ঢাকা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

প্রতিদিন ৩৭৬ বার শেয়ার হয় একজন ইউরোপীয়র তথ্য

  • আপডেট সময় : ০৯:৩০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : একজন ইউরোপীয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্য প্রতিদিন গড়ে ৩৭৬ বার হাতবদল বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বেলায় এই সংখ্যা ৭৪৭ বার।
‘আইরিশ কাউন্সিল ফর সিভিল লিবার্টিস (আইসিসিএল)’-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। ডিজিটাল বিজ্ঞাপনী খাতের আয়ের সুবাদে সিংহভাগ ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা এখনও বিনা খরচে ব্যবহার করা যায়।

বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমানে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন শিল্প এবং ‘ডেটা প্রোটেকশন কমিশন’-এর সঙ্গে আইনি লড়াই চলছে আইসিসিএল-এর। বিজ্ঞাপনী খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ব্যবহারকারীদের ডেটা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে শেয়ার করার বিরোধীতা করে আসছে অলাভজনক সংস্থাটি। ব্যবহারকারীরা এই লাগামহীন ডেটা শেয়ারের অনুমতি দেয় না বলে অভিযোগ তাদের।
বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বিজ্ঞাপনদাতাদের পক্ষে কাজ করা মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে চলে ব্যবহারকারীদের ডেটা আদান-প্রদান, ওয়েবপেইজে তাৎক্ষণিকভাবে ডেটা আপডেট হতে থাকে। বিজ্ঞাপনদাতা ব্র্যান্ডগুলো এক্ষেত্রে সরাসরি জড়িত থাকে না। কোন ডিভাইসে ওয়েবপেইজ লোড হচ্ছে, ডিভাইসটির অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য এবং ব্যবহারকারী আগে একই বিষয়ের কোন কোন ওয়েবসাইটে গেছেন সে তথ্যও যায় বিজ্ঞাপনদাতাদের পক্ষে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে। ওয়েবপেইজে জায়গা বিজ্ঞাপনের জন্য বিক্রি করার বেলায় কাজে আসে তথ্যগুলো। সর্বোচ্চ দাম হাকানো বিজ্ঞাপনদাতা পাওয়া সহজ হয়। আর এ সবই হয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেকেন্ডেরও কম সময়ে।
ব্যবহারকারীদের পরিচয় সংক্রান্ত ডেটা এর অংশ না হলেও আইসিসিএলসহ ডিজিটাল অধিকারকর্মীদের দাবি, ডেটার এই বিশাল আকার ব্যক্তিগত গোপনতা লঙ্ঘনের শামিল।
“প্রতিদিন আরটিবি (রিয়াল টাইম বিডিং) শিল্প আপনি কী দেখছেন সেটা ট্র্যাক করে, সেটা যতোই গোপন বা স্পর্শকাতর হোক না কেন। আপনি কোথায় যাচ্ছেন তারও হিসাব রাখা হয়। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ডেটা ফাঁস হওয়ার ঘটনা এটি। এবং এটি প্রতিদিনই ঘটে,” বলেছেন আইসিসিএলের জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. জনি রায়ান। তবে আইসিসিএলের প্রতিবেদনে বিজ্ঞাপনী আয়ের হিসেবে দুই সর্ববৃহৎ নাম ফেইসবুক ও অ্যামাজনকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। প্রতিবেদনের জন্য ৩০ দিন ধরে গুগলের কাছ থেকে ডেটা সংগ্রহ করার কথা আইসিসিএল। তবে, ওই ডেটা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। এ প্রসঙ্গে গুগলের মন্তব্য জানার চেষ্টা করেও তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর পায়নি বিবিসি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

স্কুল ফাঁকি দিয়ে কক্সবাজারে গিয়েছিলো ৩ স্কুলছাত্র, উদ্ধার করলো পুলিশ

প্রতিদিন ৩৭৬ বার শেয়ার হয় একজন ইউরোপীয়র তথ্য

আপডেট সময় : ০৯:৩০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : একজন ইউরোপীয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্য প্রতিদিন গড়ে ৩৭৬ বার হাতবদল বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বেলায় এই সংখ্যা ৭৪৭ বার।
‘আইরিশ কাউন্সিল ফর সিভিল লিবার্টিস (আইসিসিএল)’-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। ডিজিটাল বিজ্ঞাপনী খাতের আয়ের সুবাদে সিংহভাগ ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা এখনও বিনা খরচে ব্যবহার করা যায়।

বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমানে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন শিল্প এবং ‘ডেটা প্রোটেকশন কমিশন’-এর সঙ্গে আইনি লড়াই চলছে আইসিসিএল-এর। বিজ্ঞাপনী খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ব্যবহারকারীদের ডেটা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে শেয়ার করার বিরোধীতা করে আসছে অলাভজনক সংস্থাটি। ব্যবহারকারীরা এই লাগামহীন ডেটা শেয়ারের অনুমতি দেয় না বলে অভিযোগ তাদের।
বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বিজ্ঞাপনদাতাদের পক্ষে কাজ করা মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে চলে ব্যবহারকারীদের ডেটা আদান-প্রদান, ওয়েবপেইজে তাৎক্ষণিকভাবে ডেটা আপডেট হতে থাকে। বিজ্ঞাপনদাতা ব্র্যান্ডগুলো এক্ষেত্রে সরাসরি জড়িত থাকে না। কোন ডিভাইসে ওয়েবপেইজ লোড হচ্ছে, ডিভাইসটির অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য এবং ব্যবহারকারী আগে একই বিষয়ের কোন কোন ওয়েবসাইটে গেছেন সে তথ্যও যায় বিজ্ঞাপনদাতাদের পক্ষে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে। ওয়েবপেইজে জায়গা বিজ্ঞাপনের জন্য বিক্রি করার বেলায় কাজে আসে তথ্যগুলো। সর্বোচ্চ দাম হাকানো বিজ্ঞাপনদাতা পাওয়া সহজ হয়। আর এ সবই হয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেকেন্ডেরও কম সময়ে।
ব্যবহারকারীদের পরিচয় সংক্রান্ত ডেটা এর অংশ না হলেও আইসিসিএলসহ ডিজিটাল অধিকারকর্মীদের দাবি, ডেটার এই বিশাল আকার ব্যক্তিগত গোপনতা লঙ্ঘনের শামিল।
“প্রতিদিন আরটিবি (রিয়াল টাইম বিডিং) শিল্প আপনি কী দেখছেন সেটা ট্র্যাক করে, সেটা যতোই গোপন বা স্পর্শকাতর হোক না কেন। আপনি কোথায় যাচ্ছেন তারও হিসাব রাখা হয়। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ডেটা ফাঁস হওয়ার ঘটনা এটি। এবং এটি প্রতিদিনই ঘটে,” বলেছেন আইসিসিএলের জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. জনি রায়ান। তবে আইসিসিএলের প্রতিবেদনে বিজ্ঞাপনী আয়ের হিসেবে দুই সর্ববৃহৎ নাম ফেইসবুক ও অ্যামাজনকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। প্রতিবেদনের জন্য ৩০ দিন ধরে গুগলের কাছ থেকে ডেটা সংগ্রহ করার কথা আইসিসিএল। তবে, ওই ডেটা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। এ প্রসঙ্গে গুগলের মন্তব্য জানার চেষ্টা করেও তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর পায়নি বিবিসি।