ঢাকা ০৮:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রণোদনার অর্ধেক টাকাও পাননি ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোক্তারা

  • আপডেট সময় : ০২:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি করোনার প্রকোপের প্রেক্ষিতে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য দু’দফায় ৪০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। তবে ওই প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থের অর্ধেকও পাননি এ খাতের উদ্যোক্তারা। সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অভাব, সিএমএসএমই সংজ্ঞায়নের জটিলতা, জটিল ঋণ বিতরণ পদ্ধতি, উদ্যোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকা, ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল সম্পর্ক, জামানত সংক্রান্ত সমস্যা এবং এসএমই ডাটাবেইজের অনুপস্থিতিতির কারণে প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ঋণ সহায়তা পেতে ব্যার্থ হচ্ছেন সিএমএসএমই উদ্যোক্তারা। গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ব্যাংক হতে সিএমএসএমই ঋণ/প্রণোদনা প্যাকেজ প্রাপ্তির পদ্ধতি ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল কর্মশালায় এমন অভিমত দেন আলোচকরা।
ডিসিসিআই আয়োজিত এই কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রধান, বিনিয়োগ প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম। ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, শিল্পখাতে ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ৪৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে সিএমএসএমই খাত। তবে প্রয়োজনীয় আর্থিক এবং নীতিগত সহায়তার অভাবে সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছে না। তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত সিএমএসএমইদের ব্যবসা-বাণিজ্যের পুনরুজ্জীবন ও সম্প্রসারণ এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এখাতে ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। তবে এখাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ/প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে সিএমএসএমই সংজ্ঞায়নের জটিলতা, সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অভাব, জটিল ঋণ বিতরণ পদ্ধতি, উদ্যোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকা, ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল সম্পর্ক, জামানত সংক্রান্ত সমস্যা, এসএমই ডাটাবেইজের অনুপস্থিতি সমস্যা তৈরি করে। এসব কারণে ঘোষিত প্যাকেজের আওতায় সহায়তা প্রাপ্তিতে ব্যর্থ হয়েছেন এখাতের উদ্যোক্তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রণোদনার অর্ধেক টাকাও পাননি ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোক্তারা

আপডেট সময় : ০২:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি করোনার প্রকোপের প্রেক্ষিতে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য দু’দফায় ৪০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। তবে ওই প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থের অর্ধেকও পাননি এ খাতের উদ্যোক্তারা। সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অভাব, সিএমএসএমই সংজ্ঞায়নের জটিলতা, জটিল ঋণ বিতরণ পদ্ধতি, উদ্যোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকা, ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল সম্পর্ক, জামানত সংক্রান্ত সমস্যা এবং এসএমই ডাটাবেইজের অনুপস্থিতিতির কারণে প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ঋণ সহায়তা পেতে ব্যার্থ হচ্ছেন সিএমএসএমই উদ্যোক্তারা। গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ব্যাংক হতে সিএমএসএমই ঋণ/প্রণোদনা প্যাকেজ প্রাপ্তির পদ্ধতি ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল কর্মশালায় এমন অভিমত দেন আলোচকরা।
ডিসিসিআই আয়োজিত এই কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রধান, বিনিয়োগ প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম। ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, শিল্পখাতে ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ৪৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে সিএমএসএমই খাত। তবে প্রয়োজনীয় আর্থিক এবং নীতিগত সহায়তার অভাবে সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছে না। তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত সিএমএসএমইদের ব্যবসা-বাণিজ্যের পুনরুজ্জীবন ও সম্প্রসারণ এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এখাতে ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। তবে এখাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ/প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে সিএমএসএমই সংজ্ঞায়নের জটিলতা, সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অভাব, জটিল ঋণ বিতরণ পদ্ধতি, উদ্যোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকা, ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল সম্পর্ক, জামানত সংক্রান্ত সমস্যা, এসএমই ডাটাবেইজের অনুপস্থিতি সমস্যা তৈরি করে। এসব কারণে ঘোষিত প্যাকেজের আওতায় সহায়তা প্রাপ্তিতে ব্যর্থ হয়েছেন এখাতের উদ্যোক্তারা।