ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

প্রতিদিন দুই হাজার লোক ঢাকায় ঢুকে: মেয়র আতিক

  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : দনে প্রায় দুই হাজার লোক ঢাকায় প্রবেশ করে, এদের ৭০ শতাংশই জলবায়ু অভিবাসী। এতে শহরের পরিবেশ ও পরিষেবা প্রদানে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকরণে আন্তর্জাতিক অভিবাসন রিভিউ ফোরামের উদ্যোগে নিউ ইয়র্কে আয়োজিত বৈঠকে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ব মেয়রদের মেয়র মাইগ্রেশন কাউন্সিল (এমএমসি) লিডারশিপ বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশসহ বিশ্বের সাতটি শহরের মেয়র। নিউ ইয়র্ক সময় সকাল ১০টায় বৈঠকে অভিবাসীদের সমস্যায় করণীয় নিয়ে গ্রীন সেক্টর গড়ার জোর দেন মেয়র আতিক। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় দিনে প্রায় দুই হাজার লোক শহরে আসে। নিরাপদ খাবার পানির সংকট, ঘূর্ণিঝড়, আকস্মিক বন্যার শিকার, নদী ভাঙন, কৃষি জমি হারানোর মানুষের সংখ্যা বেশি। অভিবাসীদের এমন আগমন আমাদের পরিবেশ ও পরিষেবা প্রদানের সক্ষমতার ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। তবে এটি অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও একটি সুযোগ তৈরি করে। যদি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায়, বিশেষ করে গ্রীন সেক্টরে’।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (ঈঠঋ)সভাপতি। কপ-২৬ এ জলবায়ু উদ্বাস্তু এবং জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর সিটি কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। বৈঠকে তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তরের মেয়র হিসেবে আমার আইএমআরএফ অঙ্গীকার হল, শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। এদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুতরা রয়েছে। এটি তাদের স্বাস্থ্যের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
এসময় আইএমআরএফ দেশগুলোর প্রতি ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বেশ কিছু প্রস্তবনা রাখেন। এর মধ্যে জাতীয় জলবায়ু, অভিবাসন এবং উন্নয়ন নীতিমালায় শহরগুলোকে সম্পৃক্ত করা। এনডিসি, অভিবাসন এবং স্থানান্তরিত জনগণের জন্য জাতীয় কৌশল প্রণয়ন। অভিবাসী ও উদ্বাস্তুদের জন্য গ্লোবাল সিটি ফান্ড গড়ে তোলা, যেন সিটি গভর্নমেন্ট সরাসরি অর্থায়ন প্রক্রিয়া সৃষ্টির পাশাপাশি বিনিয়োগও করতে পারে। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু অর্থের প্রবাহের অন্তত ৫০ শতাংশ অভিযোজন অর্থায়নের জন্য বরাদ্দ এবং এই অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত দেশের সমস্যা নিরসনে ব্যবহারের প্রস্তাব দেন মেয়র আতিক। ইউএন নেটওয়ার্ক অন মাইগ্রেশনকে শহরের জলবায়ু অভিবাসন দ্বারা সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। মঙ্গলবারের বৈঠকে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাকে ‘খবধফবৎংযরঢ় ড়ভ গগঈ’-তে আগামী ৩ বছরের জন্য অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রতিদিন দুই হাজার লোক ঢাকায় ঢুকে: মেয়র আতিক

আপডেট সময় : ০২:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : দনে প্রায় দুই হাজার লোক ঢাকায় প্রবেশ করে, এদের ৭০ শতাংশই জলবায়ু অভিবাসী। এতে শহরের পরিবেশ ও পরিষেবা প্রদানে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকরণে আন্তর্জাতিক অভিবাসন রিভিউ ফোরামের উদ্যোগে নিউ ইয়র্কে আয়োজিত বৈঠকে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ব মেয়রদের মেয়র মাইগ্রেশন কাউন্সিল (এমএমসি) লিডারশিপ বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশসহ বিশ্বের সাতটি শহরের মেয়র। নিউ ইয়র্ক সময় সকাল ১০টায় বৈঠকে অভিবাসীদের সমস্যায় করণীয় নিয়ে গ্রীন সেক্টর গড়ার জোর দেন মেয়র আতিক। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় দিনে প্রায় দুই হাজার লোক শহরে আসে। নিরাপদ খাবার পানির সংকট, ঘূর্ণিঝড়, আকস্মিক বন্যার শিকার, নদী ভাঙন, কৃষি জমি হারানোর মানুষের সংখ্যা বেশি। অভিবাসীদের এমন আগমন আমাদের পরিবেশ ও পরিষেবা প্রদানের সক্ষমতার ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। তবে এটি অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও একটি সুযোগ তৈরি করে। যদি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায়, বিশেষ করে গ্রীন সেক্টরে’।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (ঈঠঋ)সভাপতি। কপ-২৬ এ জলবায়ু উদ্বাস্তু এবং জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর সিটি কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। বৈঠকে তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তরের মেয়র হিসেবে আমার আইএমআরএফ অঙ্গীকার হল, শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। এদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুতরা রয়েছে। এটি তাদের স্বাস্থ্যের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
এসময় আইএমআরএফ দেশগুলোর প্রতি ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বেশ কিছু প্রস্তবনা রাখেন। এর মধ্যে জাতীয় জলবায়ু, অভিবাসন এবং উন্নয়ন নীতিমালায় শহরগুলোকে সম্পৃক্ত করা। এনডিসি, অভিবাসন এবং স্থানান্তরিত জনগণের জন্য জাতীয় কৌশল প্রণয়ন। অভিবাসী ও উদ্বাস্তুদের জন্য গ্লোবাল সিটি ফান্ড গড়ে তোলা, যেন সিটি গভর্নমেন্ট সরাসরি অর্থায়ন প্রক্রিয়া সৃষ্টির পাশাপাশি বিনিয়োগও করতে পারে। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু অর্থের প্রবাহের অন্তত ৫০ শতাংশ অভিযোজন অর্থায়নের জন্য বরাদ্দ এবং এই অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত দেশের সমস্যা নিরসনে ব্যবহারের প্রস্তাব দেন মেয়র আতিক। ইউএন নেটওয়ার্ক অন মাইগ্রেশনকে শহরের জলবায়ু অভিবাসন দ্বারা সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। মঙ্গলবারের বৈঠকে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাকে ‘খবধফবৎংযরঢ় ড়ভ গগঈ’-তে আগামী ৩ বছরের জন্য অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।