ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

প্রতি বছর ১৮ অক্টোবর পালিত হবে ‘শেখ রাসেল দিবস’

  • আপডেট সময় : ১১:২১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: শেখ রাসেল দিবস ‘ক’ শ্রেণী ভুক্ত দিবস হিসেবে প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর জাতীয়ভাবে পালিত ও উদযাপিত হবে। দিবসটি জাতীয় ভাবে পালনের বিষয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে গতকাল সোমবার এ অনুমোদন দিয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালনের প্রস্তাব পেশ করেন এবং এর যৌক্তিকতা মন্ত্রিসভার বৈঠকে তুলে ধরেন। এরই প্রেক্ষিতে সর্বসম্মতিক্রমে মন্ত্রিপরিষদে প্রস্তাবটি অনুমোদন করে। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ১৮ অক্টোবরকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করায় আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যগণের প্রতি কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করেন। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সর্বোপরি সবস্তরে এখন থেকে প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেল দিবস’ জাতীয়ভাবে পালিত হবে। যা আগামী দিনের শিশুদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে থাকবে। শেখ রাসেলের এই শূণ্যতা প্রজম্ম থেকে প্রজম্মান্তরে তাঁর আদর্শিক অবস্থান ও মানসিক দৃঢ়তার স্থানটিকে পূরণ করবে এবং জাতীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রকৃত ইতিহাস জানার সুদুর প্রসারি সুযোগ এনে দিবে।
উল্লেখ্য, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল ১৮ অক্টোবর , ১৯৬৪ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল ছিল সর্বকনিষ্ঠ। শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, এবং শিশু পুত্র শেখ রাসেলসহ ১৮জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সারা বাংলাদেশের আগামী দিনের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা যেন তাদের প্রিয় শেখ রাসেলকে তাদের হৃদয়ের মনি কোঠায় জাগরুক এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শসে ধারণ করে রাখতে পারে সেই লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ দেশে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম শুরু করে। সৌদি আরবসহ সারা বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ৮ হাজার “শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব” স্থাপন করা হয়েছে। আরো ৫০০০টি “শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব” ও ৩০০টি “স্কুল অব ফিউচার” স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়াও আগামীতে আরও ১০ হাজার “শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব” স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে।
সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ব্যবহারকারী শিশু-কিশোরদের মাঝে শেখ রাসেলের স্মৃতি অম্লান থাকবে। বর্তমান ও ভবিষত প্রজন্ম আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে শেখ রাসেলের দীপ্ত প্রত্যয়কে হৃদয়ে ধারণ করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার শক্তিতে বলীয়ান হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রতি বছর ১৮ অক্টোবর পালিত হবে ‘শেখ রাসেল দিবস’

আপডেট সময় : ১১:২১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক: শেখ রাসেল দিবস ‘ক’ শ্রেণী ভুক্ত দিবস হিসেবে প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর জাতীয়ভাবে পালিত ও উদযাপিত হবে। দিবসটি জাতীয় ভাবে পালনের বিষয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে গতকাল সোমবার এ অনুমোদন দিয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালনের প্রস্তাব পেশ করেন এবং এর যৌক্তিকতা মন্ত্রিসভার বৈঠকে তুলে ধরেন। এরই প্রেক্ষিতে সর্বসম্মতিক্রমে মন্ত্রিপরিষদে প্রস্তাবটি অনুমোদন করে। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ১৮ অক্টোবরকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করায় আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যগণের প্রতি কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করেন। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সর্বোপরি সবস্তরে এখন থেকে প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেল দিবস’ জাতীয়ভাবে পালিত হবে। যা আগামী দিনের শিশুদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে থাকবে। শেখ রাসেলের এই শূণ্যতা প্রজম্ম থেকে প্রজম্মান্তরে তাঁর আদর্শিক অবস্থান ও মানসিক দৃঢ়তার স্থানটিকে পূরণ করবে এবং জাতীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রকৃত ইতিহাস জানার সুদুর প্রসারি সুযোগ এনে দিবে।
উল্লেখ্য, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল ১৮ অক্টোবর , ১৯৬৪ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল ছিল সর্বকনিষ্ঠ। শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, এবং শিশু পুত্র শেখ রাসেলসহ ১৮জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সারা বাংলাদেশের আগামী দিনের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা যেন তাদের প্রিয় শেখ রাসেলকে তাদের হৃদয়ের মনি কোঠায় জাগরুক এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শসে ধারণ করে রাখতে পারে সেই লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ দেশে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম শুরু করে। সৌদি আরবসহ সারা বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ৮ হাজার “শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব” স্থাপন করা হয়েছে। আরো ৫০০০টি “শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব” ও ৩০০টি “স্কুল অব ফিউচার” স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়াও আগামীতে আরও ১০ হাজার “শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব” স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে।
সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ব্যবহারকারী শিশু-কিশোরদের মাঝে শেখ রাসেলের স্মৃতি অম্লান থাকবে। বর্তমান ও ভবিষত প্রজন্ম আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে শেখ রাসেলের দীপ্ত প্রত্যয়কে হৃদয়ে ধারণ করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার শক্তিতে বলীয়ান হবে।