লাইফস্টাইল ডেস্ক: আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত একটি সমস্যা ‘অ্যাসিডিটি’, লোকমুখে যা গ্যাস্ট্রিক নামে পরিচিত। বিভিন্ন কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। সাধারণত মনে করা হয় বাইরের খাবার খাওয়ার ফলে পেটে ব্যথা ও পেটে গ্যাস হয়ে থাকে। তবে শুধু বাইরে খাবার খাওয়ার কারণে নয়, আমাদের প্রতিদিনের কিছু অভ্যাসও ঘন ঘন পেটে গ্যাস হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী অভ্যাসের কারণে পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে-
১. সকালে খাবার না খাওয়া
সকালের খাবার বাদ দিলে অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপা, অরুচি, আলসারের মতো রোগ দেখা দিতে পারে। শরীরের ওজন ও শক্তি কমে যেতে পারে। গ্লুকোজ কমে গিয়ে মেজাজ খিটখিটে হয়ে পড়ে। এমন অনেক রোগের ঝুঁকি তৈরি হতে সকালে না খেলে। তাই পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য সকালে অবশ্যই খাবার খেতে হবে। চটজলদি খাবার খেতে চাইলে, খই, ওটস্, কর্নফ্লেক্স, পাউরুটি ইত্যাদি খেতে পারেন। এছাড়া রাতে খাবার তৈরি করে, ফ্রিজে রেখে সকালে খাওয়া যেতে পারে।
২. খাওয়ার পরেই ঘুমালে
দুপুরে হোক বা রাতে, খাওয়ার পরেই ঘুমিয়ে পড়লে বদহজম হয়। খেয়েই শুয়ে পড়লে বদহজম, বুকজ্বালা, ওজন বৃদ্ধি এমন কি স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। তা খাওয়া ও ঘুমানোর মধ্যে কমপক্ষে ৩ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত। এছাড়া খাওয়ার পর হাঁটার অভ্যাস করলে খাবার দ্রুত হজম হবে।
৩. ফাইবার বেশি খেলে
ফাইবার আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে, রক্তে শর্করা ও চর্বি কমাতে এবং বৃহদান্ত্রের ক্যানসারসহ নানা রোগ প্রতিরোধে করে। ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি খেলে পাকস্থলী সহজে পরিপাক করতে পারে না। তাই ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া হয় তাহলে পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও কমে যায়। তাই নিয়মিত পরিমাণমতো ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে। এতে হজমে আরাম অনুভব হবে। গ্যাস্ট্রিক, অম্লভাব বা পেটফাঁপার মতো সমস্যাও তুলনামূলকভাবে কম হবে।
তথ্যসূত্র: মায়ো ক্লিনিক, মেডিকেল নিউজ টুডে, হিন্দুস্তান টাইমস ও অন্যান্য
এসি/আপ্র/১৩/১০/২০২৫