ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

প্রথম দিনে কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিনে কোনো জাহাজ ছাড়েনি

  • আপডেট সময় : ০৩:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

কক্সবাজার সংবাদদাতা: দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে ভ্রমণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। দ্বার খুললেও পর্যটকবাহী জাহাজ না চলায় সেখানে যেতে পারছেন না পর্যটকরা। এতে চরম হতাশ তারা।

সরকার ঘোষিত নভেম্বরে রাত্রিযাপনে বিধিনিষেধের কারণে পর্যটক সংকট থাকায় প্রস্তুতি সত্ত্বেও অনুমতি পাওয়া জাহাজগুলোর মালিকপক্ষের মাঝে অনাগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।

সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সেন্ট মার্টিন কেন্দ্রিক পর্যটনশিল্পকে বাঁচাতে হলে সরকারকে সদয় দৃষ্টি দিতে হবে। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা পর্যটকদের জন্য ভোগান্তির। তাই তারা যেতে আগ্রহী না। এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।

ঢাকার উত্তরা থেকে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বিধিনিষেধের কারণে সেন্ট মার্টিন যেতে পারছি না। মাত্র এক বা দেড় ঘণ্টার জন্য সেন্টমার্টিন গিয়ে আমরা কি করব? রাত্রিযাপনের সুযোগ থাকলে বিবেচনা করতাম। আসলে এভাবে টানা ভ্রমণ কষ্টসাধ্য, সরকারের বিষয়গুলো মাথায় নেওয়া উচিত।

পর্যটক না থাকায় বঙ্গোপসাগরের বৈরী পরিবেশেও জীবন নির্বাহ করা সেন্ট মার্টিনবাসীরা পড়েছেন বিপাকে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ১ নভেম্বর থেকে পর্যটক আসবে শুনে এখানকার মানুষ খুশি হয়েছিল। কিন্তু কোনো জাহাজ আসছে না বলে জেনেছি। পর্যটন মৌসুমই আমাদের জীবনের অবলম্বন, তাই সেভাবে দ্বীপ ও দ্বীপের মানুষকে বাঁচাতে সরকারের পরিকল্পনা নেওয়া উচিত।

সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে প্রযোজ্য ১২টি নির্দেশনা উল্লেখ করে গত ২২ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের রক্ষায় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান।

এসি/আপ্র/০১/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

প্রথম দিনে কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিনে কোনো জাহাজ ছাড়েনি

আপডেট সময় : ০৩:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

কক্সবাজার সংবাদদাতা: দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে ভ্রমণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। দ্বার খুললেও পর্যটকবাহী জাহাজ না চলায় সেখানে যেতে পারছেন না পর্যটকরা। এতে চরম হতাশ তারা।

সরকার ঘোষিত নভেম্বরে রাত্রিযাপনে বিধিনিষেধের কারণে পর্যটক সংকট থাকায় প্রস্তুতি সত্ত্বেও অনুমতি পাওয়া জাহাজগুলোর মালিকপক্ষের মাঝে অনাগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।

সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সেন্ট মার্টিন কেন্দ্রিক পর্যটনশিল্পকে বাঁচাতে হলে সরকারকে সদয় দৃষ্টি দিতে হবে। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা পর্যটকদের জন্য ভোগান্তির। তাই তারা যেতে আগ্রহী না। এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।

ঢাকার উত্তরা থেকে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বিধিনিষেধের কারণে সেন্ট মার্টিন যেতে পারছি না। মাত্র এক বা দেড় ঘণ্টার জন্য সেন্টমার্টিন গিয়ে আমরা কি করব? রাত্রিযাপনের সুযোগ থাকলে বিবেচনা করতাম। আসলে এভাবে টানা ভ্রমণ কষ্টসাধ্য, সরকারের বিষয়গুলো মাথায় নেওয়া উচিত।

পর্যটক না থাকায় বঙ্গোপসাগরের বৈরী পরিবেশেও জীবন নির্বাহ করা সেন্ট মার্টিনবাসীরা পড়েছেন বিপাকে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ১ নভেম্বর থেকে পর্যটক আসবে শুনে এখানকার মানুষ খুশি হয়েছিল। কিন্তু কোনো জাহাজ আসছে না বলে জেনেছি। পর্যটন মৌসুমই আমাদের জীবনের অবলম্বন, তাই সেভাবে দ্বীপ ও দ্বীপের মানুষকে বাঁচাতে সরকারের পরিকল্পনা নেওয়া উচিত।

সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে প্রযোজ্য ১২টি নির্দেশনা উল্লেখ করে গত ২২ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের রক্ষায় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান।

এসি/আপ্র/০১/১১/২০২৫