ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শামসুল আলম

  • আপডেট সময় : ০২:৪০:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১
  • ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ হাসিনার সরকারে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদ্য সাবেক সদস্য কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. শামসুল আলম। করোনাভাইরাস মহামারীকালে নতুন প্রতিমন্ত্রীর এই শপথ অনুষ্ঠান হয় সীমিত পরিসরে কয়েকজন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে।
সরকারের কোনো মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী শপথ নিলে সেই অনুষ্ঠানে সরকার প্রধানের উপস্থিত থাকার রেওয়াজ রয়েছে। তবে গতকাল রোববারের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন না। মহামারীকালে গত নভেম্বর মাসে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানেরও শপথেও ছিলেন না সরকার প্রধান।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠতম সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় এখন মন্ত্রী আছেন ২৫ জন। এছাড়া ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্ব পালন করছেন। শামসুল আলমের শপথের মধ্য দিয়ে প্রতিমন্ত্রীর সংখ্যা বেড়ে ২০ হল। সংসদ সদস্য না হওয়ায় তিনি মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন টেকনোক্র্যাট হিসেবে।
গত এক যুগ ধরে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা শামসুল আলমের মেয়াদ শেষ হয় গত ৩০ জুন। এর আগে ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন এই কৃষি অর্থনীতিবিদ। ২০০৯ সালের ১ জুলাই প্রেষণে তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য করা হয়। সেই দায়িত্বে থেকে তিনি ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), শতবর্ষের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন।
২০১৫ সালে কমিশনের সদস্য থাকা অবস্থায় তাকে জ্যেষ্ঠ সচিব করা হয়। পরের বছর তিনি অধ্যাপনা থেকে অবসরে যান। তবে কমিশনের সদস্য হিসেবে তার মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। কৃষি অর্থনীতিতে অবদানের জন্য ২০২০ সালে সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে। অর্থনীতিবিদ ড. শামসুল আলমঅর্থনীতিবিদ ড. শামসুল আলম১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন শামসুল আলম। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বর্তমান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ১৯৬৫ সালে তিনি কৃষি অর্থনীতিতে স্নাতক এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতকোত্তর করেন। ১৯৮৩ সালে ব্যাংককের থাম্মাসাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ও ১৯৯১ সালে ইংল্যান্ডের নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন শামসুল আলম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাকাল্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শামসুল আলম ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচিতে কনসালটেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। অর্থনীতি বিষয়ে শামসুল আলমের ১২টি বই প্রকাশিত হয়েছে, এর মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শামসুল আলম

আপডেট সময় : ০২:৪০:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ হাসিনার সরকারে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদ্য সাবেক সদস্য কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. শামসুল আলম। করোনাভাইরাস মহামারীকালে নতুন প্রতিমন্ত্রীর এই শপথ অনুষ্ঠান হয় সীমিত পরিসরে কয়েকজন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে।
সরকারের কোনো মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী শপথ নিলে সেই অনুষ্ঠানে সরকার প্রধানের উপস্থিত থাকার রেওয়াজ রয়েছে। তবে গতকাল রোববারের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন না। মহামারীকালে গত নভেম্বর মাসে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানেরও শপথেও ছিলেন না সরকার প্রধান।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠতম সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় এখন মন্ত্রী আছেন ২৫ জন। এছাড়া ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্ব পালন করছেন। শামসুল আলমের শপথের মধ্য দিয়ে প্রতিমন্ত্রীর সংখ্যা বেড়ে ২০ হল। সংসদ সদস্য না হওয়ায় তিনি মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন টেকনোক্র্যাট হিসেবে।
গত এক যুগ ধরে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা শামসুল আলমের মেয়াদ শেষ হয় গত ৩০ জুন। এর আগে ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন এই কৃষি অর্থনীতিবিদ। ২০০৯ সালের ১ জুলাই প্রেষণে তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য করা হয়। সেই দায়িত্বে থেকে তিনি ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), শতবর্ষের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন।
২০১৫ সালে কমিশনের সদস্য থাকা অবস্থায় তাকে জ্যেষ্ঠ সচিব করা হয়। পরের বছর তিনি অধ্যাপনা থেকে অবসরে যান। তবে কমিশনের সদস্য হিসেবে তার মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। কৃষি অর্থনীতিতে অবদানের জন্য ২০২০ সালে সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে। অর্থনীতিবিদ ড. শামসুল আলমঅর্থনীতিবিদ ড. শামসুল আলম১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন শামসুল আলম। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বর্তমান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ১৯৬৫ সালে তিনি কৃষি অর্থনীতিতে স্নাতক এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতকোত্তর করেন। ১৯৮৩ সালে ব্যাংককের থাম্মাসাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ও ১৯৯১ সালে ইংল্যান্ডের নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন শামসুল আলম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাকাল্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শামসুল আলম ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচিতে কনসালটেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। অর্থনীতি বিষয়ে শামসুল আলমের ১২টি বই প্রকাশিত হয়েছে, এর মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত।