ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সম্পন্ন

  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১৪০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজস্থানে খাজা গরিবে নেওয়াজ দরগা শরিফ (আজমিরে সুফি সাধক খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির দরগা) জিয়ারত ও প্রার্থনার মাধ্যমে চার দিনব্যাপী ভারত সফর সমাপ্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) খাজা গরিবে নেওয়াজ দরগা শরিফে নফল নামাজ ও মোনাজাতের মাধ্যমে দেশ, জনগণ ও মুসলিম উম্মাহর উন্নতি, সমৃদ্ধ ও কল্যাণ কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেখানে কিছু সময় অবস্থান করেন। এ সময় তিনি ফাতিহা পাঠ, মোনাজাত ও আজমির শরিফ প্রদক্ষিণ করেন। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগা জিয়ারত ও সেখানে প্রার্থনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী তার ভারত সফর শুরু করেন। তিনি সেখানে প্রার্থনাও করেন।
গত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ভারত সফরের প্রথম দিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকর মৌর্য্য হোটেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর স্যুইটের সম্মেলন কক্ষে তার সাথে দেখা করেন।
৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দিনের সফরে শেখ হাসিনা হায়দারাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন। নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান এবং তাঁকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারসহ নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দুই প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের যৌথ উদ্যোগের বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এরমধ্যে খুলনার রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।
পরে যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশি পণ্য তৃতীয় কোনো দেশে রফতানির জন্য ফ্রি ট্রানজিটের প্রস্তাব দেয় ভারত। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন। তিনি ওই দিন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপ-রাষ্ট্রপতি জাগদীপ ধনখারের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।
৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। সূত্র: বাসস

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সম্পন্ন

আপডেট সময় : ০১:৫৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজস্থানে খাজা গরিবে নেওয়াজ দরগা শরিফ (আজমিরে সুফি সাধক খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির দরগা) জিয়ারত ও প্রার্থনার মাধ্যমে চার দিনব্যাপী ভারত সফর সমাপ্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) খাজা গরিবে নেওয়াজ দরগা শরিফে নফল নামাজ ও মোনাজাতের মাধ্যমে দেশ, জনগণ ও মুসলিম উম্মাহর উন্নতি, সমৃদ্ধ ও কল্যাণ কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেখানে কিছু সময় অবস্থান করেন। এ সময় তিনি ফাতিহা পাঠ, মোনাজাত ও আজমির শরিফ প্রদক্ষিণ করেন। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগা জিয়ারত ও সেখানে প্রার্থনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী তার ভারত সফর শুরু করেন। তিনি সেখানে প্রার্থনাও করেন।
গত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ভারত সফরের প্রথম দিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকর মৌর্য্য হোটেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর স্যুইটের সম্মেলন কক্ষে তার সাথে দেখা করেন।
৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দিনের সফরে শেখ হাসিনা হায়দারাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন। নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান এবং তাঁকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারসহ নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দুই প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের যৌথ উদ্যোগের বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এরমধ্যে খুলনার রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।
পরে যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশি পণ্য তৃতীয় কোনো দেশে রফতানির জন্য ফ্রি ট্রানজিটের প্রস্তাব দেয় ভারত। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন। তিনি ওই দিন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপ-রাষ্ট্রপতি জাগদীপ ধনখারের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।
৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। সূত্র: বাসস