ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে নির্বাচনের রূপরেখা না থাকায় আশাহত বিএনপি

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা না দেওয়ায় আশাহত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এই আশাহত হওয়ার কথা জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা কালকে ১০০ দিনের পূর্তিতে একটা ভাষণ দিয়েছেন। ভালো হয়েছে। অনেকে আশান্বিত হয়েছেন, আমি একটু আশাহত হয়েছি। আমি আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা তাঁর সব প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যাটা চিহ্নিত করে নির্বাচনের জন্য একটা রূপরেখা দেবেন।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি কেন নির্বাচনের কথা বারবার বলছি। কারণ, নির্বাচন দিলে আমাদের অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় যাক না যাক, সেটা বিষয় নয়।’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে যারা বাংলাদেশের ক্ষতি করতে চাচ্ছে, স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাচ্ছে, বাংলাদেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে, নির্বাচনের একটা রূপরেখা দিলে তারা পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে। কারণ, ওই সরকারের পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে। এই বিষয় আমাদের চিন্তা করতে হবে।’ সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘সংস্কার আমরা শুধু চা–ই না, আমরা এটা শুরু করেছি। আপনাদের কাছে অনুরোধ, যেভাবে এগোলে সুন্দর হয়, গ্রহণযোগ্য হয়, সেভাবে আপনারা এগিয়ে যান। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো বাধার সৃষ্টি করিনি, বরং প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাদের সমর্থন দিচ্ছি। যদিও সচিবালয়ে স্বৈরাচারের ও ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে আছেন। আপনি তাঁদের নিয়ে কীভাবে কাজ করবেন।’
প্রশাসনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনি সংস্কার করবেন, আমলারা যাঁরা বসে আছেন, তাঁরা বেশির ভাগই স্বৈরাচারের দোসর। তাঁরা কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন, দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সেভাবে ব্যবস্থা নিতে দেখি না। এগুলো একটু দৃশ্যমান করুন। গভর্ন্যান্সের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রশাসন চালানো, দেশ শাসন করা—এগুলোতে যেন মানুষ শান্তি পায়। সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।’
বাজার পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে, শান্তি পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তা–ও তো মানুষ মেনে নিচ্ছে। কারণ, আপনারা একটা সুন্দর নির্বাচন দেবেন। কাজেই ওটাকে দৃশ্যমান করুন, ব্যবস্থা নিন। বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেন বা না পারেন, চেষ্টা করুন। ব্যবস্থা নিতে হবে। সচিবালয়ে যদি ঘুষ দিতে হয়, সচিবালয়ে গিয়ে যদি মানুষ দেখে সেই দালালেরাই ঘোরাঘুরি করছে, মানুষ তা কখনো ভালো চোখে দেখবে না।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এ সরকার পারবে, বাংলাদেশের মানুষ পারবে এবং তরুণেরা পারবে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে।’ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, হেলেন জেরিন খান, আসাদুল করিম, নাজমুল হক প্রমুখ।
আগামী মার্চ-এপ্রিলেই নির্বাচন দিতে হবে: এ্যানি: এদিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিন মাসের বেশি সময় দরকার হওয়ার কথা নয়। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়, তাই আগামী মার্চ বা এপ্রিল মাসেই নির্বাচন দিতে হবে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন এ্যানি। তার বক্তব্যে এ্যানি বলেন, ক্ষমতায় থেকে লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে আওয়ামী লীগ। এখন সেই টাকা দিয়েই দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বিগত ১৫-১৬ বছরের আন্দোলনে কেউ গুম-খুন হয়েছে, কেউ হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। এসব অপকর্মে জড়িতদের সবাই এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। বিচার প্রক্রিয়াও এখনো শুরু হয়নি। এজন্য সরকারের কাছে দাবি খুনিদের অনতিবিলম্বে বিচার করতে হবে। খুনিদের বিচার না করলে সমাজ আঘাতপ্রাপ্ত হবে এবং দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, জনগণের জন্য আমরা আন্দোলন, সংগ্রাম ও লড়াই করেছি। জনগণের জন্য দেশটা গড়তে চাই। এক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে কথায় এবং কাজে মিল রাখা। এজন্য জনগণকে প্রাধান্য দিতে হবে। শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও ষড়যন্ত্র পালায়নি। হাসিনা ভারতে বসে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ সমস্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহাবুবুল হক নান্নু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন, বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার, বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ জমাদ্দার, সদস্য সচিব নাছির হাওলাদার, বাকেরগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন জমাদ্দার ও সাধারণ সম্পাদক শাহিন তালুকদার।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে নির্বাচনের রূপরেখা না থাকায় আশাহত বিএনপি

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা না দেওয়ায় আশাহত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এই আশাহত হওয়ার কথা জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা কালকে ১০০ দিনের পূর্তিতে একটা ভাষণ দিয়েছেন। ভালো হয়েছে। অনেকে আশান্বিত হয়েছেন, আমি একটু আশাহত হয়েছি। আমি আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা তাঁর সব প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যাটা চিহ্নিত করে নির্বাচনের জন্য একটা রূপরেখা দেবেন।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি কেন নির্বাচনের কথা বারবার বলছি। কারণ, নির্বাচন দিলে আমাদের অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় যাক না যাক, সেটা বিষয় নয়।’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে যারা বাংলাদেশের ক্ষতি করতে চাচ্ছে, স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাচ্ছে, বাংলাদেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে, নির্বাচনের একটা রূপরেখা দিলে তারা পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে। কারণ, ওই সরকারের পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে। এই বিষয় আমাদের চিন্তা করতে হবে।’ সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘সংস্কার আমরা শুধু চা–ই না, আমরা এটা শুরু করেছি। আপনাদের কাছে অনুরোধ, যেভাবে এগোলে সুন্দর হয়, গ্রহণযোগ্য হয়, সেভাবে আপনারা এগিয়ে যান। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো বাধার সৃষ্টি করিনি, বরং প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাদের সমর্থন দিচ্ছি। যদিও সচিবালয়ে স্বৈরাচারের ও ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে আছেন। আপনি তাঁদের নিয়ে কীভাবে কাজ করবেন।’
প্রশাসনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনি সংস্কার করবেন, আমলারা যাঁরা বসে আছেন, তাঁরা বেশির ভাগই স্বৈরাচারের দোসর। তাঁরা কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন, দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সেভাবে ব্যবস্থা নিতে দেখি না। এগুলো একটু দৃশ্যমান করুন। গভর্ন্যান্সের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রশাসন চালানো, দেশ শাসন করা—এগুলোতে যেন মানুষ শান্তি পায়। সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।’
বাজার পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে, শান্তি পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তা–ও তো মানুষ মেনে নিচ্ছে। কারণ, আপনারা একটা সুন্দর নির্বাচন দেবেন। কাজেই ওটাকে দৃশ্যমান করুন, ব্যবস্থা নিন। বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেন বা না পারেন, চেষ্টা করুন। ব্যবস্থা নিতে হবে। সচিবালয়ে যদি ঘুষ দিতে হয়, সচিবালয়ে গিয়ে যদি মানুষ দেখে সেই দালালেরাই ঘোরাঘুরি করছে, মানুষ তা কখনো ভালো চোখে দেখবে না।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এ সরকার পারবে, বাংলাদেশের মানুষ পারবে এবং তরুণেরা পারবে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে।’ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, হেলেন জেরিন খান, আসাদুল করিম, নাজমুল হক প্রমুখ।
আগামী মার্চ-এপ্রিলেই নির্বাচন দিতে হবে: এ্যানি: এদিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিন মাসের বেশি সময় দরকার হওয়ার কথা নয়। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়, তাই আগামী মার্চ বা এপ্রিল মাসেই নির্বাচন দিতে হবে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন এ্যানি। তার বক্তব্যে এ্যানি বলেন, ক্ষমতায় থেকে লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে আওয়ামী লীগ। এখন সেই টাকা দিয়েই দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বিগত ১৫-১৬ বছরের আন্দোলনে কেউ গুম-খুন হয়েছে, কেউ হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। এসব অপকর্মে জড়িতদের সবাই এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। বিচার প্রক্রিয়াও এখনো শুরু হয়নি। এজন্য সরকারের কাছে দাবি খুনিদের অনতিবিলম্বে বিচার করতে হবে। খুনিদের বিচার না করলে সমাজ আঘাতপ্রাপ্ত হবে এবং দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, জনগণের জন্য আমরা আন্দোলন, সংগ্রাম ও লড়াই করেছি। জনগণের জন্য দেশটা গড়তে চাই। এক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে কথায় এবং কাজে মিল রাখা। এজন্য জনগণকে প্রাধান্য দিতে হবে। শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও ষড়যন্ত্র পালায়নি। হাসিনা ভারতে বসে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ সমস্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহাবুবুল হক নান্নু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন, বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার, বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ জমাদ্দার, সদস্য সচিব নাছির হাওলাদার, বাকেরগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন জমাদ্দার ও সাধারণ সম্পাদক শাহিন তালুকদার।