নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন গিয়াস উদ্দিন কবির নামের এক ব্যক্তি। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে চাইতেন মোটা অংকের টাকা। টানা না পেলে দিতেন হুমকি-ধামকিও। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি।
বিষয়টি জানাজানি হলে রাজধানীর পল্টন থানায় গত শনিবার নিজেই মামলা করেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। অবশেষে ওই প্রতারক ধরা খেলেন ঢাকা মহানগর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) হাতে।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেন সিটিটিসির সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের সিনিয়র সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার (এসি) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার গিয়াস উদ্দিন কবির মন্ত্রী-এমপির কাছ থেকে সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। এমনকি তিনি ক্ষমতাশীন দলের প্রবীণ নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায় করতেন। বিষয়টি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানার পরে মামলা করেন। সেই মামলায় কুমিল্লা থেকে গিয়াস উদ্দিন কবিরকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।’
সিটিটিসির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেপ্তার গিয়াস উদ্দিন মাস্টার্স পাস। তিনি একটি ব্যাটারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারে।’
গ্রেপ্তারের পর গিয়াস উদ্দিন সিটিটিসিকে জানিয়েছেন, তিনি মন্ত্রী ও সংসদ সদ্যদের ফোন করার পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন।
তার দেয়া তথ্যানুযায়ী, দেশের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ভালো জায়গায় পোস্টিং, আত্মীয়দের ভালো জায়গায় চাকরি পাইয়ে দেয়ার নাম করে প্রতারণা করেছেন। একইভাবে পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন তিনি। কোনো কর্মকর্তা বা আওয়ামী লীগ নেতা টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের ভয়ভীতি ও সামাজিকভাবে হেয় করার হুমকি দিতেন তিনি। গিয়াস উদ্দিন প্রতারণার মাধ্যমে কী পরিমাণ টাকা হাতিয়েছেন জানতে চাইলে ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ বলেন, ‘আমরা গতকাল তাকে গ্রেপ্তার করে এনেছি। এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ হয়নি। আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পাওয়া পরে বিস্তারিত জানা যাবে।’
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর পরিচয়ে প্রতারণার ফাঁদ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ