ঢাকা ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রথম কয়লাকে পেছনে ফেলল নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎস

  • আপডেট সময় : ০৯:০২:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: বিশ্বে এবারই প্রথম কয়লা থেকে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে সূর্য, পানিপ্রবাহ বাতাসহ প্রাকৃতিক নবায়নযোগ্য বিভিন্ন শক্তি থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক জ্বালানিবিষয়ক থিংক ট্যাংক সংস্থা অ্যাম্বার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বিশ্বে নবায়নযোগ্য বিভিন্ন উৎস থেকে মোট ৫ হাজার ৭২ টেরাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে। অন্যদিকে একই সময়সীমায় কয়লা পুড়িয়ে উৎপাদন করা হয়েছে মোট ৪ হাজার ৮৯৬ টেরাওয়াট বিদ্যুৎ।

এক হাজার মেগাওয়াটকে গিগাওয়াট হিসেবে ধরা হয়; আর এক হাজার গিগাওয়াটকে বিবেচনা করা হয় এক টেরাওয়াট বিদ্যুৎ হিসেবে।

কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে কয়লা পোড়ানোর ফলে যে বিপুল পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়- তা পরিবেশ দূষণ ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য অনেকাংশে দায়ী। এ কারণে সাম্প্রতিক গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বের অনেক দেশ দেশ কয়লা, তেল প্রভৃতি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিবর্তে প্রাকৃতিক বিভিন্ন নবায়নযোগ্য উৎসের দিকে ঝুঁকছে।

তার ফলাফল এই প্রথমবারের মতো পাওয়া গেল চলতি ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে। অ্যাম্বারের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক এবং কর্মকর্তা ম্যালগোরজাতা উইয়াত্রোস-মোতিকা, বিদ্যুতের বৈশ্বিক উৎপাদন খাতে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি টার্নিং পয়েন্টে আছি এবং তার প্রথম চিহ্ন মিলল ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে। আমরা যা ভেবেছিলাম, তার চেয়েও দ্রুতগতিতে কয়লার ওপর নির্ভরতা হ্রাস পাচ্ছে এবং সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি বা পানিপ্রবাহের ব্যবহার বাড়ছে। এটা খুবই ভালো লক্ষণ।

অ্যাম্বারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান দুই দেশের- চীন এবং ভারত। এ দু’টি দেশে বসবাস করেন প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ এবং এ দু’টি দেশই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যাপকভাবে কয়লা ও তেলের ওপর নির্ভর করে।

তবে সাম্প্রতিক বছর গুলোতে এই নির্ভরশীলতা হ্রাস পাচ্ছে। অ্যাম্বারের তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালে চীন এবং ভারত উভয় দেশেই কয়লা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমান হ্রাস পেয়েছে ২ শতাংশ এবং সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি ও পানিপ্রবাহ থেকে আসা বিদ্যুতের পরিমান গত বছরের তুলনায় যথাক্রমে ৪৩ শতাংশ এবং ১৬ শতাংশ বেড়েছে।

ভারতে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর সৌরবিদ্যুৎ ও বায়ুশক্তি (উইন্ডমিল) বিদ্যুতের উৎপাদন বেড়েছে যথাক্রমে ২৯ শতাংশ এবং ৩১ শতাংশ।

তবে এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চিত্র খানিকটা হতাশাজনক। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত দেশটিতে বছরের প্রথম ৬ মাসে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন বেড়েছে ১৭ শতাংশ। সূত্র: রয়টার্স

সানা/আপ্র/০৮/১০/২০২৫

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথম কয়লাকে পেছনে ফেলল নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎস

আপডেট সময় : ০৯:০২:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: বিশ্বে এবারই প্রথম কয়লা থেকে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে সূর্য, পানিপ্রবাহ বাতাসহ প্রাকৃতিক নবায়নযোগ্য বিভিন্ন শক্তি থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক জ্বালানিবিষয়ক থিংক ট্যাংক সংস্থা অ্যাম্বার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বিশ্বে নবায়নযোগ্য বিভিন্ন উৎস থেকে মোট ৫ হাজার ৭২ টেরাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে। অন্যদিকে একই সময়সীমায় কয়লা পুড়িয়ে উৎপাদন করা হয়েছে মোট ৪ হাজার ৮৯৬ টেরাওয়াট বিদ্যুৎ।

এক হাজার মেগাওয়াটকে গিগাওয়াট হিসেবে ধরা হয়; আর এক হাজার গিগাওয়াটকে বিবেচনা করা হয় এক টেরাওয়াট বিদ্যুৎ হিসেবে।

কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে কয়লা পোড়ানোর ফলে যে বিপুল পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়- তা পরিবেশ দূষণ ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য অনেকাংশে দায়ী। এ কারণে সাম্প্রতিক গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বের অনেক দেশ দেশ কয়লা, তেল প্রভৃতি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিবর্তে প্রাকৃতিক বিভিন্ন নবায়নযোগ্য উৎসের দিকে ঝুঁকছে।

তার ফলাফল এই প্রথমবারের মতো পাওয়া গেল চলতি ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে। অ্যাম্বারের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক এবং কর্মকর্তা ম্যালগোরজাতা উইয়াত্রোস-মোতিকা, বিদ্যুতের বৈশ্বিক উৎপাদন খাতে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি টার্নিং পয়েন্টে আছি এবং তার প্রথম চিহ্ন মিলল ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে। আমরা যা ভেবেছিলাম, তার চেয়েও দ্রুতগতিতে কয়লার ওপর নির্ভরতা হ্রাস পাচ্ছে এবং সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি বা পানিপ্রবাহের ব্যবহার বাড়ছে। এটা খুবই ভালো লক্ষণ।

অ্যাম্বারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান দুই দেশের- চীন এবং ভারত। এ দু’টি দেশে বসবাস করেন প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ এবং এ দু’টি দেশই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যাপকভাবে কয়লা ও তেলের ওপর নির্ভর করে।

তবে সাম্প্রতিক বছর গুলোতে এই নির্ভরশীলতা হ্রাস পাচ্ছে। অ্যাম্বারের তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালে চীন এবং ভারত উভয় দেশেই কয়লা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমান হ্রাস পেয়েছে ২ শতাংশ এবং সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি ও পানিপ্রবাহ থেকে আসা বিদ্যুতের পরিমান গত বছরের তুলনায় যথাক্রমে ৪৩ শতাংশ এবং ১৬ শতাংশ বেড়েছে।

ভারতে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর সৌরবিদ্যুৎ ও বায়ুশক্তি (উইন্ডমিল) বিদ্যুতের উৎপাদন বেড়েছে যথাক্রমে ২৯ শতাংশ এবং ৩১ শতাংশ।

তবে এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চিত্র খানিকটা হতাশাজনক। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত দেশটিতে বছরের প্রথম ৬ মাসে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন বেড়েছে ১৭ শতাংশ। সূত্র: রয়টার্স

সানা/আপ্র/০৮/১০/২০২৫