ঢাকা ০৮:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

প্রতি ১০ মিনিটে আপনজনের হাতে প্রাণ হারাচ্ছেন একজন নারী: জাতিসংঘ

  • আপডেট সময় : ০৪:২৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

প্রতীকী ছবি

প্রত্যাশা ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে তেমন অগ্রগতি হয়নি বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মতে, ২০২৪ সালে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যদের হাতে প্রায় ৫০ হাজার নারী ও কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী, প্রতি ১০ মিনিটে অন্তত একজন নারী তার আপনজনের হাতে নিহত হচ্ছেন।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জিও নিউজ জানিয়েছে, নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূলের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম বিষয়ক দপ্তর। এতে বলা হয়, বিশ্বের মোট নারী হত্যার ৬০ শতাংশই ঘটে ঘরের ভেতরে।

এমন ঘটনায় স্বামী, প্রেমিক, বাবা, ভাই বা অন্যান্য নিকট আত্মীয়রা জড়িত। বিপরীতে, পুরুষ হত্যার মাত্র ১১ শতাংশ ঘটনায় আপনজন দায়ী। প্রতিবেদনটি ৫০ হাজার হত্যাকাণ্ডের তথ্যে ১১৭টি দেশের ভিত্তিতে করা হয়েছে। যদিও ২০২৩ সালের তুলনায় এর সংখ্যা কিছুটা কম। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে, এটি বাস্তবে সহিংসতা কমার ইঙ্গিত নয়।

তথ্য সংগ্রহের পার্থক্যের কারণেই এমনটি দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের কোনো অঞ্চলই ফেমিসাইড বা নারী হত্যার ঘটনা থেকে মুক্ত নয়। তবে ২০২৪ সালে আফ্রিকা অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি—প্রায় ২২ হাজার নারী ও কন্যা শিশুকে হত্যা করা হয়েছ, যা অন্যান্য অঞ্চল থেকে অনেক বেশি।

ইউএন-এর নীতি বিভাগের পরিচালক সারা হেনড্রিক্স বলেন, ফেমিসাইড এককভাবে ঘটে না। এটি শুরু হতে পারে নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণ, হুমকি, ভীতি প্রদর্শন কিংবা হয়রানি থেকে। অনলাইনসহ নানা মাধ্যমে। প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে অনেক নতুন ধরনের সহিংসতা দেখা দিচ্ছে, যেমন অনুমতি ছাড়া ছবি বা ভিডিও প্রকাশ, ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস (ডক্সিং), এমনকি ডিপফেক ভিডিও তৈরি।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়, নারী ও কন্যাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনলাইন এবং অফলাইনে সহিংসতার সব ধরনকে আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে। পাশাপাশি, সহিংসতা প্রাণঘাতী হওয়ার আগেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়, বাড়িই নারী ও কন্যাশিশুর জন্য হত্যার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান। যথাযথ সচেতনতা, প্রযুক্তি-নির্ভর সুরক্ষা এবং কার্যকর আইনগত পদক্ষেপ ছাড়া ফেমিসাইড বন্ধ করা সম্ভব নয়।

ওআ/আপ্র/২৫/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

শাহবাগে ৪৭তম বিসিএস প্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

প্রতি ১০ মিনিটে আপনজনের হাতে প্রাণ হারাচ্ছেন একজন নারী: জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ০৪:২৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে তেমন অগ্রগতি হয়নি বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মতে, ২০২৪ সালে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যদের হাতে প্রায় ৫০ হাজার নারী ও কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী, প্রতি ১০ মিনিটে অন্তত একজন নারী তার আপনজনের হাতে নিহত হচ্ছেন।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জিও নিউজ জানিয়েছে, নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূলের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম বিষয়ক দপ্তর। এতে বলা হয়, বিশ্বের মোট নারী হত্যার ৬০ শতাংশই ঘটে ঘরের ভেতরে।

এমন ঘটনায় স্বামী, প্রেমিক, বাবা, ভাই বা অন্যান্য নিকট আত্মীয়রা জড়িত। বিপরীতে, পুরুষ হত্যার মাত্র ১১ শতাংশ ঘটনায় আপনজন দায়ী। প্রতিবেদনটি ৫০ হাজার হত্যাকাণ্ডের তথ্যে ১১৭টি দেশের ভিত্তিতে করা হয়েছে। যদিও ২০২৩ সালের তুলনায় এর সংখ্যা কিছুটা কম। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে, এটি বাস্তবে সহিংসতা কমার ইঙ্গিত নয়।

তথ্য সংগ্রহের পার্থক্যের কারণেই এমনটি দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের কোনো অঞ্চলই ফেমিসাইড বা নারী হত্যার ঘটনা থেকে মুক্ত নয়। তবে ২০২৪ সালে আফ্রিকা অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি—প্রায় ২২ হাজার নারী ও কন্যা শিশুকে হত্যা করা হয়েছ, যা অন্যান্য অঞ্চল থেকে অনেক বেশি।

ইউএন-এর নীতি বিভাগের পরিচালক সারা হেনড্রিক্স বলেন, ফেমিসাইড এককভাবে ঘটে না। এটি শুরু হতে পারে নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণ, হুমকি, ভীতি প্রদর্শন কিংবা হয়রানি থেকে। অনলাইনসহ নানা মাধ্যমে। প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে অনেক নতুন ধরনের সহিংসতা দেখা দিচ্ছে, যেমন অনুমতি ছাড়া ছবি বা ভিডিও প্রকাশ, ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস (ডক্সিং), এমনকি ডিপফেক ভিডিও তৈরি।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়, নারী ও কন্যাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনলাইন এবং অফলাইনে সহিংসতার সব ধরনকে আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে। পাশাপাশি, সহিংসতা প্রাণঘাতী হওয়ার আগেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়, বাড়িই নারী ও কন্যাশিশুর জন্য হত্যার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান। যথাযথ সচেতনতা, প্রযুক্তি-নির্ভর সুরক্ষা এবং কার্যকর আইনগত পদক্ষেপ ছাড়া ফেমিসাইড বন্ধ করা সম্ভব নয়।

ওআ/আপ্র/২৫/১১/২০২৫