পাওয়া যাবে সাড়ে পাঁচ শতাংশ। এক লাখ এক থেকে পাঁচ লাখ ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ হলে মেয়াদ শেষে মুনাফা মিলবে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। পাঁচ লাখ ডলারের বেশি বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার হবে সাড়ে ৩ শতাংশ। একইভাবে পাঁচ বছর মেয়াদি ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে মেয়াদ শেষে মুনাফার পাওয়া যায় সাড়ে ৬ শতাংশ। এখন থেকে এক লাখ ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে মুনাফা পাওয়া যাবে ৫ শতাংশ। এক লাখ এক ডলার থেকে পাঁচ লাখ ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ হলে মেয়াদ শেষে মুনাফা মিলবে ৪ শতাংশ। পাঁচ লাখ ডলারের বেশি বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার হবে ৩ শতাংশ। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রবাসীদের বন্ডের মুনাফার হার কমিয়েছিল সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে মেয়াদ শেষে মুনাফার পাওয়া যেত ১২ শতাংশ। এ হার কমিয়ে বলা হয়, ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার হবে ১১ শতাংশ। ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার পাবে ১০ শতাংশ। আর ৫০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার হবে ৯ শতাংশ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

প্রবাসী বন্ড কমেছে মুনাফার হার, বেড়েছে বিনিয়োগ সীমা

আপডেট সময় : ০২:১২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রবাসী বাঙালিদের বিনিয়োগে ব্যবহৃত ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের মুনাফার হার কমানো হয়েছে। তিন স্তরে দুই থেকে চার শতাংশ কমিয়ে নতুন মুনাফার হার নির্ধারণ করেছে সরকার। মুনাফা কমানো হলেও বন্ড দুটিতে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা তুলে নেওয়া হয়েছে। আগে এক কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকলেও এখন থেকে এসব বন্ডে যত খুশি তত বিনিয়োগ করতে পারবেন প্রবাসীরা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। বিষয়টি ব্যাংকগুলোর পরিপালনের জন্য মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, যারা নতুন করে বিনিয়োগ করবেন, শুধু তাদের জন্য পরিবর্তিত এ হার কার্যকর হবে। আগের কেনা বন্ডে মেয়াদ পূর্তি না হওয়া পর্যন্ত আগের হারে মুনাফা পাবেন। প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা ডলারে তিন বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারে। এগুলো হলো; ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড। এসব বন্ড বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস, দেশি ব্যাংকের বিদেশি শাখা ও বাংলাদেশের ব্যাংক শাখায় পাওয়া যায়। এসব বন্ডের বিপরীতে দেশি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন প্রবাসীরা। বিনিয়োগ করা অর্থ চাইলে আবার বিদেশেও ফেরত নেওয়া যায়। এসব বন্ডে বিনিয়োগ করে সিআইপি সুবিধার পাশাপাশি আয়ে করমুক্ত সুবিধাও পাওয়া যায়। নির্দেশনা অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদি ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডের মেয়াদ শেষে মুনাফার পাওয়া যায় সাড়ে ৭ শতাংশ। এখন থেকে এক লাখ ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে মুনাফা পাওয়া যাবে সাড়ে পাঁচ শতাংশ। এক লাখ এক থেকে পাঁচ লাখ ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ হলে মেয়াদ শেষে মুনাফা মিলবে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। পাঁচ লাখ ডলারের বেশি বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার হবে সাড়ে ৩ শতাংশ। একইভাবে পাঁচ বছর মেয়াদি ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে মেয়াদ শেষে মুনাফার পাওয়া যায় সাড়ে ৬ শতাংশ। এখন থেকে এক লাখ ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে মুনাফা পাওয়া যাবে ৫ শতাংশ। এক লাখ এক ডলার থেকে পাঁচ লাখ ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ হলে মেয়াদ শেষে মুনাফা মিলবে ৪ শতাংশ। পাঁচ লাখ ডলারের বেশি বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার হবে ৩ শতাংশ। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রবাসীদের বন্ডের মুনাফার হার কমিয়েছিল সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে মেয়াদ শেষে মুনাফার পাওয়া যেত ১২ শতাংশ। এ হার কমিয়ে বলা হয়, ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার হবে ১১ শতাংশ। ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার পাবে ১০ শতাংশ। আর ৫০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার হবে ৯ শতাংশ।