ঢাকা ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

প্রতিবন্ধী শিশুদের ৬০ শতাংশই স্কুলের বাইরে

  • আপডেট সময় : ১০:২৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জরিপ ২০২১’- শীর্ষক জরিপে উঠে এসেছে উল্লিখিত তথ্য। ইউনিসেফের সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই জরিপ পরিচালনা করে। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সরকারি সংস্থাটির এটাই প্রথম জরিপ।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে মাত্র ৬৫ শতাংশ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং মাত্র ৩৫ শতাংশ শিশু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নথিভুক্ত আছে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে রয়েছে মোট ৬০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শিশু।
বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক ইফতেখাইরুল করিম বলেন, “এই প্রথম বিবিএস প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সংক্রান্ত একটি জাতীয় জরিপ পরিচালনা করেছে। এই জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য প্রতিবন্ধী শিশুরা বেড়ে ওঠার সময় কত প্রকার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় তা তুলে ধরেছে। রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা ও উদ্যোগ প্রণয়নে সরকারকে সহায়তা করবে।”
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, “বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে কতজন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তা তুলে ধরেছে নতুন এই তথ্য। এই শিশুদের জন্য আমাদের আরও অনেক কিছু করা দরকার। আমাদেরকে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সেবাসমূহ প্রদান করতে হবে এবং এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে তারা উন্নতি করতে পারে।”
জরিপটি বলছে, কাজ করতে সক্ষম প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ কাজে যুক্ত। যেখানে পুরুষদের তুলনায় নারীদের কাজে নিযুক্ত না থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সরকারিভাবে নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে ৯০ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা হিসেবে ভাতা পেলেও প্রায় ৬৫ শতাংশ রয়েছেন নিবন্ধনের বাইরে।
প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বেড়ে ওঠা শিশুদের মাঝেও সম্ভাবনা থাকে। এই সম্ভাবনার সর্বোচ্চ বিকাশের জন্য দ্রুত শনাক্তকরণ ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে পরিবার ও সেবাদানকারীরা প্রতিবন্ধী শিশুদের জীবনের সব ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে সহায়তা করতে পারেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানে প্রতিবন্ধী শিশুদের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে এবং সামাজিক নেতিবাচক ধ্যান-ধারণা ও কুসংস্কার দূর করতে ইউনিসেফ ও সরকার একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটিতে উল্লেখ করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রতিবন্ধী শিশুদের ৬০ শতাংশই স্কুলের বাইরে

আপডেট সময় : ১০:২৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জাতীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জরিপ ২০২১’- শীর্ষক জরিপে উঠে এসেছে উল্লিখিত তথ্য। ইউনিসেফের সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই জরিপ পরিচালনা করে। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সরকারি সংস্থাটির এটাই প্রথম জরিপ।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে মাত্র ৬৫ শতাংশ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং মাত্র ৩৫ শতাংশ শিশু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নথিভুক্ত আছে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে রয়েছে মোট ৬০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শিশু।
বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক ইফতেখাইরুল করিম বলেন, “এই প্রথম বিবিএস প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সংক্রান্ত একটি জাতীয় জরিপ পরিচালনা করেছে। এই জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য প্রতিবন্ধী শিশুরা বেড়ে ওঠার সময় কত প্রকার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় তা তুলে ধরেছে। রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা ও উদ্যোগ প্রণয়নে সরকারকে সহায়তা করবে।”
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, “বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে কতজন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তা তুলে ধরেছে নতুন এই তথ্য। এই শিশুদের জন্য আমাদের আরও অনেক কিছু করা দরকার। আমাদেরকে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সেবাসমূহ প্রদান করতে হবে এবং এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে তারা উন্নতি করতে পারে।”
জরিপটি বলছে, কাজ করতে সক্ষম প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ কাজে যুক্ত। যেখানে পুরুষদের তুলনায় নারীদের কাজে নিযুক্ত না থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সরকারিভাবে নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে ৯০ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা হিসেবে ভাতা পেলেও প্রায় ৬৫ শতাংশ রয়েছেন নিবন্ধনের বাইরে।
প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বেড়ে ওঠা শিশুদের মাঝেও সম্ভাবনা থাকে। এই সম্ভাবনার সর্বোচ্চ বিকাশের জন্য দ্রুত শনাক্তকরণ ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে পরিবার ও সেবাদানকারীরা প্রতিবন্ধী শিশুদের জীবনের সব ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে সহায়তা করতে পারেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানে প্রতিবন্ধী শিশুদের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে এবং সামাজিক নেতিবাচক ধ্যান-ধারণা ও কুসংস্কার দূর করতে ইউনিসেফ ও সরকার একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটিতে উল্লেখ করা হয়।