প্রযুক্তি ডেস্ক : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমরা এখন ডিজিটাল যুগে বাস করছি। এ সময়ে প্রতিবন্ধিত্ব জয় করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। এরই মাঝে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রচুর ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও প্রযুক্তি আসবে।’
গত শনিবার ঢাকায় সুইড অডিটোরিয়ামে বেসরকারি সংস্থা ‘অবাক বাংলাদেশের’ উদ্যোগে অনলাইনে দেশব্যাপী প্রতিবন্ধী সংগীতশিল্পীদের নিয়ে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বটা ডিজিটাল সংযুক্তিতে বিকশিত হওয়ার ফলে প্রতিবন্ধীরাও ডিজিটাল দক্ষতা নিয়ে তাদের পেশা তৈরি করতে পারে। শারীরিক অক্ষমতা এ জন্য বাধা হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধী শিশুরা পরিবার ও সমাজের বোঝা নয়। তারা সমাজে সক্ষমদের তুলনায় অনেক বেশি মেধাবী। তাদের পাশে থেকে অনুপ্রেরণা ও যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মাধ্যমে তাদের সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য যথাযথ পরিচর্যা ও পৃষ্ঠপোষকতা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য সাদা ছড়িতে কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি প্রয়োগ করে তাদের চলাচলকে সহজতর করা হয়েছে।’
কনভার্টারের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতিতে শিক্ষা বিস্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলা প্রকাশনার পুরোটা ব্রেইল পদ্ধতিতে নিয়ে যাওয়া দরকার।’
অবাক বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী বিপুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, প্রতিবন্ধী ও মানবাধিকার বিষয়ক উন্নয়নকর্মী মনসুর আহমেদ চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, মো. নুরুল আলম, সুইড বাংলাদেশের মহাসচিব মাহবুবুল মনির প্রমুখ বক্তৃতা করেন। মনসুর আহমেদ চৌধুরী অটিস্টিক শিশুদের প্রতি সবার সহমর্মিতা ও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।’ এর আগে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের একক ও সমবেত সংগীত এবং নৃত্য পরিবেশিত হয়। পরে মন্ত্রী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।