ঢাকা ০২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে একমত হতে পারেনি দলগুলো

  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের পঞ্চম দিন রোববার সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতকৈ দলের প্রতিনিধিরা -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অধিকাংশ দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুইবারের প্রস্তাব করেছে। তবে কয়েকটি দল দুইবারের পর এক বার বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন বলে মত দিয়েছে।

রোববার (২২ জুন) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের পঞ্চম দিনের সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ বিষয়ক আলোচনায় এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, গণতান্ত্রিক প্র্যাকটিস বন্ধ করা ঠিক হবে না । আলাদা আলাদা আলোচনা করে সমাধানে আসা কঠিন। আমরা তো সংস্কার চাই। তবে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রের কোনো একটি বিভাগকে দুর্বল করে ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে না । একজন স্বৈরাচার হয়েছিল। সেটি চিন্তা করে যদি সংস্কার করে হাত পা বেঁধে দেওয়া হয় তাহলে সেটি ঠিক হবে না। দুই মেয়াদ হোক বা ৫ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হোক- প্রধানমন্ত্রী কত বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন সেটা আলোচনা করা যেতে পারে।
এ সময় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সর্বোচ্চ দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ নেই । কিন্তু সেটি পূর্ণ মেয়াদ হতে হবে। কিন্তু কেউ মেয়াদ পূর্ণ না করতে পারে সেটি অন্যভাবে বিবেচনায় নিতে হবে।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরপর দুইবার হবেন। এরপর একবার গ্যাপ দিয়ে দুইবার হবেন, আবার একবার গ্যাপ দিয়ে আবার দুইবার হবেন। যতবার খুশি ততবার হবেন।
আমজনতা দলের কার্যনির্বাহী সদস্য সাধনা মহল বলেন, এক ব্যক্তি দুইবার প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। একবার গ্যাপ দিয়ে আরেক মেয়াদে থাকতে পারবেন।
এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, একজন ব্যক্তি পরপর দুইবার প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। তারপর একবার গ্যাপ দিয়ে আবার থাকতে পারবেন।
ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, ঐকমত্যের স্বার্থে আমরা সর্বোচ্চ দুইবারের পক্ষে। সংকটের মূল জায়গা নিম্নকক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, পুরো মেয়াদ সম্পন্ন না করা নিয়ে বিতর্ক আছে। তা বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুইবার বিবেচিত হবে।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদের সমর্থন আছে। এটায় সিদ্ধান্তে আসা উচিত।
জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে ‘ছাড়’ চাইলেন আলী রীয়াজ: জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোকে আরো নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, আপনারা আসছেন, আরেকটু আগান। তাহলে জুলাই সনদ দ্রুত করা সম্ভব।
রোববার (২২ জুন) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের পঞ্চম দিনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আলী রীয়াজ বলেন, আমরা এখানে এসেছি একটি বিশেষ ও কঠিন বাস্তবতায় ১৬ বছরের সংগ্রাম, সহস্রাধিক মানুষের আত্মত্যাগ, অনেকের নিখোঁজ হওয়া ও নিপীড়নের প্রেক্ষাপটে। রাজনৈতিক দলগুলোরও অনেক ত্যাগ রয়েছে। তাই আসুন, সবাই মিলে সমঝোতার পথে এগিয়ে যাই।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে একমত হতে পারেনি দলগুলো

আপডেট সময় : ০৯:০৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অধিকাংশ দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুইবারের প্রস্তাব করেছে। তবে কয়েকটি দল দুইবারের পর এক বার বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন বলে মত দিয়েছে।

রোববার (২২ জুন) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের পঞ্চম দিনের সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ বিষয়ক আলোচনায় এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, গণতান্ত্রিক প্র্যাকটিস বন্ধ করা ঠিক হবে না । আলাদা আলাদা আলোচনা করে সমাধানে আসা কঠিন। আমরা তো সংস্কার চাই। তবে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রের কোনো একটি বিভাগকে দুর্বল করে ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে না । একজন স্বৈরাচার হয়েছিল। সেটি চিন্তা করে যদি সংস্কার করে হাত পা বেঁধে দেওয়া হয় তাহলে সেটি ঠিক হবে না। দুই মেয়াদ হোক বা ৫ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হোক- প্রধানমন্ত্রী কত বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন সেটা আলোচনা করা যেতে পারে।
এ সময় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সর্বোচ্চ দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ নেই । কিন্তু সেটি পূর্ণ মেয়াদ হতে হবে। কিন্তু কেউ মেয়াদ পূর্ণ না করতে পারে সেটি অন্যভাবে বিবেচনায় নিতে হবে।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরপর দুইবার হবেন। এরপর একবার গ্যাপ দিয়ে দুইবার হবেন, আবার একবার গ্যাপ দিয়ে আবার দুইবার হবেন। যতবার খুশি ততবার হবেন।
আমজনতা দলের কার্যনির্বাহী সদস্য সাধনা মহল বলেন, এক ব্যক্তি দুইবার প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। একবার গ্যাপ দিয়ে আরেক মেয়াদে থাকতে পারবেন।
এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, একজন ব্যক্তি পরপর দুইবার প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। তারপর একবার গ্যাপ দিয়ে আবার থাকতে পারবেন।
ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, ঐকমত্যের স্বার্থে আমরা সর্বোচ্চ দুইবারের পক্ষে। সংকটের মূল জায়গা নিম্নকক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, পুরো মেয়াদ সম্পন্ন না করা নিয়ে বিতর্ক আছে। তা বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুইবার বিবেচিত হবে।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদের সমর্থন আছে। এটায় সিদ্ধান্তে আসা উচিত।
জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে ‘ছাড়’ চাইলেন আলী রীয়াজ: জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোকে আরো নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, আপনারা আসছেন, আরেকটু আগান। তাহলে জুলাই সনদ দ্রুত করা সম্ভব।
রোববার (২২ জুন) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের পঞ্চম দিনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আলী রীয়াজ বলেন, আমরা এখানে এসেছি একটি বিশেষ ও কঠিন বাস্তবতায় ১৬ বছরের সংগ্রাম, সহস্রাধিক মানুষের আত্মত্যাগ, অনেকের নিখোঁজ হওয়া ও নিপীড়নের প্রেক্ষাপটে। রাজনৈতিক দলগুলোরও অনেক ত্যাগ রয়েছে। তাই আসুন, সবাই মিলে সমঝোতার পথে এগিয়ে যাই।