ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেল আরও প্রায় ৪০ হাজার পরিবার

  • আপডেট সময় : ০১:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ঈদুল ফিতরের আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আরও প্রায় ৪০ হাজার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে দুই শতক জমিসহ আধা-পাকা ঘর হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চতুর্থ দফায় এসব ঘর হস্তান্তর করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, “জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনিই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে গুচ্ছগ্রাম করেন। দেশে কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না, আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। আমি খুবই আনন্দিত চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৩৬৫ পরিবারকে ভূমি ও গৃহ দিতে পারছি। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারা অনেক আনন্দের। এ অনুষ্ঠানে মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সব উপজেলাসহ সারাদেশের ১৫৯ উপজেলাকে ‘ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত’ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে প্রধানমন্ত্রী পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ মোট ৫২ উপজেলাকে ‘ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত’ ঘোষণা করেছিলেন। সে হিসেবে সব মিলিয়ে নয় জেলা এবং ২১১টি উপজেলা ‘ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত’ ঘোষণা করল সরকার। গণভবনের এই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্র, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও আশ্রয়ণ কেন্দ্র, বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার বানারীপাড়া পৌরসভার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ কেন্দ্রের উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ জনগণের দল। এ দল মানুষের পাশে থাকে। তাদের জন্য কাজ করে। আমাদের একটাই লক্ষ্য, বঙ্গবন্ধুর দেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমরা চাই দেশের সবার ঘর-বাড়ি থাকবে।” জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে দুই শতক জমিসহ ঘর দেওয়া হচ্ছে। এর আগে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তিন দফায় ২ লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
‘৯১-এর ঘূর্ণিঝড়ে বিএনপি সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিএনপি সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যেহেতু আমাদের সংগঠন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে, তাই আমি প্রথমে ফোন পাই। ঘূর্ণিঝড়ে চট্টগ্রাম, বিশেষ করে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল পুরোপুরি তছনছ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগই প্রথম ছুটে গিয়েছিল মানুষের পাশে।’
বুধবার সকালে চতুর্থ ধাপে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সরকারপ্রধান বলেন, ‘সেই ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষ মারা যায়, আমরা নিজের চোখে দেখেছি। আমরা ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে দেখি মানুষ ও পশু-পাখির লাশ একসঙ্গে ভাসছে। আমরা সেখানে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে মানুষের পাশে দাঁড়াই, তাদের সাহায্য করি এবং মরদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করি।’ তখনকার তিন বাহিনীর প্রধানদের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখনকার সংসদে আমরা বিষয়টা তুলে ধরলাম। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। তিনি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন, জানেন না কিছু। তখনকার তিন বাহিনীর প্রধান গলফ খেলছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ে যে এত বড় ক্ষতি হয়ে গেছে, তা-ও তারা জানতেন না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানবাহিনীর, নৌবাহিনীর সবকিছু চট্টগ্রামে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সারা বাংলাদেশ তছনছ। একেবারে চট্টগ্রামসহ পুরো অঞ্চল। রাস্তাঘাট বন্ধ ছিল। তারপরও আমরা ছুটে গিয়েছিলাম, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সে সময় অনেক মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে কক্সবাজারে বস্তিতে থাকতো। আমরা তাদের পুনর্বাসন করেছি।’ এ সময় গণভবন প্রান্তে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেল আরও প্রায় ৪০ হাজার পরিবার

আপডেট সময় : ০১:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ঈদুল ফিতরের আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আরও প্রায় ৪০ হাজার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে দুই শতক জমিসহ আধা-পাকা ঘর হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চতুর্থ দফায় এসব ঘর হস্তান্তর করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, “জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনিই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে গুচ্ছগ্রাম করেন। দেশে কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না, আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। আমি খুবই আনন্দিত চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৩৬৫ পরিবারকে ভূমি ও গৃহ দিতে পারছি। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারা অনেক আনন্দের। এ অনুষ্ঠানে মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সব উপজেলাসহ সারাদেশের ১৫৯ উপজেলাকে ‘ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত’ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে প্রধানমন্ত্রী পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ মোট ৫২ উপজেলাকে ‘ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত’ ঘোষণা করেছিলেন। সে হিসেবে সব মিলিয়ে নয় জেলা এবং ২১১টি উপজেলা ‘ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত’ ঘোষণা করল সরকার। গণভবনের এই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্র, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও আশ্রয়ণ কেন্দ্র, বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার বানারীপাড়া পৌরসভার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ কেন্দ্রের উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ জনগণের দল। এ দল মানুষের পাশে থাকে। তাদের জন্য কাজ করে। আমাদের একটাই লক্ষ্য, বঙ্গবন্ধুর দেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমরা চাই দেশের সবার ঘর-বাড়ি থাকবে।” জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে দুই শতক জমিসহ ঘর দেওয়া হচ্ছে। এর আগে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তিন দফায় ২ লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
‘৯১-এর ঘূর্ণিঝড়ে বিএনপি সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিএনপি সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যেহেতু আমাদের সংগঠন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে, তাই আমি প্রথমে ফোন পাই। ঘূর্ণিঝড়ে চট্টগ্রাম, বিশেষ করে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল পুরোপুরি তছনছ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগই প্রথম ছুটে গিয়েছিল মানুষের পাশে।’
বুধবার সকালে চতুর্থ ধাপে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সরকারপ্রধান বলেন, ‘সেই ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষ মারা যায়, আমরা নিজের চোখে দেখেছি। আমরা ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে দেখি মানুষ ও পশু-পাখির লাশ একসঙ্গে ভাসছে। আমরা সেখানে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে মানুষের পাশে দাঁড়াই, তাদের সাহায্য করি এবং মরদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করি।’ তখনকার তিন বাহিনীর প্রধানদের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখনকার সংসদে আমরা বিষয়টা তুলে ধরলাম। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। তিনি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন, জানেন না কিছু। তখনকার তিন বাহিনীর প্রধান গলফ খেলছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ে যে এত বড় ক্ষতি হয়ে গেছে, তা-ও তারা জানতেন না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানবাহিনীর, নৌবাহিনীর সবকিছু চট্টগ্রামে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সারা বাংলাদেশ তছনছ। একেবারে চট্টগ্রামসহ পুরো অঞ্চল। রাস্তাঘাট বন্ধ ছিল। তারপরও আমরা ছুটে গিয়েছিলাম, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সে সময় অনেক মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে কক্সবাজারে বস্তিতে থাকতো। আমরা তাদের পুনর্বাসন করেছি।’ এ সময় গণভবন প্রান্তে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।