নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রতিদিনই কোনো না কোনো মানুষ ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
একই সঙ্গে মামলা বাণিজ্য চলার অভিযোগ করে তিনি বলেন, দেশের শহর বন্দর, গ্রামে, নগরে এখনও বিরামহীনভাবে চাঁদাবাজি চলছে। প্রতিদিন মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। নদীতে ভাসছে অজ্ঞাত লাশ।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সকল মানুষের মাঝে অস্থিরতা। এর মধ্যে কীভাবে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব আমার বোধগম্য হচ্ছে না।
শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় পার্টির প্রয়াত মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
আলোচনা সভা শেষে তার বক্তব্য তুলে ধরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায় দলটি।
আনিসুল বলেন, বর্তমানে দেশে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। শ্রমিক, কৃষক, পোশাক কর্মী, দিনমজুর,রিকশাওয়ালা, ভ্যানচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ নানা সমস্যার জর্জরিত। এ অবস্থার মধ্যে সরকার যে নির্বাচনের কথা বলছে, তা আদৌ কতটুকু গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তার অভিযোগ, দেশের সাধারণ মানুষ চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে চাঁদাবাজির হাত থেকে ব্যবসায়ীরা রেহাই পাচ্ছে না।
এখনও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জমি ও হাটবাজার দখল হওয়ার অভিযোগ তুলে ধরে তিনি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় দলের এ অংশের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল, ’৯০ এর পরে একটি ছাড়া আমরা সব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। জাতীয় পার্টি বিশ্বাস করে নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে সরকারে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই আগামী নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি জোট করে নির্বাচন করবে।
কাদের সঙ্গে জোট হবে সে ব্যাপারে শিগগির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তবে নির্বাচনের আগে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হতে হবে। সামগ্রিকভাবে দেশে দৃশ্যমান স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সভায় আরো বক্তব্য দেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, সফিকুল ইসলাম সেন্টু, লিয়াকত হোসেন খোকা, মোস্তফা আল মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূইয়া, আরিফুর রহমান খান, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেনে।
সানা/আপ্র/০৪/১০/২০২৫