কাজী মোঃ আজিজুল হক : ঐতিহ্যবাহী পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে-অভিযোগ করে অনিয়ম-দুর্নীতি-বৈষম্য-স্বজনপ্রীতি ও হয়রানির বিচার চেয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন শিক্ষকরা। গত ১১ নভেম্বর তারা এই লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। একই অভিযোগ তারা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরেও দাখিল করেছেন। অভিযোগপত্রে বিদ্যালযের সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ মোট ২১ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন। জানা যায়, শতবর্ষী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মো: ইমদাদুল হক। ৫ আগষ্টের পর নির্বাহী আদেশে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রমিজ আলম। ক্ষমতার পালাবদলের পর বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র-জনতা দুর্নীতিগ্রস্ত এই প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভমিছিল ও ঘেরাও অবরোধ কর্মসূচী পালন করে। এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিদ্যালযের বিতর্কিত বিষয়গুলোর তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছেন। শিক্ষকদের ১২ দফা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- ১. স্কুলে ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আয়-ব্যয়ের অভ্যন্তরীন কমিটি করা হয়নি। ২. শিক্ষার্থীদের বেতন ভাতা নিয়মিত আদায় হলেও শিক্ষকদের ১৮ মাসের বেতন ও ৫ টি উৎসব ভাতা বকেয়া রয়েছে। ৩. পূর্বে চালুকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রধান শিক্ষক একক সিদ্ধান্তে বন্ধ করেছেন, যা অমানবিক। ৪. ২০২০ থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত আয় ব্যাযের হিসাব গভর্নিং বডির স্বাক্ষর ও মতামত ছাড়াই বর্তমান সভাপতির কাছে দাখিল করেছেন যা অবৈধ। ৫. বন বিভাগের অনুমোদন ছাড়া স্কুলের অনেক পুরাতন গাছ বিক্রি করে আত্নসাৎ। ৬. স্কুলে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে খরচ করা এবং ৮/১০বার চুরির পরেও আইনগত পদক্ষেপ না নেওয়া। ৭. দোকানঘর ভাড়ার টাকা ব্যাংক হিসেবে জমা না করা। ৮. স্কুলের আয়-ব্যায়ের হিসেব ক্যাশবুকে লিপিবদ্ধ না করা।৯. শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক অশোভন আচরন। ১০. শিক্ষার্থীদের নিকট হতে সনদ বাবদ ১শ’ টাকা আদায় করে আত্নসাৎ। ১১. স্কুলের হল রুম ও উত্তর পাশের ৩ তলা ভবন, মসজিদ ও দোকানঘর টেন্ডার ছাড়াই নির্মান। ১২. স্কুলের সকল প্রকার আদায় বইয়ের মুড়ি, দোকান ভাড়া আদায় রশিদের মুড়ি কপি সঠিকভাবে ক্যাশ বইয়ে জমা না করা।