ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায় পিলখানা মামলার ৪৬৮ আসামির পরিবার

  • আপডেট সময় : ০২:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পিলখানা হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া এবং সাজা খাটা শেষ হওয়া ৪৬৮ আসামির মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন তাদের পরিবার।
তারা বলছেন, বিস্ফোরক মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় এই আসামিদের ১৩ বছর ধরে কারাগারে আটকে থাকতে হচ্ছে; অথচ তাদের অনেকে হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন। অনেকের ক্ষেত্রে যে সাজা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি দিন কারাগারে আছেন।
গতকাল রোববার পুরান ঢাকার জেলা জজ আদালতের পুরনো ভবনের নিচতলায় কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন এসব পরিবারের প্রতিনিধিরা। তাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান কারাবন্দি বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদস্য মুসার ভাই মো. ওয়ারেছ। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বিভাগীয় মামলা শেষ হয় ২০১১ সালে। এরপর হত্যা মামলায় সব আইনি কার্যক্রম শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বররায় দেয় নি¤œ আদালত। উচ্চ আদালতে মামলার আপিল নিষ্পত্তি হয় ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর, যা বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারাধীন।

“একইসঙ্গে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার হওয়া সত্বেও বিস্ফোরক মামলাটি কোনো এক অদৃশ্য কারণে আলাদা করা হয়, যা এখনও নি¤œ আদালতে বিচারাধীন। এই মামলায় প্রাথমিক অবস্থায় ২০১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। প্রতিমাসে দুটি দিন ধার্য থাকলেও নামমাত্র এক ঘণ্টা কোর্ট চলে।”

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরে বিদ্রোহ দেখা দেয়। সে বিদ্রোহে সে বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহী জওয়ানদের হাতে মারা যান ৫৭ সেনা কর্মকর্তা।

রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহে বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে জওয়ানদের বিদ্রোহ।

৫৭টি বিদ্রোহের মামলার বিচার হয় বাহিনীর নিজস্ব আদালতে। সেখানে ছয় হাজার জওয়ানের কারাদ- হয়।

আর ঢাকার জজ আদালতে ২০১৩ সালে হত্যা মামলার রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদ- এবং ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়। ২৫৬ আসামিকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদের কারাদ- ও অর্থদ-।

হাই কোর্ট ২০১৭ সালে দেওয়া আপিলের রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদ- বহাল রাখে। ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়ার পাশাপাশি ২২৮ জনকে তিন থেকে ১০ বছরের সাজা দেয়।

লিখিত বক্তব্যে ওয়ারেছ বলেন, “আদালত থেকে হত্যা মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পেয়েছেন ২৭৮ জন। এছাড়া স্বল্পমেয়াদী সাজাভোগ শেষ করা ১৯০ জন বিডিআর সদস্য রয়েছেন। সব মিলিয়ে ৪৬৮ জন বিডিআর সদস্য মুক্তির প্রহর গুনছেন।

“কিন্তু একই ঘটনায় বিস্ফোরক মামলার কারণে খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা মুক্তি পাচ্ছেন না। এমনকি মামলা নিষ্পত্তি করা হচ্ছে না, জামিনও দেওয়া হচ্ছে না।”

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এসব কারাবন্দির মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে তিনি বলেন, “একজন বন্দির সকল আইনি সুযোগ-সুবিধাসহ ন্যায়বিচার করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু আমরা সকল আইনি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজা শেষ হলেও বিস্ফোরক মামলায় উচ্চ আদালতে জামিনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে।”
পরিবারগুলোর পক্ষে ওয়ারেছ বলেন, “বিস্ফোরক মামলায় দীর্ঘ ১৩ বছরেও আমাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ না করায় আমরা উচ্চ আদালতে যেতে পারছি না।”
সীমান্তরক্ষা বাহিনীতে এসব সদস্যদের অবদান স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কারও পিতা, কারও ভাই, কারও স্বামী-সন্তান দীর্ঘকাল দেশের জন্য জীবনবাজি রেখে নিঃস্বার্থভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। একেকজন একটি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। অথচ একটি দুর্ঘটনায় সেই ব্যক্তিটি কারাগারে অবরুদ্ধ হওয়ার কারণে পরিবারগুলোর করুণ অসহায় অবস্থায় দীর্ঘ বছরকাল ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

“এমনিভাবে শত শত পরিবার একদিকে নির্মম নিঃসহায় দিনযাপন করছে; অন্যদিকে কারাগারে আটক প্রিয় স্বজনদের খরাচাদি, আইনজীবদের খরচ, পরিবার পরিচালনা করা অতিশয় কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে।”

ওয়ারেছ বলেন, “উচ্চ আদালত কর্তৃক ২০১৭ সালে হত্যা মামলার আপিল নিষ্পত্তি বা রায় হয়। কিন্তু ৪ বছরের বেশি সময় পার হলেও অদ্যবধি কোনো কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছেনি। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা তাদের বার্ষিক রেয়াত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেকের সাজা কমেছে এবং জরিমানা মওকুফ করা হয়েছে, তাও জানতে পারছে না।”

কারাগারে এসব বিডিআর সদস্যরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “বর্তমানে কারাগারে অন্তরীণ অনেকে বয়সের কারণে চলাচল করতে অক্ষম হয়ে নিদারুণ কষ্টে ধুকে ধুকে মৃত্যুবরণ করছে। ইতোমধ্যে নানা রোগে-শোকে কারাগারে ৪২ জন মৃত্যুবরণ করেছে।”

সংবাদ সম্মেলনে কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ, সাবেক বিডিআর সদস্য আব্দুর রশীদের ছেলে সাকিব আহম্মেদ, আব্দুস সালামের স্ত্রী আঞ্জুমানারা ও ছেলে অনিক, ঝাড়ুদার আইনুলের স্ত্রী এবং সাকে বিডিআর সদস্য রাখালের স্ত্রী রহিমা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায় পিলখানা মামলার ৪৬৮ আসামির পরিবার

আপডেট সময় : ০২:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : পিলখানা হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া এবং সাজা খাটা শেষ হওয়া ৪৬৮ আসামির মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন তাদের পরিবার।
তারা বলছেন, বিস্ফোরক মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় এই আসামিদের ১৩ বছর ধরে কারাগারে আটকে থাকতে হচ্ছে; অথচ তাদের অনেকে হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন। অনেকের ক্ষেত্রে যে সাজা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি দিন কারাগারে আছেন।
গতকাল রোববার পুরান ঢাকার জেলা জজ আদালতের পুরনো ভবনের নিচতলায় কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন এসব পরিবারের প্রতিনিধিরা। তাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান কারাবন্দি বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদস্য মুসার ভাই মো. ওয়ারেছ। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বিভাগীয় মামলা শেষ হয় ২০১১ সালে। এরপর হত্যা মামলায় সব আইনি কার্যক্রম শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বররায় দেয় নি¤œ আদালত। উচ্চ আদালতে মামলার আপিল নিষ্পত্তি হয় ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর, যা বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারাধীন।

“একইসঙ্গে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার হওয়া সত্বেও বিস্ফোরক মামলাটি কোনো এক অদৃশ্য কারণে আলাদা করা হয়, যা এখনও নি¤œ আদালতে বিচারাধীন। এই মামলায় প্রাথমিক অবস্থায় ২০১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। প্রতিমাসে দুটি দিন ধার্য থাকলেও নামমাত্র এক ঘণ্টা কোর্ট চলে।”

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরে বিদ্রোহ দেখা দেয়। সে বিদ্রোহে সে বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহী জওয়ানদের হাতে মারা যান ৫৭ সেনা কর্মকর্তা।

রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহে বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে জওয়ানদের বিদ্রোহ।

৫৭টি বিদ্রোহের মামলার বিচার হয় বাহিনীর নিজস্ব আদালতে। সেখানে ছয় হাজার জওয়ানের কারাদ- হয়।

আর ঢাকার জজ আদালতে ২০১৩ সালে হত্যা মামলার রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদ- এবং ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়। ২৫৬ আসামিকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদের কারাদ- ও অর্থদ-।

হাই কোর্ট ২০১৭ সালে দেওয়া আপিলের রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদ- বহাল রাখে। ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়ার পাশাপাশি ২২৮ জনকে তিন থেকে ১০ বছরের সাজা দেয়।

লিখিত বক্তব্যে ওয়ারেছ বলেন, “আদালত থেকে হত্যা মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পেয়েছেন ২৭৮ জন। এছাড়া স্বল্পমেয়াদী সাজাভোগ শেষ করা ১৯০ জন বিডিআর সদস্য রয়েছেন। সব মিলিয়ে ৪৬৮ জন বিডিআর সদস্য মুক্তির প্রহর গুনছেন।

“কিন্তু একই ঘটনায় বিস্ফোরক মামলার কারণে খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা মুক্তি পাচ্ছেন না। এমনকি মামলা নিষ্পত্তি করা হচ্ছে না, জামিনও দেওয়া হচ্ছে না।”

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এসব কারাবন্দির মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে তিনি বলেন, “একজন বন্দির সকল আইনি সুযোগ-সুবিধাসহ ন্যায়বিচার করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু আমরা সকল আইনি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজা শেষ হলেও বিস্ফোরক মামলায় উচ্চ আদালতে জামিনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে।”
পরিবারগুলোর পক্ষে ওয়ারেছ বলেন, “বিস্ফোরক মামলায় দীর্ঘ ১৩ বছরেও আমাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ না করায় আমরা উচ্চ আদালতে যেতে পারছি না।”
সীমান্তরক্ষা বাহিনীতে এসব সদস্যদের অবদান স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কারও পিতা, কারও ভাই, কারও স্বামী-সন্তান দীর্ঘকাল দেশের জন্য জীবনবাজি রেখে নিঃস্বার্থভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। একেকজন একটি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। অথচ একটি দুর্ঘটনায় সেই ব্যক্তিটি কারাগারে অবরুদ্ধ হওয়ার কারণে পরিবারগুলোর করুণ অসহায় অবস্থায় দীর্ঘ বছরকাল ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

“এমনিভাবে শত শত পরিবার একদিকে নির্মম নিঃসহায় দিনযাপন করছে; অন্যদিকে কারাগারে আটক প্রিয় স্বজনদের খরাচাদি, আইনজীবদের খরচ, পরিবার পরিচালনা করা অতিশয় কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে।”

ওয়ারেছ বলেন, “উচ্চ আদালত কর্তৃক ২০১৭ সালে হত্যা মামলার আপিল নিষ্পত্তি বা রায় হয়। কিন্তু ৪ বছরের বেশি সময় পার হলেও অদ্যবধি কোনো কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছেনি। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা তাদের বার্ষিক রেয়াত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেকের সাজা কমেছে এবং জরিমানা মওকুফ করা হয়েছে, তাও জানতে পারছে না।”

কারাগারে এসব বিডিআর সদস্যরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “বর্তমানে কারাগারে অন্তরীণ অনেকে বয়সের কারণে চলাচল করতে অক্ষম হয়ে নিদারুণ কষ্টে ধুকে ধুকে মৃত্যুবরণ করছে। ইতোমধ্যে নানা রোগে-শোকে কারাগারে ৪২ জন মৃত্যুবরণ করেছে।”

সংবাদ সম্মেলনে কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ, সাবেক বিডিআর সদস্য আব্দুর রশীদের ছেলে সাকিব আহম্মেদ, আব্দুস সালামের স্ত্রী আঞ্জুমানারা ও ছেলে অনিক, ঝাড়ুদার আইনুলের স্ত্রী এবং সাকে বিডিআর সদস্য রাখালের স্ত্রী রহিমা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।